বিএনপি

এক-দু’বার নয়, বেশ কয়েকবার কানাডার ফেডারেল আদালতের রায়ে বিএনপিকে বলা হয়েছে সন্ত্রাসী সংগঠন। দলটি তখন সেই খবর চেপে গেলেও সম্প্রতি নামসর্বস্বহীন তথাকথিত কানাডিয়ান মানবাধিকার সংস্থা থেকে কোটি টাকায় কেনা বিএনপি চেয়ারপারসনের পুরস্কার নিয়ে রীতিমত গলাবাজি শুরু করেছে জ্বালাও-পোড়াওয়ের এই রাজনৈতিক দলটি। বিশিষ্টজনরা বলছেন, অতীত কর্মকাণ্ড ঢাকতে ঢাকঢোল পিটিয়ে সাড়ে তিন বছর পরে এসে বিএনপি পুরস্কারপ্রাপ্তির বিষয়টি সামনে নিয়ে এসেছে। তারা ভেবেছে, মানুষ সব ভুলে গেছে। কিন্তু বিষয়টি কি এতই হালকা, যে মানুষ ভুলে যাবে। মানুষ ভোলেনি তাদের নারকীয় সেই সব সন্ত্রাসীকাণ্ডের কথা। যা ভেবে শিউরে ওঠে আজও।

নির্ভরযোগ্য সূত্রের তথ্যমতে, বিএনপি তাদের শাসনামলে ও ক্ষমতায় আসার আগে নির্বিচারে মানুষ হত্যাসহ যেভাবে জ্বালাও-পোড়াও করেছে তা দেশের পাশাপাশি বহির্বিশ্বও অবলোকন করেছে। যারই প্রেক্ষিতে কানাডায় বিএনপি নেতাকর্মীদের কেউ আশ্রয় চাইতে গেলেই তাদেরকে দেশটির আদালত স্মরণ করিয়ে দেয় তাদের অতীত কর্মকাণ্ডের কথা। বলে, তারা একটি সন্ত্রাসী দল। কিন্তু বারবারই বিএনপি বিষয়টি লুকিয়ে রেখেছে। কখনো মুখ ফুটে ভুলেও বলেনি। সম্প্রতি ২০১৮ সালে দেশটির ভূঁইফোড় একটি মানবাধিকার সংস্থা থেকে কেনা সম্মাননা নিয়ে তারা মেতেছে প্রচারণায়। বলছে, এটা বিশাল এক অর্জন।

আরও পড়ুনঃ ৩ বছর আগে কানাডিয়ান ১ লক্ষ ৬০ হাজার ডলারের বিনিময়ে খালেদা জিয়ার জন্য বিএনপির পুরস্কার কেনার খবর ফাঁস

কিন্তু অনুসন্ধানেই বেরিয়ে এলো থলের বিড়াল। জানা গেলো, সংস্থাটির কিছু অসাধু কর্মকর্তার পকেট ভারি করিয়ে বিএনপি কোটি টাকা ব্যয়ে এই সম্মাননা কিনেছে। বলে রাখা ভালো, সেই খবর ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বর মাসে ‘নিউজ দিনরাত২৪ ডট কম’ নামক একটি অনলাইন পোর্টালে প্রকাশিতও হয়। যেখানে বলা হয়, মোটা অংকের অর্থ লেনদেনের মাধ্যমে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার জন্য দলের পক্ষ থেকে এই সম্মাননা কেনা হয়েছে। সে সময় ওই প্রতিবেদনে বিএনপির পুরস্কার কেনার প্রমাণাদিও প্রকাশ করা হয়। তারপর থেকে মাতামাতির বিপরীতে বিষয়টি চলে যায় একেবারে হিমাগারে।

৮ ফেব্রুয়ারি (মঙ্গলবার) দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে পুরস্কারপ্রাপ্তির এই বিষয়টি পুনরায় সামনে নিয়ে আসে দলীয় মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এতে দলীয় নেত্রী খুশি হলেও ক্ষুব্ধ হয়েছেন তারেক। লন্ডন থেকে ফোনে ফখরুলকে বলেছেন, এর ফল ভালো হবে না। শিগগিরই শাস্তির মুখোমুখি হতে যাচ্ছেন আপনি। প্রস্তুতি থাকেন।

দেশের রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা বলছেন, ‘চোরের মায়ের বড় গলা’ প্রবাদটির কথা আবারও মনে পড়ে গেলো। কারণ, বিএনপি সন্ত্রাসী দল, এটা কম-বেশি সবাই-ই জানেন। কিন্তু বরাবরই তারা বিষয়টি এড়িয়ে গেছে। এমনকি কানাডার আদালতের রায়ের পরেও। কিন্তু সম্প্রতি সে দেশের বেনামি মানবাধিকার সংস্থা কর্তৃক বিএনপি নেত্রীর পুরস্কারপ্রাপ্তির বিষয়টি নিয়ে দলটির নেতাকর্মীরা নেমেছে মুখরোচক প্রচারণায়। আদতে তাদের সেই গলাবাজির সিঁকেভাগও সত্যতা নেই। নেই গ্রহণযোগ্যতাও। তাই তাদের মিথ্যা প্রচারণায় প্রভাবিত না হয়ে বরং তাদের মত ভণ্ড ও জনসমর্থনহীন রাজনৈতিক দলটির সকল অপতৎপরতা রুখে দিন। যাতে তারা কোনভাবেই লাল-সবুজের পবিত্র পতাকা ও স্বাধীন ভূখণ্ডকে কলঙ্কিত করতে না পারে।

আরও পড়ুনঃ