
বিদেশের মাটিতে বসে বাংলাদেশবিরোধী ষড়যন্ত্রের আরো একটি কলঙ্কজনক অধ্যায় উন্মোচিত হয়েছে। সম্প্রতি কানাডার টরেন্টোতে একটি গোপন বৈঠক করেছে বিএনপি-জামায়াতের এজেন্টরা।
জানা গেছে, আগামী নির্বাচনের আগে দেশজুড়ে অস্থিরতা সৃষ্টির জন্য- তারেকের নির্দেশে- এই বৈঠকের আয়োজন করে কয়েকজন বিএনপি-জামায়াতপন্থী চাকরিচ্যুত সেনা কর্মকর্তা। তাদের উদ্দেশ্য, ভোটের আগে দেশে সাম্প্রদায়িক ও রাজনৈতিক উত্তেজনা সৃষ্টি এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী ও আইন মন্ত্রীর ক্ষতিসাধন করা।
সেই বৈঠকের একটি ছবি আমাদের হাতে এসেছে। বাম দিক থেকে তৃতীয় ব্যক্তি- সাদা ফুলহাতা সোয়েটার। তার নাম লে. কর্নেল কাজী কায়সার। শৃঙ্খলা বহির্ভূত কাজের দায়ে সেনাবাহিনী থেকে চাকরিচ্যুত করা হয়েছিল তাকে।
১৯৯৬ সালে নির্বাচনের পর, আওয়ামী লীগ যাতে সরকার গঠন করতে না পারে, সেজন্য একটি সামরিক অভ্যুত্থান প্রচেষ্টার সঙ্গে জড়িত ছিল সে। এজন্য তাকে সেনাবাহিনীর নিয়ম অনুযায়ী কোর্ট মার্শালের মুখোমুখি করা হয়। কিন্তু পরবর্তীতে তারেক রহমানের প্রভাবে ছাড়া পায় সে। কানাডার টরেন্টো শহরে এই কায়সারের বাড়িতেই বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয়।
সেখানে উপস্থিত আরো একজন চাকরিচ্যুত কর্মকর্তা হলো ক্যাপ্টেন শহীদ। গত কিছুদিন থেকে ইউটিউব ও ফেসবুকে নিয়মিত বাংলাদেশবিরোধী অপপ্রচার ও গুজব ছড়িয়ে যাচ্ছে সে। বাকিদের ব্যাপারে বিস্তারিত খোঁজ নিচ্ছে গোয়েন্দারা।
জানা গেছে, অস্বাভাবিক পরিমাণ অর্থ লেনদেনের কারণে কিছুদিন থেকে ব্রিটিশ পুলিশের নজরদারিতে আছে তারেক রহমান। এজন্য সে তার লোকদের লন্ডনে না ডেকে- কানাডা, সুইডেন ও ফ্রান্সে মিলিত হওয়ার নির্দেশ দেয়। এরপরই এই বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয়।