খালেদা

দুর্নীতি, সন্ত্রাসবাদ, জঙ্গিবাদ, শৃঙ্খলা ও শিষ্টাচারহীনতার কারণে বিএনপির রাজনীতি যখন চূড়ান্তভাবে পতনের মুখে, ঠিক তখনই গুজব ও ষড়যন্ত্র তত্ত্বের মাধ্যমে দেশবাসীকে বিভ্রান্ত করার সর্বোচ্চ চেষ্টা চালাচ্ছে তারা। এমনকি অসুস্থ খালেদা জিয়ার চিকিৎসার জন্য বিদেশে ডাক্তার না খুঁজে, অনলাইনে গুজব ছড়িয়ে সময় নষ্ট করছে বিএনপি। অসুস্থ খালেদার লাশের ওপর দিয়ে রাজনৈতিক ফায়দা আদায়ের জন্য এসব করার নির্দেশ দিয়েছে তারেক রহমান।

এরপরেই ২২ নভেম্বর দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভী বলতে শুরু করেন, খালেদা জিয়াকে স্লো পয়জনিং করা হয়েছে। খালেদা

যদিও প্রথমে এই গুজবের প্রতিবাদ করেছিলেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল। তবে তারেকের নির্দেশে ২৫ নভেম্বর মির্জা ফখরুলও কণ্ঠ মেলান রিজভীর সঙ্গে।

অন্যদিকে এই ষড়যন্ত্র তত্ত্বের পক্ষে সাফাই গাওয়ার জন্য তারেকের নির্দেশে অনলাইন কন্টেন্ট বানানো শুরু করে পেইড-এজেন্ট ড. পিনাকী ভট্টাচার্য।

বিএনপি নেতাদের দিয়ে প্রথমে প্রসঙ্গটি অনলাইনে ছড়ানো হয়। এরপর, ২৮ নভেম্বর, পিনাকী ভট্টাচার্যর বানানো একটি মেডি-ফিকশন ছাড়া হয় অনলাইনে।

সেখানে পিনাকি একটা হাইপোথিস দিয়ে বলেন যে, ‘ওষুধের ডোজ বদলের কারণে অসুস্থ হয়েছেন খালেদা জিয়া। কারণ তিনি সবসময় দামি ওয়াইন খেতেন, তাই মদের কারনে তার লিভার সিরোসিসের কোনো সম্ভাবনা নেই। তার লিভার সিরোসিসের জন্য ডাক্তাররাই দায়ী।’

কিন্তু আপনারা সবাই জানেন, আটক হওয়ার সময় থেকেই নিজের বিশ্বস্ত গৃহকমীকে সবসময় সঙ্গে রাখেন খালেদা জিয়া। এছাড়াও নিজের ব্যক্তিগত চিকিৎসক এবং বিএনপিপন্থী একদল চিকিৎসকের মাধ্যমেই নিয়মিত চিকিৎসা নিতেন তিনি। উন্নত চিকিৎসার জন্য খালেদা যখন যে হসপিটালেই যান না কেনো, তার পছন্দের ডাক্তাররা সেখানে সবসময় উপস্থিত থাকেন। তার চিকিৎসার কাগজপত্র, টেস্ট রিপোর্ট এবং ওষুধ- সব কিছুরই দেখভাল করেন বিএনপিপন্থী চিকিৎসকরাই।

আরো পড়ুনঃ খালেদা অধ্যায়ের ইতি ঘটলে নিঃশেষ কিংবা ৪ ভাগ হয়ে যাবে বিএনপি

তাহলে কী বোঝা যাচ্ছে?

আপনারা জানেন, হাইপোথিসিস মানে হলো অনুমান। এই অনুমানকে প্রমাণের জন্য বৈজ্ঞানিক গবেষণা করতে হয়, সেই ফলাফল কখনো অনুমানের সঙ্গে মিলতে পারে, আবার কখনো উল্টোটাও হতে পারে। সুতরাং পিনাকীর হাইপোথিসিস কোনোভাবেও যদি সত্য প্রমাণিত হয়, তাহলে এই ষড়যন্ত্রের জন্য দায়ী হবেন খালেদার ব্যক্তিগত ও দলীয় ডাক্তাররাই। কারণ খালেদার চিকিৎসার সব কিছুই দেখভাল করেন তারা। আর খালেদার ডাক্তারদের সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ তারেক রহমান ও তার স্ত্রী ডাক্তার জোবাইদা রহমানের।

আর যদি এই হাইপোথিসিস থেকে উল্টো তথ্য পাওয়া যায়, তখা এসব যদি তারেক-পিনাকীর পরিকল্পিত গুজব হয়, তাহলে বিএনপি জাতির কাছে মুখ দেখাবে কী করে? নিজের অসুস্থ মায়ের চিকিৎসার ব্যবস্থা না করে, উল্টো তার মৃত্যুর পর ফায়দা আদায়ের আশায়- এখন যে ষড়যন্ত্রতত্ত্ব ছড়ানো হচ্ছে- সেজন্য জাতির কাছে আবারো ধিক্কৃত হবে তারেক রহমান।

আরো পড়ুনঃ