
বাংলাদেশের নিরাপত্তা বাহিনীর প্রতি আমেরিকার নিষেধাজ্ঞা রাজনৈতিক ও বাংলাদেশকে নিজেদের দাসত্বের রাজ্যে সমর্পণ হতে বাধ্য করার একটি ঘৃণ্য অপচেষ্টা করছে।
যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক সিনেটর অব লেবার রবার্ট রেইচ কিছুদিন আগে একটি টুইট করলেন। তিনি জানালেন, ২০২০ সালে যুক্তরাষ্ট্রে বিচার বহির্ভূত হত্যাকান্ড ঘটেছে ৯৮৪ টি।
যুক্তরাষ্ট্রেরই বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমের তথ্য অনুযায়ী, ২০১৫ সালের পর থেকে এখন পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর দ্বারা বিচার বহির্ভূত হত্যাকান্ড ঘটেছে কমপক্ষে ৬ হাজার ৬শত জন। অর্থাৎ গড়ে যুক্তরাষ্ট্রে প্রতি বছর ১ হাজার জন বিনা বিচারে মারা যায়।
এর মধ্যে পুরুষ ৬ হাজার ৩শত ৩ জন, মহিলা ২৯৪ জন, আগ্নেয়াস্ত্রসহ ছিলেন ৩ হাজার ৮ শত ৭৮ জন, চাকু বা ছোরাসহ ১ হাজার ১ শত ১৯ জন, গাড়িসহ ২ শত ১৮ জন, খেলনা পিস্তলসহ ২শত ৪৪ জন এবং নিরস্ত্র ৪২১ জন।
এই যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের পুলিশ প্রধান ও র্যাবের ডিজিসহ ৪ জনকে যুক্তরাষ্ট্রে নিষিদ্ধ করলো। অভিযোগ, সেই বিচার বহির্ভূত হত্যাকান্ড। কেন?
আরো পড়ুনঃ বেনজীর, র্যাবের ডিজিসহ ৭ কর্মকর্তার ওপর যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা
যাদের নিজেদের দেশে বিচার বহির্ভূত হত্যাকান্ড নিয়ে সাধারণ মানুষ রাস্তায় নামে, যেই দেশে কৃষ্ণাঙ্গ কারও নিরাপত্তা নেই সেই দেশ মানবাধিকার নিয়ে আপনাকে আমাকে জ্ঞান দেবে?
প্রশ্ন করুন নিজেকে। বাংলাদেশকে সন্ত্রাস ও মাদকের স্বর্গরাজ্য বানাতে চায় আমেরিকা ? পাকিস্তানের মতো ফেইলড স্টেট ঘোষণা করতে চায়?
পরিশেষে যেই আমেরিকা ইরাক, আফগানিস্তান, সিরিয়া, লিবিয়া, ইয়েমেনের লক্ষ লক্ষ মানুষের মৃত্যু ও উদবাস্তু হওয়ার পেছনে দায়ী তারা মানবাধিকার নিয়ে কথা বলে কোন মুখে?
আরো পড়ুনঃ
- পুলিশ প্রধান বেনজির আহমেদসহ র্যাব কর্মকর্তাদের নিষেধাজ্ঞা ইস্যুতে ঢাকায় মার্কিন দূত আর্ল আর মিলারকে তলব
- পৃথিবীর সর্ববৃহৎ নিরাপত্তা বাহিনী বাংলাদেশের
- পুলিশ প্রধান বেনজির ও র্যাব কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে মার্কিন নিষেধাজ্ঞার অর্থ কী