
বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার মাস্টারমাইন্ড ছিলেন স্বৈরশাসক জিয়া। শেখ হাসিনাকে একাধিকবার হত্যার চেষ্টা করেছেন সেই জিয়ার স্ত্রী-পুত্র খালেদা-তারেক। অথচ সাজাপ্রাপ্ত আসামি হওয়া সত্ত্বেও জামিনে বাসায় থাকাসহ উন্নত চিকিৎসার সুযোগ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বিএনপির দাবি অনুযায়ী, বিদেশ থেকে ডাক্তার এনে চিকিৎসা করার অনুমতিও দিয়েছে সরকার। তারপরও বিএনপি-জামায়াতের নেতাকর্মীরা খালেদা জিয়াকে নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বক্তব্য নিয়ে সমালোচনা করছে।
অসুস্থ বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে নেওয়ার বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আমি আমার নির্বাহী ক্ষমতাবলে যা করতে পারি তাই করেছি, আইন পরবর্তী পদক্ষেপ ঠিক করবে। আমরা অমানুষ না।
অমানুষ না বলেই তাকে অন্তত তার বাসায় থাকার ব্যবস্থাটুকু, নির্বাহী ক্ষমতা আমার হাতে যতটুকু আছে, আমি সেটুকু দিয়ে তাকে বাসায় থাকার, চিকিৎসার ব্যবস্থা করে দিয়েছি। বাকিটা আইনগত ব্যাপার।
গত বুধবার শেখ হাসিনা আরও বলেন, আমাকে মারতে অনেক চেষ্টা করেছে। এরপর খালেদার ওপর আমায় মায়া দেখাতে বলেন কীভাবে? আমার হাতে যেটুকু আছে, তার মাধ্যেমে তাকে বাসায় থাকার ব্যবস্থা করেছি। ওনারা ক্ষমতায় এসে যুদ্ধাপরাধীদের শেল্টার দিয়েছেন। বিভিন্ন দূতাবাসে চাকরি দিয়েছেন।
প্রধানমন্ত্রীর এই বক্তব্যকে ভিন্নভাবে প্রচার করছে বিএনপি-জামায়াতের নেতাকর্মী এবং পেইড এজেন্টরা। এদিকে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মানবিক বলেই দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি খালেদা জিয়াকে এত সুয়োগ-সুবিধা দিয়েছেন। একজন সাজাপ্রাপ্ত আসামিতো কারাগার ছেড়ে নিজ বাসভবনে থাকতে পারে না।
আরো পড়ুনঃ খালেদা জিয়াকে নিয়ে তারেকের মহাপরিকল্পনা
মানবিক দিক বিবেচনা করে শেখ হাসিনার সরকার তাকে এই সুবিধাটুকু দিয়েছেন। কোনো দণ্ডিত আসামির বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা পাওয়ার নজির নেই বাংলাদেশে। খালেদা জিয়াকে বাংলাদেশের অত্যন্ত আধুনিক উন্নত ও পাঁচ তারকা মানের হাসপাতালে চিকিৎসার সুযোগ দিয়েছে সরকার।
অথচ একটু পেছনে ফিরে তাকালেই দেখা যায়, খালেদা আর তার দুর্নীতিবাজ পুত্র তারেক রহমান এই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যা করার জন্য একাধিকবার হামলা করেছে। প্রকাশ্যে গ্রেনেড হামালা চালিয়েছে। সেই হামলায় প্রাণ দিয়ে আওয়ামী লীগের ২৪ জন নেতা। আহত হয়েছেন পাঁচ শতাধিক নেতা-কর্মী।
সেদিন ঢাকা মেডিকেলসহ ঢাকা শহরের সরকারি সকল হাসপাতাল এবং অনেক বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা বন্ধ করে দেয়া হয়েছিল। ঢামেক’র চিকিৎসকদের ছুটি দিয়ে দেয়া হয়, বহির্বিভাগ রাখা হয় বন্ধ। আশপাশের ওষুধের দোকানগুলো পর্যন্ত সেদিন বন্ধ করে দেয়া হয়েছিল।
রক্তের অভাবে এবং চিকিৎসার অভাবে সেদিন অনেক নেতাকর্মী মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন। তাৎক্ষণিক চিকিৎসার অভাবে পরবর্তীতে অনেকেরই অঙ্গহানি করতে হয়।
সেদিনের সেই হামলার ক্ষত আজও বয়ে বেড়াচ্ছেন শেখ হাসিনা। তারপরও সবকিছু ভুলে অনন্য নজির স্থাপন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি মানবিক বলেই খালেদাকে এত সুবিধা দিয়েছেন।
আরো পড়ুনঃ