প্রধানমন্ত্রী

বরাবরের মতো এবারও দেশের ছাত্রছাত্রীদের পাশে এসে দাঁড়ালেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা। বঙ্গবন্ধু যেমন দেশের তারুণ্যের ওপর ভরসা রাখতেন, তেমনি শত প্রতিকূলতা অতিক্রম করে আবারও দেশের তরুণপ্রজন্মের পাশে দাঁড়ালেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য হাফ ভাড়া দাবি কার্যকরের ক্ষেত্রে গত কয়েকদিন ধরে বাস মালিক সমিতির আপত্তি থাকলেও, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে সেই দাবি মেনে নিয়েছে তারা।

বাস মালিক সমিতি আনুষ্ঠানিকভাবে জানায়, ১ ডিসেম্বর সকাল ৭টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত ঢাকার সব বাসে শিক্ষার্থীদের জন্য হাফ ভাড়া কার্যকর করা হবে। তবে এজন্য তাদের সঙ্গে নিজ নিজ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পরিচয়পত্র (আইডি কার্ড) সঙ্গে রাখতে হবে। যাতে কেউ শিক্ষার্থী পরিচয় ব্যবহার করে অনিয়ম করতে না পারে। এজন্য শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আইডি কার্ড রাখার নির্দেশনাও দেওয়া হয়েছে।

এখন রাস্তায় আর আন্দোলন না করে, শিক্ষার্থীদের প্রতি লেখাপড়ায় মনোযোগী হওয়ার আহ্বানও জানানো হয়েছে। কারণ, গত একযুগে সরকার শিক্ষার্থীদের জন্য আইসিটি-সহ সবধরণের আধুনিক শিক্ষার ব্যবস্থা নিশ্চিত করেছে। শিক্ষার্থীরা যাতে এসব অবকাঠামোগত এবং প্রযুক্তিগত সুবিধা ব্যবহার করে নিজেদের আন্তর্জাতিক মানের ক্যারিয়ার নিশ্চিত করতে পারে।

এর আগেও সড়ক দুর্ঘটনা রোখে শিক্ষার্থীরা বারবার সড়কে নেমেছে, এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শিক্ষার্থীদের সব দাবি মেনে নিয়ে তাদের পাশে থেকেছেন। সেই সূত্রে এবারও শিক্ষার্থীদের পাশে দাঁড়িয়েছেন তিনি।

বিশেষভাবে শিক্ষার্থীদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলা হয়েছে, কোনো সরকারি ছুটির দিন এই ভাড়ার জন্য কোনো শিক্ষার্থী যেনো অন্যায্য দাবি না জানায়। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা থাকার দিনগুলোতে এই সুবিধা শতভাগ কার্যকর করার জন্য বাস মালিক সমিতিকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে শিক্ষার্থীদের প্রতিও আহ্বান জানানো হয়েছে যে, তারা যেনো এই ছুটির দিনগুলোতে এই সুবিধার জন্য বাসের কর্মজীবী শ্রমিকদের সঙ্গে বাকবিতণ্ডায় না জড়ায়। কারণ শিক্ষার্থীরাই জাতির ভবিষ্যত। তাদের হাতেই গড়ে উঠবে ভবিষ্যতের বাংলাদেশ। শ্রমজীবী মানুষের সঙ্গে তারা যেনো ছুটির দিনে অন্যায্য দাবি করে দুর্ব্যবহার না করেন, বরং তারা ন্যায্যতার ভিত্তিতে যেনো নিজেদের নেতৃত্ব গড়ে তোলেন- সেদিকেই গুরুত্ব দেওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে।

উল্লেখ্য যে, এর আগে দেশের বিভিন্ন দুর্ঘটনাকবলিত হাইওয়েতে (রাজপথে) স্পিডব্রেকার নির্মাণ এবং শহরাঞ্চলের বিভিন্ন স্থানে ফ্লাইওভার নির্মাণের দাবি জানিয়েছিল শিক্ষার্থীরা। সেই দাবির সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এটি বাস্তবায়ন করেছেন। একইসঙ্গে বাসচালকদের ড্রাইভিং লাইসেন্স নিশ্চিত করার জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে নির্দেশনা দিয়েছেন। সড়ক দুর্ঘটনা প্রতিরোধ এবং শিক্ষার্থীদের পাশে থাকার জন্য বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা এবং বাংলাদেশ সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। তাই শত প্রতিকূলতা মোকাবিলা করেও এই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের জন্য কঠোর অবস্থান নিয়েছে আওয়ামী লীগ সরকার। তরুণপ্রজন্মের প্রতিটি ন্যায্য দাবি ও তাদের জন্য যাবতীয় সুবিধা নিশ্চিত করতে কাজ করে যাচ্ছে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগেের নেতৃত্বাধীন সরকার।