
নুরু গংদেরকে জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির ইস্যুকে কাজে লাগাতে বললেন তারেক। এই ইস্যু কাজে লাগিয়ে দেশে একটা উত্তেজক পরিস্থিতি তৈরির নির্দেশ দিলেন লন্ডনে পলাতক বিএনপির নেতা তারকে রহমান। বিএনপি-জামায়াতের মাঠ পর্যায়ের বি টিম- গণঅধিকার পরিষদ গঠনের পর সরাসরি তারেক রহমানের কাছ থেকে এটিই প্রথম অ্যাসাইনমেন্ট।
গণঅধিকার পরিষদের এক নেতার সূত্রে জানা যায়, লন্ডন থেকে তারকে রহমানের ফোন পেয়ে উচ্ছ্বাসিত নুরু তার দলের প্রথম সারির নেতাদের নিয়ে বৈঠক করেছেন। জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির ইস্যুকে কাজে লাগিয়ে আন্দোলনের প্রস্তুতি নিচ্ছেন নুরু-ফারুক-রাশেদরা। তারেক রহমানের নির্দেশনা অনুযায়ী সাধারণ শিক্ষার্থীদেরও সম্পৃক্ত করে ফেলেছে নুরু।
জানা গেছে, আন্দোলন জোরালো করতে পারলে গণঅধিকার পরিষদকে বেশ বড় অঙ্কের
একটা অনুদান দেয়ার ইঙ্গিত দিয়েছেন তারেক রহমান। যার পরিমাণ কোটির ঘরে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
মঙ্গলবার (৯ নভেম্বর) বাস ভাড়া কমানোর দাবিতে রাজধানীর শাহবাগ মোড়ে অবস্থান নিয়েছে নুরুর সমমনা কয়েকটি ছাত্র সংগঠনের নেতাকর্মীরা।
অথচ দিন চারেক আগেই জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে গাড়ি মালিক শ্রমিকদের সাথে একাত্মতা জানিয়েছিলেন নুরু। কিন্তু এখন পরিস্থিতি দেখে গাড়ি মালিক শ্রমিকদের স্বার্থবিরোধী পক্ষে- অর্থাৎ ভাড়া কমানোর দাবিতে নেমেছেন।
এদিকে লন্ডন বিএনপির এক নেতার কাছ থেকেও তারেক রহমানের এই পরিকল্পনার সত্যতা পাওয়া যায়। লন্ডন বিএনপির নেতা নাসির বলেন, কুমিল্লার ঘটনার পর এবার জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির ইস্যুকে কাজে লাগানোর জন্য তরুণ নেতা নুরু-ফারুক-রাশেদদের দায়িত্ব দিয়েছেন তারেক সাহেব।
নিজ দলের নেতাকর্মীদের উপর ভরসা করতে পারছে না তিনি তাই এ দায়িত্ব দিয়েছে গণঅধিকার পরিষদের নেতাদের। এ জন্য আর্থিক বরাদ্দও রয়েছে তারেক সাহেবের।
আরো পড়ুনঃ দেশকে অস্থিতিশীল করে তুলতে তারেকের নয়া মাস্টারপ্ল্যান
নাসির আরো বলেন, কেন্দ্রীয় নেতারাসহ সারা দেশের নেতাদের সাথে টানা বৈঠক করে তারেক সাহেব বুঝতে পেরেছেন ঢাকার বিএনপি নেতাদের আর আন্দোলন করার মুরোদ নেই।
এ বিষয়ে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, চোরাচালান রোধ এবং ভর্তূকি কমাতেই জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধি করেছে সরকার। এটা যৌক্তিক। কারণ রাষ্ট্রের ভর্তুকি কমলে দেশের উন্নয়ন হয়। আর এটাকে ক্যাশ করে বিএনপির বা তারেক রহমানের অপরাজনীতির কারণ হচ্ছে, তারা চায় যেকোনো উপায়ে রাষ্ট্রক্ষমতায় যেতে।
কিন্তু বাস্তবতা হলো- বিএনপির আর সেই মুরোদ নেই। জনগণ তাদের প্রত্যাখ্যান করেছে। সেজন্যই নিজ দলের নেতাকর্মী থাকতে নুরুর মতো ভণ্ডদের ভাড়া করতে হয় তাকে।
আর বিএনপি যে জনগণকে বিভ্রান্ত করতে অপপ্রচার চালাচ্ছে তারাই ৫ বছরে ৮ বার দাম বাড়িয়েছিল চুরি করার জন্য। এই বিএনপিই ছিল টানা ৫ বার দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন।
আরো পড়ুনঃ