
উগ্রবাদী ও দেশের সার্বভৌমত্ব ও সংস্কৃতির বিরোধিতাকারীরা বাংলাদেশের আজকের অবস্থান সহ্য করতে পারছে না বলে ষঢ়যন্ত্র করছে এবং বাঙালি জাতি তা মোকাবিলা করে জয়ী হবে বলে মনে করেন নাট্যব্যক্তিত্ব আতাউর রহমান। তিনি বলেছেন, ‘আমাদের জাাতির পিতা ন্বাধীনতা সাড়ে তিন বছরের মধ্যে দৈহিকভাবে চলে গেছে, কিন্তু উনি চিরজীবী-চিরঞ্জীব হয়ে আছেন, উনার মৃত্যু নেই। আমরা নৈতিক শক্তি দিয়ে রাজাকার, জামায়াত, এমনকি বিএনপিকেও রোধ করবো। আমরা কিছুতেই জাতির পিতার ভাস্কর্যে হাত দিতে দেবো না। বাঙালিত্বের পরাজয় নেই, মনুষ্যত্বের পরাজয় নেই। আমাদের দেশের শত্রুরা পরাজিত হবেই।’
বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্যের প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, ‘ভাস্কর্য তো ভাস্কর্য, মূর্তি পূজা নয়। এটা ভাঙার জন্য রাজাকাররা উস্কানি দিচ্ছে। এই যে বাংলাদেশ হাজার বছরের ঐতিহ্য নিয়ে ভাষাভিত্তিক একটি সার্বভৌমত্ব রাষ্ট্র হিসেবে দাঁড়িয়ে গেছে, সেটা ওরা সহ্য করতে পারছে না। আমরা বারবার দাঁড়িয়েছি, বারবার ওরা হেরে গেছে। কারণ সত্যের জয় অবশ্ভাবী। আমরা বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে ত্রিশ লক্ষ প্রাণের বিনিময়ে যে দেশ পেয়েছি, তা কোনোদিন মৌলবাদীদের কাছে পরাজিত হবে না।’
বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে রাজাকারদের এসব অপপ্রয়াসের ব্যাপারে তিনি বলেন, ”আমাদের জাতির পিতা, আমাদের মহানায়ক, ৭ মার্চের ভাষণের প্রারম্ভে বলেছিলেন- ‘দুঃখ ভারাক্রান্ত হৃদয়ে আপনাদের সামনে এসে দাঁড়িয়েছি।’ দুঃখের বিষয়, আজকে বাংলাদেশের স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তি হতে যাচ্ছে, এখনও আমরা কিন্তু মাঝে মাঝে দুঃখ ভারাক্রান্ত হৃদয়ের নাগরিক হয়ে যাই। বর্তমানে একটি ঘটনা ঘটেছে, এরকম ঘটনা আগেও ঘটেছে। যিনি আমাদের পাকিস্তানি ঔপনিবেশিক শাসন বা দাসত্ব থকে মুক্তি দিয়েছিল, তার আদর্শ ছিল- জাতীয়তাবাদ, সমাজতন্ত্র, গণতন্ত্র এবং ধর্মনিরপেক্ষতা, উনার সবচেয়ে সব জায়গাটা ছিল ধর্মনিরপেক্ষতা; সবার ভাস্কর্য আছে। মুসলিম দেশে ইরান-তুরস্ক-আফগানিস্তানেও আছে। আমরা কিছুতেই জাতির পিতার ভাস্কর্যে হাত দিতে দেবো না। আমাদের জয় হবেই। জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু। বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।