
কুমিল্লায় সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টের ষড়যন্ত্রের ব্যাপারে তদন্ত করছে আইন প্রয়োগকারী সংস্থা। ইতিমধ্যে মন্দিরে কে কোরআন রেখেছিল, তা সিসিটিভি ফুটেজ দেখে শনাক্ত করার পর কক্সবাজার থেকে সেই দোষী ইকবালকে গ্রেপ্তারও করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
শুধু ইকবালই নয় দেশের বিভিন্ন জায়গায় ঘটে যাওয়া সহিংসতায় সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ এবং মোবাইল ফোনসহ বিভিন্ন মাধ্যমে ধারণকৃত ছবি ও ভিডিও বিশ্লেষণ করার পর ফেস রিকগনিশন প্রযুক্তির মাধ্যমে অপরাধীদের চিহ্নিত করেছেন গোয়েন্দা সংস্থার তথ্য-প্রযুক্তিবিদরা। আর সেই জালে ধরা পড়েছে বিভিন্ন এলাকার বিএনপি, জামায়াত, হেফাজত এবং যুব অধিকার পরিষদের নেতাকর্মীরা। এখনও গ্রেপ্তার অভিযান চলছে।
আরো পড়ুন- ১৭ মিনিটের নতুন ফুটেজে সেই রাতে ইকবালের কোরআন রাখার চিত্র
এদিকে কুমিল্লার ঘটনায় সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ বিশ্লেষণ করে পুলিশ বলছে, কুমিল্লায় পূজামণ্ডপের ৫০০ গজ দূরের দারোগাবাড়ি মাজারসংলগ্ন মসজিদ থেকে কোরআন নিয়ে মন্দিরে ঢোকেন ইকবাল হোসেন নামের এক যুবক। ঘটনার ৮ দিন পর বৃহস্পতিবার রাত ১০টার দিকে কক্সবাজারের সুগন্ধা সৈকত এলাকা থেকে তাকে আটক করার কথা জানায় পুলিশ। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তাকে আটক করা হয়েছে বলে পুলিশের ভাষ্য।
জানা যায়, অপরাধী ইকবাল হোসেন মন্দিরে কোরআন রাখলেও এই জঘন্য কাজের মূল হোতা
সে নয়। ফলে মূল হোতাকে শনাক্ত করার বিষয়টি অগ্রাধিকার দিচ্ছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
একে জিজ্ঞাসাবাদের সূত্র ধরে অনেক কিছুই ইতিমধ্যে খোলাসা হয়েছে। অনুসন্ধানে বেরিয়ে এসেছে কুমিল্লা বিএনপি নেতা শাহজাহান আলী ভূঁইয়া দলের ভারপ্রাপ্ত ও পলাতক চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশে ইকবালকে এ কাজে জড়িয়ে ছিলেন।
[লন্ডনী যুবরাজের প্ল্যান এবং অর্থায়ন, ইকবালকে ভাড়া করে বিএনপি নেতা]
যদিও এখনও অফিসিয়ালি কিছু বলতে চাচ্ছে না আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। তবে অতি সত্ত্বর কুমিল্লার ঘটনায় তারেক রহমানসহ যারা জড়িত তাদের সকলের নাম প্রকাশ করবেন তারা।
এ প্রসঙ্গে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেন, ইকবাল যার প্ররোচনায় এটা করেছে তাকে খুব শিগগির গ্রেপ্তার করা হবে। সঙ্গে নোয়াখালীতে যারা সহিংসতায় জড়িত ছিল, তাদের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
গ্রেপ্তারকৃতদের সাথে বিএনপি এবং জোটের শরিক অপর দলগুলোর নেতাকর্মীদের প্রসঙ্গে বিএনপির মহাসচিব বলেন, কে হামলা চালিয়েছে, এটি এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তবে যদি এটা বিএনপির কেউ করিয়ে থাকে, বিষয়টি দুঃখজনক। রাজনীতির নামে এমন নোংরা খেলা সমর্থনযোগ্য নয়।
আরো পড়ুনঃ