বিপুল অর্থের বিনিময়ে আল জাজিরার তথাকথিত তদন্তকারী দলের কাছে কাহিনী বর্ণনা করছেন যে সামি, সে আসলে বাংলাদেশ থেকে পালিয়ে আসা একজন লোমহর্ষক অপরাধী। জানতেন না নিশ্চয়ই? ভিডিওটি মনযোগ দিয়ে দেখুন, সামি সম্পর্কে আরো চমকপ্রদ তথ্য জানতে পারবেন।

বাংলাদেশে মাদক বিক্রি করতে গিয়ে এক সময় র‍্যাবের হাতে আটক হয় এই আল জাজিরার ভাড়াটে অনুসন্ধানকারী। ১৫-১৬ বছর বয়স থেকেই ড্রাগ নেয়া থেকে শুরু করে মেয়েদের উত্যক্ত করাসহ এমন কোনো কাজ নেই যা সে করতো না। তার নামে স্কুলে অনেক ডিসিপ্লিনারি অভিযোগ রয়েছে।

তার বাবা ঢাকায় পোস্টিং হবার পর সে ঢাকায় থাকতে তার বাবার সেনা ইউনিফর্ম পরে নিজেকে সেনা অফিসার পরিচয় দিয়ে একটি মেয়েকে পটায় এবং পরে পালিয়ে বিয়েও করে। পরে জানাজানি হলে তাকে তার বাবা বাসা থেকে বের করে দেয়। পরে ১ম বউকে ডিভোর্স দিয়ে সে সেনাবাহিনীর একজন ব্রিগেডিয়ার জেনারেলের মেয়েকে বিয়ে করে তার শ্বশুরের কাছ থেকে বিশাল যৌতুক নিয়ে সেই টাকা দিয়ে হাঙ্গেরিতে মাদক ব্যবসা শুরু করে।সামি

সামির বাবা লেফটেনেন্ট কর্ণেল আব্দুল বাসিত যিনি মৃত্যুর আগে তার ছেলে সামিকে উচ্ছৃঙ্খল জীবন যাপনের জন্য অনেকটা ত্যাজ্যই করে দিয়েছিলো। এত ডিস্টার্বড ব্যাকগ্রাউন্ডের একজন মাদকাসক্ত ছেলে টাকার জন্য অনেক কিছুই করতে পারে। এবং তখন থেকেই টাকার জন্য সে চুরি করা থেকে শুরু করে অনেক কিছুই করতো। তার মত ছেলের রেফারেন্স দিয়ে আল জাজিরা একটি দেশের প্রধানমন্ত্রী ও আর্মি চিফকে দুর্নীতিবাজ ও মাফিয়া বানায় দিল, সেটা দেখে

দেশবিরোধী চক্র বিএনপি-জামাত উত্তেজনা অনুভব করতে পারে কিন্তু দেশের সাধারণ জনগণ যে তা বিশ্বাস করে নাই তা স্পষ্টই বুঝা যাচ্ছে। বাস্তবতা হচ্ছে, সামি এই ভিডিওতে তাই বর্ণনা করেছে ডেভিড বার্গম্যানের তদন্তকারী দল তাকে যা বর্ণনা করতে বলেছিল। ডেভিড বার্গম্যান কে জানেন তো? বিএনপি-জামাতের বর্তমান আশ্রয়দাতা ডঃ কামাল হোসেনের মেয়ের জামাই।

যাইহোক, বাপে খেদানো, মায়ে তাড়ানো একজন মাদক সম্রাট সামির মনগড়া বক্তব্যে আপনি বাংলাদেশ নিয়ে বিভ্রান্তিতে পড়ে গেলেন?