প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের সদস্যদের মানহানি করার নাটক সাজাতে গোপন পরিকল্পনার অডিও ক্লিপ ফাঁসের পর নড়েচড়ে বসেছে বিএনপি-জামায়াত গং। হোয়াটস অ্যাপের আলাপচারিতা কীভাবে গণমাধ্যম পর্যন্ত পৌঁছে গেলো তা নিয়ে চিন্তিত তারা। এমনকি বিদেশে বসে বাংলাদেশবিরোধী অপপ্রচারে লিপ্ত ব্যক্তিরাও থমকে গেছে। তবে নিজের অডিও ফাঁসের পর তা গোপন করার পথ আর খুঁজে পায়নি কনক সারওয়ার।

শেখ হাসিনা

ফাঁস হওয়া ওই অডিওতে শোনা গেছে, একজন বিএনপি নেতার সঙ্গে টাকা-পয়সা নিয়ে দেন দরবার করছে কনক সারওয়ার। এমনকি প্রধানমন্ত্রীর নামে মিথ্যাচার ও নেতিবাচক ভিডিও তৈরি করে ফেসবুক ও ইউটিউবে ছাড়ার জন্য টাকার পরিমাণ নিয়েও কথা কাটাকাটি করতে শোনা গেছে তাদের।

সেই সূত্রে জানা যায়, কনক সারওয়ারসহ আরো দুইজনকে স্টুডিও বানানোর জন্য মোটা অঙ্কের টাকা দেওয়া হয়েছে বিএনপি-জামায়াতের পক্ষ থেকে। যুদ্ধাপরাধী সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর ছেলে হুম্মাম কাদের চৌধুরী তাদের জন্য তিন সেট ভালো ক্যামেরা, এডিটিং প্যানেল এবং স্টুডিও বানানোর জন্য পর্যাপ্ত সরঞ্জাম কিনতে প্রায় ৭০ হাজার ডলার দিয়েছে কিছুদিন আগে।

[ শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে গুজব ছড়াতে চাইলে যোগাযোগ করুন কনক সারোয়ারের সাথে ]

বিএনপির গুজব সেলের সেনাপতি কনক সারওয়ার

এছাড়াও নিয়মিত মাসোয়ারাও দেওয়া হচ্ছে তাদের। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার পরিবার নিয়ে বিশেষ নাটকীয় ভিডিও বানাতে পারলে অতিরিক্ত এক হাজার থেকে দেড় হাজার ডলার বোনাস দেওয়া হয়। আর এই অর্থ নিয়েই মন কষাকষি চলছে কয়েকজনের মধ্যে।

একটা প্রোপাগান্ডা ভিডিও বানিয়ে যে টাকা দাবি করছে কনক গং, সেই অর্থ মেটানোর পর তাদের চাহিদা আরো বেড়ে গেছে বলে মনে করছে বিএনপি এক নেতা। মূলত তারেক রহমানের নির্দেশে এই নেতার মাধ্যমেই তাদের হাতে অর্থ পৌঁছান হুম্মাম কাদের। হুম্মামের নির্দেশ, আগের ভিডিওগুলোর চাইতে আরো বেশি আক্রমণাত্মক ভিডিও বানাতে হবে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে।

এদিকে এর আগে মাত্র ১২০০ ডলারে দুটি ভিডিও ভিডিও বানাতে হয়েছে বলেও ক্ষোভ প্রকাশ করেছে কনক সারওয়ার। তবে শেষ পর্যন্ত সম্পর্কের খাতিরে স্বল্প অর্থেও কাজ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে কনক সারওয়ার।