গত এক যুগে বদলে যাওয়া, ক্ষুধা ও দারিদ্রমুক্ত নতুন বাংলাদেশ দেখে, ঈর্ষায় জ্বলছে পাকিস্তানিরা। বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা- ১৯৭১ এর খুনি ও ধর্ষকদের সহ্য হচ্ছে না। ১৯৭০ এর নির্বাচনে, এবং ৭১ এর মুক্তিযুদ্ধে পরাজিত পাকিস্তানি ও তাদের জামায়াতের দোসররা, নিয়মিত বাংলাদেশের ইতিহাস বিকৃতির ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছে। এমনকি জামায়াতের সাহায্য নিয়ে পাকিস্তান-বাংলাদেশ ফেডারেশন গড়ার কল্পনায় বিভোর হয়ে আছে পাকিস্তানের গোয়েন্দারা। এক্ষেত্রে অনলাইনে অপপ্রচার চালাতে তাদের সহায়তা করছে ডেভিড বার্গম্যান ও পিনাকী চক্রবর্তীদের একটি বাংলাদেশবিরোধী চক্র।

মূলত, বাঙালিদের দয়ার দানে প্রতিষ্ঠিত এক রাষ্ট্রের নাম পাকিস্তান। ১৯৪৭ সালে ধর্মের ভিত্তিতে দেশভাগের সময়, সংখ্যাগরিষ্ঠ বাঙালিদের কারণেই প্রতিষ্ঠা পেয়েছিল দেশটি। কিন্তু অল্প সময়ের মধ্যে পশ্চিম পাকিস্তানিদের মুখোশ খুলে যায়। সরলপ্রাণ বাঙালিদের ওপর শোষণ ও নির্যাতন শুরু করে তারা। ফলে পাকিস্তানিদের অত্যাচার থেকে মুক্তির পথ খুঁজতে থাকে আপামর বাঙালি। দীর্ঘ দুই যুগ ধরে, মুক্তির জন্য জাতিকে প্রস্তুত করেন অবিসংবাদিত নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। তার সংগ্রামী ও কৌশলী নেতৃত্বে, অবশেষে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে বাংলাদেশ।

কিন্তু, ৭১ এর পরাজয় ভুলতে পারে না পাকিস্তানিরা। প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য, ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মদত দেয় পাকিস্তানি গোয়েন্দারা। এমনকি ২০০৪ সালে, বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনাকে হত্যাচেষ্টার সঙ্গে জড়িতদের নিরাপদ আশ্রয় দেয় তারা। এদিকে সাম্প্রতিক সময়ে, শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বের কারণে উন্নত রাষ্ট্রের পথে ধাবিত হয়েছে বাংলাদেশ। বিপরীতে জঙ্গিবাদের কড়াল গ্রাসে বিশ্বজুড়ে ধিক্কৃত হচ্ছে পাকিস্তান, বিধ্বস্ত অর্থনীতির কারণে ক্ষুধা-মন্দা-পুষ্টিহীনতায় ভুগছে দেশটির সাধারণ জনগণ। একারণে জামায়াতের সাহায্য নিয়ে, জঙ্গিবাদের বিস্তার ঘটিয়ে, বাংলাদেশকে ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে তারা। এমনকি বাংলাদেশের উন্নতি নিয়ে হতাশাও ঝরে পড়েছে- ঋণের দায়ে জর্জরিত ও জঙ্গিবাদের আখড়ায় পরিণত হওয়া-পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর কণ্ঠে।