
“সেদিন রোজিনা ইসলাম যা করেছে সেটা স্রেফ ঘরে ঢুকে চুরি। পুরো ঘটনাটা উল্টে দেওয়া হলো। যে ড্রামাবাজি উনি করেছিলেন সেটা স্বচক্ষে না দেখলে কেউই বিশ্বাস করবে না। ৬৮ পৃষ্ঠার ডকুমেন্ট উনি নিজেই তার জামার ভেতর থেকে বের করে দিয়েছেন।
রোজিনার অনেক রিপোর্টের ভক্ত আমি নিজেও। সে এর আগেও বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ে একই কাজ করে ধরা পরে পরে মুচলেকা দিয়েছেন। হলি আর্টিজেনের ঘটনার সময় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকেও তাকে ধরা হয় পরে ছেড়ে দেওয়া হয়। আমি দুটি ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী।
আমি আমলা হিসেবে নয় একজন সাধারণ মানুষ হিসেবে সাদা চোখে যা দেখেছি সেটা স্রেফ ন্যাক্কারজনক চুরির ঘটনা। এবং পরে তা ঢাকতে তার সুনিপুণ ড্রামাবাজি। বুকে ব্যথা করছে বলে তার মেঝেতে শুয়ে পড়া, যে এমএলএসএস মেয়েটি তাকে ধরে তুলে চেয়ারে বসিয়ে দিয়ে বুকে হাত বুলিয়ে দিকলেন সেটাকে গলাচেপে ধরার মিথ্যে উপস্থাপন এবং এমএলএসএস মেয়েটিকে অতিরিক্ত সচিব পরিচয় দেওয়া- এগুলো সবাই মিলে সারাবিশ্বে ছড়িয়ে দেওয়া। কারা করলো এসব?
সে অসুস্থ হবার ভান আমার সামনেও করেছে। আমিও তার গায়ে হাত হুলিয়ে দিয়েছি। ভাগ্যিস সে ছবি কেউ তুলেনি। তাহলে আজ আমারও একই দশা হত।
ভাইরে এ দেশটাকে আমি বড় ভালোবাসি আপনার মতই। কিন্তু এ ক’ দিনের এই অন্ধত্ব দেখে কাল মেয়েদেরকে বলতে বাধ্য হয়েছি যে, দেশ থেকে চলে যাবার চেষ্টা কর। যে দেশের সবাই একজন চোরকে হিরো বানিানোর জন্য দেশটাকেই দেশে বিদেশে কলঙ্কিত করে সে দেশের জন্য দূরে থেকেই কাঁদুক আমার সন্তানেরা।
ভাইরে, পরের দুখে কাঁদতে শেখাটাই চরম নয় ভাই। মহৎ দেখে কাঁদতে শিখলেই সে কাঁদা ধন্য হয়। আপনার মত মানুষও কেন স্রোতে গা ভাসাবে। প্রকৃত ঘটনা জানুন, বিশ্লেষণ করুন, যার যতটুকু দোষ তা লিখুন। দেশ উপকৃত হবে।
আমলাতন্ত্রের পুরোটাই যেমন মন্দ নয়, সাংবাদিকদের মাঝেও সবাই রোজিনা নয় এটা সত্য। রোজিনার চুরির ঘটনাকে অন্ধভাবে সাপোর্ট করে আপনারা অন্য ভালো সাংবাদিকতাকেও প্রশ্নবিদ্ধ করবেন কেন।
সূত্রঃ স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়