
হেফাজতে ইসলামকে পাকিস্তানি জঙ্গি সংগঠন- তেহরিক ই লাব্বায়িক এর আদলে গড়ে তুলতে চেয়েছিলেন হেফাজতের বিলুপ্ত কমিটির যুগ্ম-মহাসচিব মামুনুল হক। শুধু দেশের মাটিতে নাশকতা বা সহিংসতা নয়, বিদেশি গোয়েন্দা সংস্থা এমনকি জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে সরাসরি সংশ্লিষ্টতা আছে হেফাজতে ইসলামের বিলুপ্ত কমিটির কয়েকজন নেতা ও তাদের পরিবারের, এমনটাই প্রমাণ পেয়েছে পুলিশ।
পুলিশের হাতে আটক হেফাজতের বিলুপ্ত কমিটির যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হক তার ভগ্নিপতি নেয়ামতুল্লার মাধ্যমে পাকিস্তানের বিভিন্ন জঙ্গিগোষ্ঠী ও গোয়েন্দা সংস্থার সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখতেন বলে সম্প্রতি পুলিশ জানিয়েছে। ২০০৫ সালে মামুনুল হক ও তার বোন টানা ৪৫ দিন পাকিস্তানে অবস্থান করে বিভিন্ন জঙ্গিগোষ্ঠীর সাথে বৈঠক করেন। তিনি হেফাজতে ইসলামকে পাকিস্তানি সংগঠন- তেহরিক ই লাব্বায়িক এর আদলে গড়ে তুলতে চেয়েছিলেন বলে প্রমাণ পেয়েছে পুলিশ।
পুলিশ সুপার বলেন, পাকিস্তানে ৪০ দিন এক সঙ্গে ছিলেন নেয়ামতুল্লা ও মামুন। তারা সেখান থেকে একটা মডেল বাংলাদেশে নিয়ে আসেন। বসনিয়ায় যুদ্ধ করার জন্য এক লাখ মুজাহিদকে ট্রেনিং দেওয়া হয়েছে বলে ১৯৯৭ সালে সাপ্তাহিক বিচিত্রার সঙ্গে সাক্ষাৎকারে জানিয়েছিলেন মামুনুল হকের বাবা আজিজুল হক। তালেবানরা চাইলে এক-দুইজন নয়, লাখ লাখ যোদ্ধা পাঠানো হবে বলে জানিয়েছিলেন তিনি। পুলিশ বলছে, বাংলাদেশকে আফগানিস্তান বা পাকিস্তান মডেলের তালেবানি রাষ্ট্র বানানোর স্বপ্নে বিভোর ছিল অনেক হেফাজত নেতা।