
২৬ মার্চ, ২০২১। বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণার ৫০ বছর পূর্তির দিন ছিল। মহান স্বাধীনতার এই সুবর্ণজয়ন্তীর বছরটি জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে উদযাপনে ব্যস্ত ছিল সরকার। এই সুযোগটি কাজে লাগানোর জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছিল হেফাজতের ধর্মব্যবসায়ীরা। টানা ৩ দিন দেশজুড়ে অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুর চালায় তারা। পরে বিভিন্ন সিসিটিভি-এর ফুটেজ থেকে নাশকতায় সম্পৃক্তদের আটক করে পুলিশ। তবে তাদের পরিচয় সম্পর্কে যা জানা গেছে, তা আঁতকে ওঠার মতো। হেফাজতের নাশকতায় সমানতালে অংশ নিয়েছিল জামায়াত-শিবিরের কর্মীরা। এছাড়াও আটকদের অনেকেই নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন হরকাতুল জিহাদ সংক্ষেপে হুজি, আনসার-আল-ইসলাম বা আনসারুল্লাহ, জেএমবি ও নব্য-জেএমবি’র সদস্য। সাম্প্রতিক জিজ্ঞাসাবাদে আটক জঙ্গি নেতারা জানায়, লণ্ডনে অবস্থারত তারেক রহমানের পরামর্শেই তারা আবার সংগঠিত হওয়া চেষ্টা করছিল। তবে নিজেদের সংগঠনের নাম ব্যবহার না করে হেফাজতের সঙ্গে মিশে যেতে বলা হয় তাদের।
গোয়েন্দা সূত্র আরো জানায়, আফগানিস্তান থেকে ফেরত আসা এসব হুজি জঙ্গিকে সিসিটিভি ফুটেজের নাশকতায় চিহ্নিত করার পর টনক নড়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর। দ্রুত এদের আটক করা হয়। আটক জঙ্গিদের স্বীকারোক্তি অনুসারে পরবর্তীতে গ্রেফতার করা হয়েছে গত কিছুদিন উগ্রবাদ ছড়ানো হেফাজতের কমিটির শিক্ষা ও সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক হারুন ইজহারকে। মূলক এখন যারা হুজি জঙ্গিদের সক্রিয় করে তুলছে, হারুন ইজহার তাদের অন্যতম একজন। হারুন ইজহারের ফোন ও ইন্টারনেট যোগাযোগের হিস্ট্রি উদ্ধার করে বিশাল রাজনৈতিক ও জঙ্গি নেটওয়ার্কের তথ্য পাওয়া গেছে। এছাড়াও নাশকতার দায়ে আটক হেফাজত নেতারা জানিয়েছেন- সব নাশকতার সঙ্গে তাদের সম্পৃকতা নাই, জামায়াত-শিবিবের কর্মীরাও মাঠে ছিল তাদের সঙ্গে। এছাড়াও বাবুনগরী, মামুনুল হক ও হারুন ইজহারের ব্যক্তিগত যোগাযোগ থেকেও বিভিন্ন গোষ্ঠীর সশস্ত্র লোকজন এতে যোগ দিত। তবে বিএনপির সিনিয়র মহাসচিব তারেক রহমানের সঙ্গে তাদের নিয়মিত যোগাযোগ হতো বলেও স্বীকার করেছেন তারা।
আটক হেফাজত নেতারা জানান- মূলত ২০১৩ সালে শাপলা চত্বরে হেফাজতের যে সমাবেশ হয়, তখনই বাবুনগরীর সঙ্গে বৈঠক হয় খালেদা জিয়ার। হেফাজত কয়েকদিন মাঠ দখল করে রাখতে পারলে, সশস্ত্র অ্যাকশনের কাজটা কয়েকটি বিশেষ বাহিনী ও জামায়াত-শিবিরের কর্মীরা করে দেবে বলেও প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন খালেদা জিয়া। তখন সেখানে জামায়াতের শীর্ষ দুই নেতা উপস্থিত ছিলেন। এরপর থেকেই তারেক রহমানের সঙ্গে একটা ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ গড়ে ওঠে হেফাজতের উগ্রপন্থী নেতাদের। পরবর্তীতে হেফাজতের বেশ কয়েকজন নেতার সঙ্গে নিয়মিত বৈঠক করতেন তারেক। তারেকের নির্দেশে বিএনপির অর্থায়নেই বাবুনগরী-মামুনুল-হারুন ইজহাররা শক্তিশালী হয়ে ওঠে হেফাজতের মধ্যে। কিন্তু হেফাজতের বয়স্ক আমির আহমদ শফী দেশজুড়ে নাশকতা ঘটানোর পক্ষে না থাকায় তারা সরাসরি মাঠে নামতে পারছিল না। তবে ২০২০ সালে শফীর মৃত্যুকে (মতান্তরে হত্যা) কেন্দ্র করে হাটহাজারী মাদ্রাসাতেও প্রকাশ্যে শোডাউন দেয় এই হুজি জঙ্গিরা। এসময় লন্ডন থেকে স্কাইপে-তে সক্রিয় হয়ে ওঠেন তারেক রহমান।
বিএনপি–জামায়াত–হেফাজতের ভয়ানক পরিকল্পনা
তারেকের সরাসরি নির্দেশেই আহমদ শফীর লাশ জানাজার সময়ই হাটহাজারী মাদ্রাসার দখল নেয় জামায়াত নেতারা। এরপর তারা বাবুনগরীকে আমির ঘোষণা করে ১৫১ সদস্যের নতুন কমিটি ঘোষণা করে। হেফাজতের এই নতুন কমিটির মধ্যে ৮৫ সরকারবিরোধী ও উগ্র রাজনৈতিক দলের নেতা। এরমধ্যে জামায়াতের ৮ জন, বিএনপির ১ জন, বিএনপি-জামায়াতের শরিক জমিয়তের ৩৪ জন, রাজাকারপুত্র মামুনুল হকের বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের ১৮ জনকে হেফাজতের কেন্দ্রীয় নেতা বানিয়ে মূল মুখপাত্র করা হয় মামুনুলকে। তার কাজ ছিল দেশজুড়ে ওয়াজ-মাহফিলের মাধ্যমে উগ্রতার ছড়ানোর বিষয়টি নিশ্চিত করা, ধর্মীয় বক্তাদের কাজে লাগিয়ে সাধারণ মানুষের ব্রেন ওয়াশ করা। এছাড়াও জঙ্গিবাদী হুজি, আনসারুল্লাহ, জেএমবির সাবেক নেতাদের হাতে ছেড়ে দেওয়া হয় মাঠপর্যায়ের সহিংসতা ও নাশকতার মূল দায়িত্ব। সরকারবিরোধী অপপ্রচার ছড়ানো এবং উগ্রবাদী কাজের জন্য জনবল প্রশিক্ষণের দ্বায়িত্ব নেন আফগান ফেরত হুজি নেতা হারুন ইজহার। হেফাজতের এই কমিটিতে এজন্য তাকে শিক্ষা ও সংস্কৃতি সম্পাদকের পদ দেওয়া হয়। এছাড়াও বিএনপি মহাসচিব ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে নিয়মিত হেফাজতের পক্ষে মিডিয়ার কথা বলার অ্যাসাইমেন্ট দেন তারেক। আর জামায়াতের কাজ হেফাজতকে সবধরনের লজিস্টিক সাপোর্ট দেওয়া, গণ্ডগোল শুরু হলে সেটাকে সাংগঠনিক কাঠামোতে নিয়ে আসা এবং বিএনপিকে সামনে রেখে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার দখল নেওয়া।
পরিকল্পনা নিঁখুত ছিল। এবং সেই অনুসারে, ধর্মীয় লেবাসকে ব্যবহার করে, সাধারণ সরলপ্রাণ মানুষদের বিভ্রান্ত করে, স্বাধীনতা দিবসেরন উদযাপন পণ্ড করতে দেশজুড়ে অস্থিরতা সৃষ্টি করা হচ্ছিলো। বিএনপির নির্দেশে, জনগণের সামনে হেফাজতের ধর্মের ঢাল ব্যবহার করে, রক্তাক্ত সহিংসতা ছড়ানোর কাজ করছিল জামায়াত-হুজির জঙ্গিরা। কিন্তু হেফাজত নেতা মামুনুল হক দেশজুড়ে সহিংসতা সৃষ্টি করে নিজে নারী নিয়ে রিসোর্টে অবৈধভাবে ধরা পড়ার পর দ্রুত বদলাতে থাকে দৃশ্যপট। শুরুতে মামুনুলের অপকর্ম ঢাকতে হেফাজত নেতারা ও জঙ্গিবাদী গ্রুপগুলো সোচ্চার হয়। কিন্তু কয়েকদিনের মধ্যেই মামুনুলের কয়েকটি নারী কেলেংকারীর ঘটনা প্রকাশ্য হয়ে পড়ে। পরে ধীরে ধীরে নীরব হয়ে যায় হেফাজত। এরমধ্যেই সহিংসতার দায়ে ভিডিও ফুটেজ দেখে দেখে নাশকতাকারী ও উস্কানি দেওয়া নেতাদের আটক করে সরকার। ফলে একে একে বেরিয়ে আসতে থাকে তাদের রোমহর্ষক সব পরিকল্পনা ও অপকর্মের কথা।
হুজি জঙ্গিদের দিয়ে রক্তাক্ত অভ্যুত্থানের মাস্টারপ্ল্যান
গত কিছুদিন ধরে দেশজুড়ে নাশকতার ‘মাস্টারমাইন্ড’ হিসেবে তারেক রহমানের নাম উল্লেখ করেছেন একাধিক গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা। তারা জানান, দীর্ঘদিন ধরেই একটি নিখুঁত পরিকল্পনা করছিলেন খালেদা জিয়ার পুত্র তারেক রহমান। রাজপথের আন্দোলনে বিএনপির নেতাকর্মীরা সক্রিয় না হওয়ায়, তাদের ওপর আস্থা হারিয়ে ফেলেন তারেক। নগদ টাকা ও আইএসআই-এর যোগাযোগ কাজে লাগিয়ে একত্রিত করেন দেশের জঙ্গিবাদী ও উগ্রবাদী গ্রুপগুলোকে। পরবর্তীতে তাদের সরকারের ক্ষমতার অংশীদার করা এবং সবধরনের নাশকতার অভিযোগ থেকে দায়মুক্তি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন তিনি।
এদিকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতার কারণে গত এক দশকে ভেঙে পড়েছিল দেশের জঙ্গিবাদী গ্রুপগুলো। ফলে তারাও নিজেদের সংগঠিত করার সুযোগ হিসেবে তারেক রহমানের প্রস্তাবে সায় দেয়। নিয়মিত বিরতিতে অনলাইনে তাদের নির্দেশনা দিতেন তারেক রহমান। গত কয়েক বছরে ধীরে ধীরে এদের হেফাজতের সঙ্গে সম্পৃক্ত করেন তিনি।
হুজিসহ জঙ্গিগ্রুপগুলোকে হেফাজতে সম্পৃক্ত করতে সহযোগিতা করেন হেফাজন নেতা মামুনুল হক ও বাবুনগরী। তাদের দুজনের সঙ্গেই পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই এবং পাকিস্তানি উগ্রবাদী গোষ্ঠী লস্কর-ই-তৈয়বার সম্পর্ক দীর্ঘদিনের। ২০০৪ সালে শেখ হাসিনাকে গ্রেনেড ছুড়ে হত্যাচেষ্টা ব্যর্থ হওয়ার পর মাওলানা তাজউদ্দীনকে নিজের মাদ্রাসায় লুকিয়ে রেখেছিলেন মামুনুল। পরে তারেক রহমান নিজে আইএসআই-এর সঙ্গে যোগাযোগ করে জঙ্গি তাজউদ্দীনকে পাকিস্তানে পাঠিয়ে দেন। সেই সূত্রে একাধিকবার পাকিস্তানে গিয়েও আইএস-জঙ্গি, আল কায়েদা এবং লস্কর-ই-তৈয়বার নেতাদের সঙ্গে বিভিন্ন বৈঠকে অংশ নেন মামুনুল হক। তারেক রহমানের পৃষ্ঠপোষকতায় এদের সঙ্গে বাংলাদেশি হুজি, জেএমবি ও আনসারুল্লাহ জঙ্গিদের কানেক্ট করান মামুনুল হক।
আওয়ামী লীগ সরকারকে উৎখাতের জন্য এই গ্রুপগুলোকে তারেক রহমানের আস্থায় নেওয়ার কারণ হিসেবে গোয়েন্দারা বলেন, হুজি এদেশের অন্যতম পুরনো জঙ্গিগোষ্ঠী। ২০০০ ও ২০০৪ সালে দুবার এরা তৎকালীন বিরোধীমলীয় নেত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার চেষ্টা করেছে। ১৯৯৯ সালে উদীচী বোমা হামলা ও কবি শামসুর রাহমানকে হত্যাচেষ্টা, ২০০১ সালে রমনার বটমূলে নববর্ষের অনুষ্ঠানে বোমা হামলা, ২০০৪ সালে ব্রিটিশ হাই কমিশনারের ওপর হামলাসহ বিএনপি সরকারের দুই মেয়াদে আওয়ামী লীগের কমপক্ষে ২০টি সমাবেশে এরা বোমা হামলা চালিয়েছে। সন্ত্রাবাদের দায়ে ২০১৭ সালে এদের প্রধান মুফতি হান্নানের ফাঁসি হলে হুজির সাংগঠনিক কাঠামো ভেঙে পড়ে। তবে পরবর্তীতে হেফাজতের খোলসে এদের আবারো সক্রিয় করে তোলা হয় তারেক রহমানের নির্দেশে।
২০১৯ সালের অক্টোবরে রাজধানীর খিলক্ষেত এলাকার একটি বাসা থেকে প্রচুর গোলাবারুদ ও অস্ত্রসহ হুজির অন্যতম শীর্ষ নেতা আতিকুল্লাহ ওরফে আসাদুল্লাহকে গ্রেফতার করে পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদে সে জানায়, হুজিকে নতুন করে সংগঠিক করতেই সৌদি আরব থেকে দেশে ফিরেছিল সে। বিএনপি সরকারের পতনের পর দেশ থেকে পালিয়ে প্রথমে পাকিস্তান ও পরে সৌদি আরবে গিয়েছিল। পাকিস্তানে থাকার সময় সেখানকার জঙ্গিদের সঙ্গে তার নেটওয়ার্ক গড়ে ওঠে। পরবর্তীতে দেশের একাধিক বিরোধী রাজনৈতিক দলের নেতারা তাকে অর্থ ও নিরাপত্তার নিশ্চয়তা দিলে, সে দেশে ফেরে এবং সংগঠনকে গড়ে তোলার তৎপরতা শুরু করে। সে আরো জানায়, ২০০৭ সাল পর্যন্ত হুজির প্রতিনিধি হিসেবে দেশে বসেই লাদেনের আল কায়েদা ও সিরিয়ার আইএস নেতাদের সঙ্গে তারা নিয়মিত যোগাযোগ করতো সে। তবে আনসারুল্লার সঙ্গে আল কায়েদার যোগাযোগ আরো ঘনিষ্ঠ। মূলত আনসারুল্লাই বাংলাদেশে আল কায়েদার শাখা বলে দাবি করে। আবার আইএস-এর সরাসরি বাংলাদেশের প্রতিনিধি হলো জেএমবি ও নব্য-জেএমবি। তারা ২০০৫ সালে দেশের সব জেলায় একযোগে বোমা বিস্ফোরণ ঘটায়।
তবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরাতয় হুজির কয়েকজন শীর্ষ নেতা আটক হওয়ায়, হারুন ইজহারের ওপর আস্থা রাখেন তারেক রহমান। এবং হারুন ইজহারও অত্যন্ত সুকৌশলে হেফাজতের ভেতরে ফুকে পড়েন। এবং মাদ্রাসার অসহায় ছেলেদের হুজিতে রিক্রুট করতে শুরু করেন। এজন্য তারেকের নির্দেশে তাকে পর্যাপ্ত টাকার সরবরাহ দেন বিএনপি নেতারা, এবং মাঠে যেকোনো সাহায্য দিতে থাকেন জামায়াত-শিবিরের নেতাকর্মীরা।
২০১৩ সালের ৫ মে: দেশজুড়ে তাণ্ডবের পরিকল্পনা ছিল
সম্প্রতি নাশকতার দায়ে আটক হেফাজত নেতারা আটক হওয়ার পর প্রথমে তারা ধর্মকে ব্যবহার করে মানুষকে উত্তেজিত করার চেষ্টা করেন। কিন্তু তাদের নারী কেলেংকারী-বলাৎকার-আর্থিক দুর্নীতি ও সহিংতার সব তথ্য-প্রমাণ জনসম্মুক্ষে প্রকাশ হয়ে পড়ায় বিপাকে পড়ে যায় এই ধর্মব্যবসায়ীরা। এরপর নিজেরাই একে অপরের ওপর দোষ চাপিয়ে একে একে স্বীকার করতে থাকেন সব রাষ্ট্রবিরোধী অপকর্মের কথা।
এ বিষয়ে পিবিআই-এর একজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ২০১৩ সালে চট্টগ্রামের লালখান বাজারের একটি মাদ্রাসায় বিস্ফোরণের ঘটানোর দায়ে এমন একজন হেফাজত নেতাকে গ্রেফতার করা হয়েছিল, যিনি হুজির কার্যক্রম পরিচালনা করতেন বলে পরবর্তীতে জানা গেছে। তার নাম হারুন ইজহার। যাকে সম্প্রতি সহিংসতা ঘটানোর অভিযোগে র্যাব গ্রেফতার করেছে। হেফাজতের সাবেক আমির মরহুম আল্লামা শফী হত্যার সাথেও তিনি সরাসরি জড়িত বলে হাটহাজারী মাদ্রাসার সূত্রগুলো জানিয়েছে।
এদিকে ২০১৩ সালের ৫মে রাজধানীর শাপলা চত্বরে হেফাজতের সমাবেশের মাধ্যমে দেশের সরকারকে উৎখাতের পরিকল্পনার কথাও স্বীকার করেছেন হেফাজত নেতা মামুনুল হক। তিনি জানান, এ বিষয়ে খালেদা জিয়ার সঙ্গে বাবুনগরী ও তার বৈঠক হয়েছিল। বৈঠকে জামায়াত নেতারাও ছিলেন। বৈঠকের পর তারেক রহমানের নির্দেশে বাবু নগরীকে ৫০ লাখ টাকা ক্যাশ দেন বিএনপি নেতা সাদেক হোসেন খোকা। এছাড়াও ওই কয়েকদিনে হেফাজতের বিভিন্ন গ্রুপকে কয়েক কোটা টাকা দেওয়া হয়েছিল বিএনপির পক্ষ থেকে।