
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফরের প্রতিবাদে’ গত ২৬ থেকে ২৮ মার্চ পর্যন্ত টানা তিন দিন হেফাজত দেশজুড়ে যে তাণ্ডব চালায়, তার সঙ্গে হুজির যোগসূত্র পাওয়া গেছে। এটি আসলে হুজির পরিকল্পিত কর্মকাণ্ড ছিল। ঢাকা মহানগর পুলিশের যুগ্ম কমিশনার (গোয়েন্দা শাখা) মাহবুব আলম বলেন, ‘তদন্তে জঙ্গি সংগঠনগুলোর সঙ্গে হেফাজতের যোগসূত্র থাকার প্রমাণ আমরা পেয়েছি। ধর্ম-ভিত্তিক এই সংগঠনটির সঙ্গে আফগানিস্তান ফেরত একটি দল ও জামায়াত-শিবিরের কিছু সদস্য যুক্ত হয়েছে।
পিবিআইয়ের একজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ২০১৩ সালে এমন অন্তত একজন হেফাজত নেতাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল, যিনি আসলে হুজির কার্যক্রম পরিচালনা করতেন বলে পরে জানা গেছে।চট্টগ্রামের লালখান বাজারের একটি মাদ্রাসায় বিস্ফোরণের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। সে হল হেফাজতে ইসলামের সদ্য বিলুপ্ত কমিটির শিক্ষা ও সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক হারুন ইজহার। যাকে আজ রাতে সাম্প্রতিক সহিংসতা এর ঘটনার অভিযোগে র্যাব গ্রেপ্তার করে। হেফাজতের সাবেক আমীর মরহুম আল্লামা শফী হত্যার সাথেও তিনি সরাসরি জড়িত বলে চাউর রয়েছে। একটি গোয়েন্দা প্রতিবেদনে দেখা গেছে, হেফাজতের প্রায় ডজনখানেক নেতার সঙ্গে সংশ্লিষ্টতা রয়েছে আরেক জঙ্গি সংগঠন আনসার-আল-ইসলামের।