
মামুনুল হক রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য ওয়াজের বয়ানে রাষ্ট্রবিরোধী, উস্কানিমূলক বক্তব্য দিয়ে কওমি মাদ্রাসার কোমলমতি শিক্ষার্থীদের মধ্যে ধর্মীয় উন্মাদনা সৃষ্টি করে আন্দোলনের নামে পুলিশের সঙ্গে সহিংসতার মুখে ঠেলে দিতে উস্কানিমূলক বক্তব্য দিত এই হেফাজত নেতা।
আহমেদ শফীর মৃত্যুর পেছনে তার এবং জুনায়েদ বাবুনগরীর ভূমিকার কথা স্বীকার করেছে মামুনুল। এজন্য জুনায়েদ বাবুনগরী তাকে যুগ্ম মহাসচিবের দায়িত্ব দিয়েছেন বলেও সে স্বীকার করেছে। যখন শফী হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছিল সেই সময় এই রাজাকারপুত মামুনুল ছিল শফীর দেখভালের দায়িত্বে। সেই দায়িত্ব পালনকালে এই বয়োজষ্ট নেতার মুখের অক্সিজেন মাস্ক খুলে ফেলার নেতৃত্বে ছিল এই হেফাজত নেতা। আহমেদ শফীর মৃত্যুর ঘটনাটি একটি পরিকল্পিত হত্যাকান্ড। তাকে হত্যার পেছনে যারা জড়িত ছিল তাদের মধ্যে মামুনুল হক অন্যতম ছিল। হত্যার মূল পরিকল্পনাকারী ছিল জুনায়েদ বাবুনগরী।
হেফাজতে ইসলাম প্রতিষ্ঠার শুরুতে একটি অরাজনৈতিক সংগঠন হিসেবে কার্যক্রম শুরু করে। সেময় আত্ম কোন্দল ছিল না, রাষ্ট্রক্ষমতা দখলেরও কোন লালসা ছিল না। কিন্তু হেফাজতের আমির আহমেদ শফীকে হত্যার পর থেকে পুরোপুরি পাল্টে যায় সংগঠনটির চিত্র। জুনায়েদ বাবুনগরী সংগঠনটির আমির হওয়ার পর থেকে তাদের মধ্যে রাষ্ট্রক্ষমতা ও আর্থিক লালসা পেয়ে বসে। সেসময় তাদের সামনে রাষ্ট্রক্ষমতা ও আর্থিক সহায়তা নিয়ে এগিয়ে আসে বিএনপি-জামায়াত। বিএনপি-জামায়াতের নেতৃত্বাধীন জোটভুক্ত নেতারাই এখন হেফাজতে ইসলামের নীতি নির্ধারণের ভূমিকায় অবতীর্ণ। তখন থেকেই বিএনপি-জামায়াতের প্রেসক্রিপশনেই চলছিল হেফাজতের কার্যক্রম। এ কারণেই বিএনপি-জামায়াতের এজেন্ডা বাস্তবায়ন করতে গিয়ে নাশকতাসহ সহিংস সন্ত্রাসের তান্ডব চালানোর ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছে হেফাজত। এরই অংশ হিসেবে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সফরের বিরোধিতার নামে হেফাজতে ইসলাম সারাদেশে সহিংস তান্ডব চালায়। বাংলাদেশের স্বার্থে এই দেশ বিরোধী অপশক্তিকে রুখে দেয়ার এখনি সময়।