ভুল

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ভুল রাজনীতির কারণে আবার মুমূর্ষু অবস্থায় পড়েছে দীর্ঘ ১৭ বছর ক্ষমতার বাইরে থাকা বিএনপি। এবারের নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করা, নির্বাচন বর্জনের ডাক দেওয়া, নির্বাচনের আগে অসহযোগ আন্দোলন এবং কেন্দ্রীয়ভাবে এ ধরনের বাস্তবতা বিবর্জিত রাজনৈতিক কর্মসূচি বিএনপিকে ডোবাচ্ছে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।

বিএনপির নেতারাই এখন বলছেন যে তারা দিক নির্দেশনাহীন। কী করবেন তারা ভেবে পাচ্ছেন না। সামনের দিনে বিএনপির কর্মসূচি কী হবে, সে সম্পর্কেও বিএনপি নেতাদের কোন রকম সুনির্দিষ্ট নির্দেশনা নেই। ফলে তারেকের ডামি নেতৃত্বে বিএনপি এখন আবার অন্ধকার টানেলে প্রবেশ করেছে বলেই মনে করছেন বিশ্লেষকরা।

দ্বাদশ জাতীয় সংসদের নির্বাচনের আগে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার শাহজাহান ওমর আওয়ামী লীগে যোগ দেন। এই জ্যেষ্ঠ নেতা দলটিতে যোগ দিয়েই জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঝালকাঠি-১ আসন থেকে জয় লাভ করেন। শাহজাহান ওমর বিএনপি ছাড়ার পর এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ দলের অন্য নেতাদের সঙ্গে চলা সম্ভব না হওয়ায় দলটির রাজনীতি ছেড়ে দিয়েছি।

তিনি বলেন, জিয়ার রাজনীতি থেকে বঙ্গবন্ধুর রাজনীতি আরও উন্নত। জিয়ার রাজনীতি ছেড়ে বঙ্গবন্ধুর রাজনীতিতে আসাকে আমি প্রমোশন মনে করি। এদিকে বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা সৈয়দ এ কে একরামুজ্জামানও স্বতন্ত্র নির্বাচন করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১ আসন থেকে সংসদ নির্বাচনে জয়ী হয়েছে। স্বতন্ত্র নির্বাচন করায় তাঁকেও দল থেকে বহিষ্কার করে বিএনপি।

এদিকে দলের সিদ্ধান্ত অমান্য করে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে ভোটে আসায় পনের জনের বেশি নেতাকে বহিষ্কারdownload 2 তারেকের ভুল নেতৃত্বে ডুবছে বিএনপি করেছে বিএনপি। তাদের মধ্যে আটজন কেন্দ্রীয় নেতা, বাকি সাতজন জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে নেতৃত্বে ছিলেন। দলটির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বিভিন্ন সময়ে সংবাদ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে এসব বহিষ্কারের কথা জানিয়েছেন। এর আগে দেশের বিভিন্ন সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার জন্য প্রায় তিনশো জনের বেশি নেতাকর্মীকে বহিষ্কার করে বিএনপি। রাজনৈতিক দল হিসেবে দলের নেতাকর্মীদের নির্বাচনের বাহিরে রাখার মাধ্যমে সাংগঠনিকভাবে বিএনপি নিজেদের আরও দুর্বল করে তুলছে বলে মনে করেন দলটির অনেক নেতাকর্মী।

আরও পড়ুনঃ খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা মাহমুদুর রহমানের স্বীকারোক্তি ‘সেই দশ ট্রাক অবৈধ অস্ত্র এসেছিল বিএনপি-জামায়াত সরকারের সিদ্ধান্তে’

১০ ট্রাক অস্ত্র মামলা, নাইকো দুর্নীতি মামলায় অভিযুক্ত তারেক ২০০৮ সালে রাজনীতি না করার মুচলেকা দিয়ে দেশ ছাড়েন । দুর্নীতির পাশাপাশি জঙ্গিদের পক্ষে অর্থায়নের অভিযোগও রয়েছে তার বিরুদ্ধে। গত ১৬ বছর ধরে লন্ডনে অবস্থান করছেন তারেক। সেখান থেকেই ২০১৩ সালে যুদ্ধাপরাধীদের পক্ষ নিয়ে তিনি দেশে জ্বালাও পোড়াওয়ের রাজনীতি শুরু করেন। ২০১৪ সালের নির্বাচনে না এসে জ্বালাও পোড়াওয়ের রাজনীতি অব্যাহত রাখে বিএনপি। যা ২০১৫ সাল পর্যন্ত চলতে থাকে। এমন রাজনীতির মাধ্যমে বিএনপি একটি জনবিচ্ছিন্ন দলে পরিণত হয়।

২০১৮ সালেও তারেক ভোট না করে মনোনয়ন বাণিজ্যে মনযোগী হন। অভিযোগ রয়েছে, নির্বাচনের আগে মনোনয়ন বাণিজ্য করে মোটা অংকের টাকা বাগিয়ে নেন তারেক রহমান। আর এ কারণে দলকে বার বার সমস্যায় পড়তে হয়। বিএনপির একাধিক নেতা সূত্রে জানা গিয়েছে যে, ২০১৮ সালের নির্বাচনেও মনোনয়নবিএনপি-দুর্নীতি চূড়ান্ত করেছিল এই তারেক জিয়া। যদিও স্থায়ী কমিটির সদস্যদের নেতৃত্বে একটি মনোনয়ন বোর্ড গঠিত হয়েছিল, কিন্তু সেই বোর্ডের ক্ষমতা ছিল খুবই সামান্য। তাঁরা শুধু লন্ডন থেকে প্রেরিত নামগুলো ঘোষণা করেছিলেন। আর এই মনোনয়ন নিয়ে দলে ভয়াবহ কান্ড ঘটে। বিএনপির অন্তত ১৭৩টি আসনে দুই থেকে তিন জনকে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছিল। যার ফলে পরবর্তীতে বিএনপির মধ্যেই গৃহদাহ তৈরি হয়। ফলে নির্বাচনে ভরাডুবি হয় বিএনপির। এইভাবেই ২০১৮ সালের নির্বাচনে বিএনপির পরাজয়ের বড় কারণ ছিল তারেক রহমানের মনোনয়ন বাণিজ্য।

জানা গেছে, ওই সময় এক হাজার কোটি টাকা বাণিজ্যের টার্গেট নিয়ে মাঠে নেমেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক জিয়া। ওই সময় ৫০ টি আসন দলের সিনিয়র নেতাদের জন্য তুলে রেখে বাকি ২৫০ টি আসন নিলামে তুলেছেন তারেক জিয়া। আর এ অদূরদর্শী রাজনীতির কারণে বিএনপির আবারও ভরাডুবি হয়।

এবারের নির্বাচনের আগে ২৮ অক্টোবর বিএনপি তার রাজনীতির প্রথম ভুল পথ বেছে নেওয়া শুরু করে। ওই দিন শান্তিপূর্ণ সমাবেশে তারেক জিয়ার নির্দেশে কিছু সংখ্যক বিশৃঙ্খল ক্যাডার পরিকল্পিত সন্ত্রাস এবং নাশকতা শুরু করে। তারা প্রধান বিচারপতির কার্যালয়ে হামলা করে, হাসপাতালে অগ্নি সংযোগের ঘটনা ঘটায় এবং একজন পুলিশ কনস্টেবলকে বেধড়ক ভাবে পিটিয়ে হত্যা করে। এরপর সারাদেশে শুরু হয় বিএনপির সদস্য তাণ্ডব। ২৮ অক্টোবর থেকে নির্বাচনের দিন পর্যন্ত সারা দেশে বিএনপির শতাধিক গাড়ি অগ্নিসংযোগ করে, ভাঙচুর করে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান। এমনকি দুই দফায় ট্রেনে আগুন দেওয়ার মতো ঘটনা ঘটিয়েছে। এই সমস্ত ঘটনাগুলোর সঙ্গে যে বিএনপি জড়িত তা ইতোমধ্যে প্রমাণিত হয়েছে। এর ফলে বিএনপির ত্রিমুখী সঙ্কট দেখা দেয়।

জানা গেছে, বিএনপির সকল সিদ্ধান্ত অনেকটা এককভাবেই গ্রহণ করেন তারেক রহমান। নির্বাচনের আগে বাংলাদেশের একটি নির্দিষ্ট কূটনৈতিক মিশনের সঙ্গে বিএনপির স্থায়ী কমিটি সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরীর নিয়মিত মিটিংয়ের মাধ্যমে মূলত তারেক রহমান এই যোগাযোগ চালিয়ে গেছে। বিএনপির বেশ কিছু সূত্র মতে এই কূটনৈতিক মিশনের প্রধানের পরামর্শেই এবার নির্বাচনে যায়নি বিএনপি। কিন্তু যেই আশায় বিএনপি নির্বাচনে যায়নি তা পূরণে ব্যর্থ হয়েছে এই কূটনৈতিক মিশন। ফলে উভয় সংকটে রয়েছে দলটি।

দলের শীর্ষ নেতৃত্বে থাকা ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপার্সন ও আদালতের প্রমাণিত অপরাধী তারেক রহমানের সঙ্গেsasada নভেম্বর থেকেই বিএনপির সিনিয়র নেতাদের দূরত্বের শুরু। আর তা চরম রূপ ধারণ করে গত ৮ ডিসেম্বর। বিএনপির সিনিয়র নেতাদের ওপর তারেক রহমান আন্দোলনে ব্যর্থতার দায় চাপালে বেশ উত্তপ্ত হয়ে ওঠেন নজরুল ইসলাম ও মঈন খান। কেননা তারেক রহমানের প্রেসক্রিপশন অনুসারে তৈরি জরিপ অনুযায়ী দেশে সরকার পতনের জন্য কোন জনমত তৈরি হয়নি বিগত দুই বছরে। উল্টো ২০২১-২২ সালে বিএনপি তার শান্তিপূর্ণ কর্মসূচির মাধ্যমে নতুন করে জনগণের যেই আস্থা অর্জন করছিলো, তাও ধ্বংস হয়েছে অক্টোবর থেকে চালানো হরতাল-অবরোধ ও সহিংসতায়। বরং মানুষের মনে আবারও ফিরে এসেছে ২০১৩-১৫ সাল পর্যন্ত দেশ জুড়ে বিএনপি-জামায়াতের চালানো হত্যাযজ্ঞের কথা। যখন শতাধিক মানুষকে পুড়িয়ে হত্যা করে দলটি।

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন তারেক রহমানের দুর্নীতির বিষয় এবং তার অধীনে জঙ্গী নেটওয়ার্কের বিস্তার ও জঙ্গি কার্যক্রমে অর্থায়ন মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা এফবিআই এবং কানাডিয়ান পুলিশ এবং সিঙ্গাপুর পুলিশ এর প্রদান করার তথ্যের ভিত্তিতে প্রমাণিত। কানাডিয়ান পুলিশ এবং এফবিআই তার বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিয়েছে। ২০০৮ সালের ৩ নভেম্বর তৎকালীন ঢাকায় মার্কিন রাষ্ট্রদূত জেমস এফ মরিয়ার্টি মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্টে তারকে রহমান সম্পর্কে এক গোপন তারবার্তা পাঠান। যে বার্তাটি পরবর্তিতে সারা বিশ্বে আলোড়ন সৃষ্টিকারী উইকিলিকসের ফাঁস করা নথিতে পাওয়া যায়। মরিয়ার্টি তারেক রহমান সম্পর্কে লিখেন “তারেক রহমান বিপুল পরিমাণ দুর্নীতির জন্য দায়ী যা যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় স্বার্থের ওপর খারাপ প্রভাব ফেলছে…সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার ছেলে তারেক রহমান অত্যন্ত দুর্ধর্ষ ও ভয়ঙ্কর এবং তাদের নেতৃত্ব দেয়া দুর্নীতিপরায়ণ সরকার ও বাংলাদেশে রাজনৈতিক সহিংসতার প্রতীক।”

বিএনপি শাসনামলে হওয়া নাইকো দুর্নীতির মাধ্যমে একাধিক মন্ত্রী, তৎকালীন প্রধানমন্ত্রীর ছেলে তারেক রহমান এবং অন্যান্য সরকারি কর্মকর্তা ও শীর্ষ রাজনীতিবিদরা নগদ অর্থ, দামী এসইউভি গাড়ি, বিদেশ সফর এবং দামী উপহার নিয়েছিল। আর এ অর্থ প্রদানের মধ্যস্থতা করেন তারেকের প্রভাবশালী বন্ধু মামুন।

আরও পড়ুনঃ মার্কিন গোপন তারবার্তা: বিএনপি আমলের হত্যাকাণ্ড, দুর্নীতির কথা স্বীকার করলেন খালেদার মুখ্য সচিব

অদক্ষ প্রতিষ্ঠান হবার পরও কাজটি পেতে নাইকো তারেক রহমান, তার বন্ধু, তৎকালীন জ্বালানি মন্ত্রী ও আইনমন্ত্রী এবং অসংখ্য সরকারি কর্মকর্তাকে ঘুষ প্রদান করে যার মধ্যে নগদ ঘুষের পরিমাণ প্রায় ৪০ লাখ মার্কিন ডলার। বিশেষজ্ঞদের মতে, তৎকালীন সরকার এই ৪০ লাখ ডলার ঘুষ গ্রহণ করায় বাংলাদেশের ক্ষতি হয় ১০৬ কোটি মার্কিন ডলারের বেশি। ছাতক গ্যাস ফিল্ড খননের সময় দুটি বিস্ফোরণ হয়। একটি ২০০৫ সালের জানুয়ারিতে এবং আরেকটি ২০০৫ সালের জুনে। দুটিই ঘটে নাইকোর ত্রুটিপূর্ণ ও অদক্ষ কর্মকাণ্ডের কারণে। এর কারণে এ গ্যাসফিল্ডগুলো পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে যায় এবং বহু বছর ধরে সেখান থেকে গ্যাস নির্গমন হতে থাকে। যার কারনে স্থানীয় পরিবেশ ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং মানুষজনের স্বাস্থ্যগত সমস্যা দেখা দেয়। ওই দুর্ঘটনার ১৮ বছর পেরিয়ে গেলেও সুনামগঞ্জের টেংরাটিলার লোকজন এখনও বিভিন্ন সমস্যায় ভুগছেন। আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞরা বলছে, এ বিস্ফোরণের কারণে বাংলাদেশের প্রায় ১০৬ কোটি মার্কিন ডলার ক্ষতি হয়েছে।

শুধু দুর্নীতি করেই তারেক রহমান তার কাজ শেষ করেননি। দুর্নীতির পাশাপাশি এই অর্থ তিনি জঙ্গি কার্যক্রমেদুর্নীতিবাজ তারেক রহমানের ব্যাংক কেলেঙ্কারি ও রাষ্ট্রীয় অর্থ লোপাট বিনিয়োগও করেছিলেন। কানাডার সাংবাদিক ডেভিড মন্টেরো তার বই ‘কিকব্যাক’-এ তারেক রহমানের দুর্নীতি নিয়ে লিখেছেন। টেলটিক প্রতিষ্ঠার সময় সিমেনস কোম্পানির থেকে তারেক রহমান ও তার ভাই যে ঘুষের টাকা নিয়েছিলেন সে বিষয়ে তথ্য প্রমাণসহ বর্ণনা করা আছে এই বইয়ে। এখানেই তিনি জানান, সিমেনস থেকে দুর্নীতির মাধ্যমে পাওয়া অর্থ জঙ্গি কার্যক্রমের জন্য বিনিয়োগ করেছিলেন তারেক রহমান। তিনি বাংলাদেশ তথা এই অঞ্চলে জঙ্গি কার্যক্রমের মাধ্যমে এক অস্থিরতা তৈরি করে তার দুর্নীতি কার্যক্রম চালিয়ে গেছেন এবং এভাবেই ক্ষমতায় টিকে থাকতে চেয়েছিলেন বলে জানান এই লেখক। বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠী উলফার জন্য বাংলাদেশে যেই ১০ ট্রাক অস্ত্র পরিবহন করে নিয়ে আসা হয়, সেখানেও তারেক রহমানের সরাসরি জড়িত থাকার কথা জানিয়েছিলেন তৎকালীন ভারতের প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা সংস্থা ডিআইএ’র সাবেক উপপ্রধান মেজর জেনারেল গগনজিৎ সিং। তিনি আরও জানান, এই অস্ত্র শুধু ভারতের জন্য নয়, এর একটি অংশ জামায়াত তথা বাংলাদেশের অভ্যন্তরিন জঙ্গিদের জন্যও ছিলো।

[তারেকের ভুল নেতৃত্বে ডুবছে বিএনপি]

দুর্নীতি, জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাস, খুন থেকে শুরু করে এমন কোন মানবতাবিরোধী অপরাধ নেই যার সঙ্গে জড়িত ছিলেন না বিএনপি চেয়ারপার্সন তারেক রহমান। সেই সঙ্গে এই ধরনের মানবতাবিরোধী কার্যক্রমের অংশীদার ছিলেন তার ঘনিষ্ঠজনেরা। আর এ কারণেই ক্ষমতার বাহিরে থেকেও এই গোষ্ঠীটি হত্যা ও সন্ত্রাসী কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়ার পাশাপাশি নিজেদের নেতা হিসেবে তারেক রহমানকে নিয়েই চলছে বলে মনে করেন মানবাধিকার কর্মীরা।

এমন পরিস্থিতিতে বিএনপির কর্মীরা এখন গন্তব্যহীন। যে অসহযোগ আন্দোলন করা হল, নির্বাচন বর্জনের ডাক দিল তারপরেও ৪১ শতাংশ ভোট পড়েছে। বিএনপির নেতারা যতই চিৎকার চেঁচামেচি করুক, এই ভোট প্রদানের হার আশাব্যঞ্জক এবং প্রধান একটি রাজনৈতিক দলের অংশগ্রহণ ছাড়াই এ ধরনের ভোট প্রদান আওয়ামী লীগের জন্য একটি বড় ধরনের স্বস্তির খবর। এর ফলে বিএনপির রাজনীতি আরেকবার মুখ থুবড়ে পড়ল।

অপরদিকে বিএনপির এই আন্দোলনে যাদের মৌন সমর্থন ছিল সেই সমস্ত আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ও ২৮ অক্টোবর থেকে বিএনপি জ্বালাও পোড়াও ধ্বংসাত্মক রাজনীতির ফলে একটি নেতিবাচক ধারণা নিতে শুরু করেছে এবং এই রাজনীতিকে তারা প্রত্যাখ্যান করেছে। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কেউই সন্ত্রাস এবং সহিংসতা রাজনীতি পছন্দ করে না। বরং তারা মনে করে যে রাজনীতিতে একটি সহনশীল এবং পরিচ্ছন্ন ধারা থাকা দরকার। বিএনপি যখনই ধ্বংসাত্মক রাজনীতি যেটি তারা ২০১৪ এবং ২০১৫ সালে করেছিল, সেই ধারায় ফিরে এসেছে। বিশ্লেষকরা বলছেন, এই নির্বাচনের পর তাৎক্ষণিকভাবে প্রচুর দেশ নতুন সরকারকে যে সমর্থন দিচ্ছে তার প্রধান কারণ হল বিএনপির নেতিবাচক রাজনীতির ধারা।

 

আরও পড়ুনঃ