পুলিশের

গত ২৮শে অক্টোবর থেকে এখন পর্যন্ত বিএনপি সারাদেশজুড়ে যা করে যাচ্ছে আন্দোলন-কর্মসূচির নামে, একেdownload বাংলাদেশে পুলিশকে হত্যা করেছে যারা, সেই খুনিদের গ্রেপ্তার করায় পশ্চিমাদের এত গাত্রদাহ কেন? কোনো সুস্থ মস্তিষ্কের মানুষ রাজনীতি বলবে না।বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় সম্পদ ধ্বংস করে, রাষ্ট্রের নিয়োজিত আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের হত্যা করে, দেশের সাধারণ নিরীহ মানুষকে জীবন্ত দগ্ধ করে, দেশের হাজার কোটি টাকার সম্পদ ধ্বংস করার নাম রাজনীতি নয়। এমন কর্মসূচি কোনো দেশের নাগরিকরা মেনে নেবে না, অন্য কোনো দেশে এমন ঘটনা ঘটানোর চেষ্টা করা হলে সেদেশের সরকার কঠোর অবস্থানে যাবে। স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্রে এভাবে সম্পদ ও জানমালের ক্ষয়ক্ষতি করে রাজনৈতিক ইস্যুর সমাধান হয় না। গণতান্ত্রিক অধিকারের নামে কেউ দেশের ক্ষতি করার অধিকার রাখে না। বরং এ ধরণের নাশকতাকারী সংগঠন বা দলকে আইন করে নিষিদ্ধ করা হয়, এমন ভুরি ভুরি উদাহরণ আছে।

পুলিশের সহনশীল আচরণকে দুর্বলতা ভেবেছে বিএনপি-জামায়াতের সন্ত্রাসীরা:
২৮শে অক্টোবরের তাণ্ডবের সময় পুলিশ অত্যন্ত সংযত ও সহনশীল আচরণ করেছিল। কিন্তু একে দুর্বলতা ভেবে বিএনপি যা করেছে, তাতে দেশের মানুষ শিউরে উঠেছে। প্রকাশ্যে পুলিশ সদস্যকে হত্যা করা ছাড়াও রাষ্ট্রের অন্যতম প্রধান স্তম্ভ বিচার বিভাগের সর্বোচ্চ ব্যক্তি প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলা ও অগ্নিসংযোগ করেছে বিএনপির কর্মীরা। এছাড়া এ পর্যন্ত অন্তত দেড় শতাধিক বাসসহ কয়েকশ ব্যক্তিগত গাড়ি পুড়িয়ে দেয়া হয়েছে। হত্যা করা হয়েছে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীসহ অন্তত ১৫ জনকে। তবে পুলিশ চুপ করে বসে নেই।

আগে থেকেই অপরাধ ঠেকাতে ঢাকাসহ বিভিন্ন স্থানে উন্নত প্রযুক্তির ক্যামেরা এবং ড্রোন মোতায়েন করা হয়েছিল। ফলে নাশকতা ও হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের চেহারা শনাক্ত করা সহজ হয়ে যায়। দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে একে একে ধরা পড়তে থাকে বিএনপি-জামায়াতের কর্মীরা, যারা ২৮শে অক্টোবর থেকে শুরু করে পরবর্তী কয়েকদিন দেশের বিভিন্ন স্থানে নাশকতা চালিয়েছে। শুধু যারা মাঠপর্যায়ে অপরাধ সংঘটিত করেছে, তাদেরই নয়, যারা তাদের হুকুম দিয়েছে, তাদেরও গ্রেপ্তার করা শুরু করেছে পুলিশ, যথাযথ তথ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে।

পশ্চিমাদের এত মায়াকান্না কেন সন্ত্রাসীদের জন্য:
নাশকতাকারী, খুনি, সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে দেখে মনপ্রাণ কেঁদে উঠেছে পশ্চিমা গোষ্ঠীর। ইতিমধ্যে সরকারের পক্ষ থেকে বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত ও কূটনীতিকদের কাছে অপরাধীদের সহিংসতার দৃশ্য ও দলীয় পরিচয় তুলে ধরা হলে তারা কোনো মন্তব্য করেননি সাংবাদিকদের সামনে, পাছে নানারকম প্রশ্নবানে জর্জরিত হতে হয়। কিন্তু নিজ নিজ দপ্তর থেকে তারা গ্রেপ্তারের প্রতিবাদ জানিয়েছেন, কেউ আবার নির্লজ্জভাবে বিএনপি-জামায়াতের পক্ষও নিয়েছেন।

বিএনপি-জামায়াতপন্থী বিভিন্ন সংস্থার সরবরাহকৃত ভিত্তিহীন সংবাদের প্রেক্ষিতে বিভ্রান্তিকর মন্তব্য করেছেন ইউরোপিয় ইউনিয়নের পররাষ্ট্রনীতি বিষয়ক প্রধান জোসেপ বোরেল। তিনি টুইটারে লিখেছেন, ‘বাংলাদেশে ৮ হাজারের বেশি বিরোধী নেতা–কর্মী গ্রেপ্তারে উদ্বেগ জানাচ্ছি।’ শুধু ইইউ নয়, বিদেশি কূটনীতিকদের নানারকম সংগঠন এবং বিভিন্ন সংস্থা থেকেও এমন উদ্বেগ-বিবৃতি এসেছে।

বিএনপি-জামায়াত ও ছাত্র শিবির আন্তর্জাতিকভাবে সন্ত্রাসী ও জঙ্গি সংগঠন হিসেবে চিহ্নিত:
এখানে মনে করিয়ে দেয়া প্রয়োজন, ২০১০ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের হোমল্যান্ড সিকিউরিটি ডিপার্টমেন্টের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি অধিদপ্তর সংশ্লিষ্ট ন্যাশনাল কনসোর্টিয়াম ফর দ্য স্টাডি অব টেররিজম এন্ড রেসপন্সেস টু টেররিজম (এসটিএআরটি) এর প্রতিবেদনে জামায়াতের ছাত্র সংগঠন ছাত্র শিবিরকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। এখানেই শেষ নয়, ২০১৩ সালেও বিশ্বের সবচেয়ে সহিংস ও সক্রিয় জঙ্গি সংগঠনগুলোর প্রথম ৩টির একটি‌ হিসেবে চিহ্নিত হয়েছিল ছাত্র শিবির। তাদের নাম আছে শীর্ষ ১০টি জঙ্গি সংগঠনের তালিকায়।

 

বিশ্বখ্যাত নিরাপত্তা বিষয়ক থিঙ্কট্যাংক আইএইচএস জেনস গ্লোবাল টেরোরিজম অ্যান্ড ইনসার্জেন্সি অ্যাটাক ইনডেক্স-২০১৩-এর প্রতিবেদনে থাইল্যান্ডের সন্ত্রাসী সংগঠন বারিসান রেভুলুসি ন্যাশনাল ও আফগানিস্তানের তালেবানের পরেই ছাত্র শিবিরের নাম উঠে আসে। ছাত্র শিবিরের মূল প্রতিষ্ঠান জামায়াত বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় থেকেই যুদ্ধাপরাধী সংগঠন হিসেবে ধিকৃত। তাদের সবচেয়ে বড় আশ্রয়-প্রশ্রয়দাতা সংগঠন বিএনপিও পিছিয়ে নেই। কানাডার আদালত থেকে পরপর ৩ বার সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে এই দলটি। বিএনপির সন্ত্রাসী কর্মীরা পালিয়ে কানাডায় আত্মগোপনে গেলে সেখানকার আদালত তাদের আশ্রয় না দেয়ার নির্দেশ দেয়।

সেসব মামলার রায়ে বিএনপিকে রাজনৈতিক দল হিসেবে নয় বরং সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে সাব্যস্ত করা হয়েছে। এই বিষয়গুলো নতুন করে পশ্চিমাদের মনে করিয়ে দেয়া প্রয়োজন। আর প্রশ্ন করা উচিৎ কেন তারা এই সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর পক্ষে কথা বলছে? তারা কি বাংলাদেশে সহিংসতা-সংঘাতকে সমর্থন করছেন? তারা তো দাবি করেন তারা সবসময় সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে। তবে কেন তারা বিএনপি-জামায়াত-শিবিরের খুনিদের আটক করা নিয়ে উদ্বিগ্ন?

পশ্চিমাদের এমন উদ্বেগ প্রদর্শনই বরং উদ্বেগজনক:
বিএনপি-জামায়াতের সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তার নিয়ে পশ্চিমাদের দেয়া বিবৃতিতে তথ্যের ঘাটতি রয়েছে বলে ইতিমধ্যে পাল্টা জবাব দিয়েছে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র দপ্তর। কারণ পুলিশ নিরপরাধ কাউকে আটক করেনি, সুনির্দিষ্ট তথ্য-প্রমাণের ভিত্তিতেই অপরাধীদের আটক করেছে। এই সন্ত্রাসীদের অনেককে বিএনপি দেশের আনাচ-কানাচ থেকে খুঁজে ঢাকায় জড়ো করেছিল মাসখানেক আগে। তারা অতীতেও বিএনপির রাজনৈতিক কর্মসূচিতে গাড়ি পোড়ানোসহ নানারকম নাশকতামূলক কাজে নেতাদের নির্দেশে অংশ নিয়েছে। দলে তাদের গুরুত্ব এতটাই বেশি যে, তাদেরকে বেশ ভালো পদও দেয়া হয়েছে।

এদের অনেকেই বোমা বানানোর কারিগর হিসেবে কুখ্যাত। আন্দোলন-সমাবেশে সময় নাশকতা ও আগুন সন্ত্রাস করে চুপিসারে সটকে পড়ার কাজে অভিজ্ঞ বলে এবারও কর্মসূচির জন্য তাদের ঢাকায় আনা হয়েছিল। তবে নজরদারি থাকায় এদের অনেককে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয় পুলিশ। তাদের কাছে প্রচুর তাজা বোমা, বোমা তৈরির উপকরণ, পেট্রোল বোমার উপকরণ, ধারালো অস্ত্র, লাঠিসোটা, রডসহ নাশকতায় ব্যবহৃত বহু সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়। জবানবন্দিতে তারা জানিয়েছেন কে বিএনপির কোন পদে আছেন, কীভাবে তাদের আনা হয়েছে, তাদেরকে নাশকতা, বোমাবাজি, অগ্নিসংযোগ এবং পুলিশ হত্যায় নির্দেশ দিয়েছেন বিএনপির কোন নেতারা, কত টাকা দিয়েছেন, কোন মাধ্যমে টাকা লেনদেন হয়েছে- সবিস্তারে তারা পুলিশ এবং গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন। এত তথ্য-প্রমাণ ও ভিডিও ফুটেজ থাকার পরেও এই খুনিদের জন্য পশ্চিমারা কেন কেঁদে আকুল হচ্ছেন সেটাই বরং উদ্বেগজনক।

পশ্চিমা দেশগুলোতে সন্ত্রাসবাদের ঘটনার প্রতিক্রিয়া কেমন:
যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক বিভিন্ন মানবাধিকার সংস্থা, ইউরোপিয় ইউনিয়নসহ যারা বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক অধিকারের নামে পরোক্ষভাবে বিএনপির নাশকতাকে সমর্থন দিচ্ছে, বাংলাদেশি গণমাধ্যমে উদ্বেগ জানাচ্ছে, তাদের কেউ প্রশ্ন করে না, এমন সহিংসতা ইউরোপ, আমেরিকায় ঘটলে সেখানকার পুলিশ বা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ভূমিকা কী হতো? অবশ্য এসব প্রশ্নের কোনো সদুত্তর তাদের কাছে নেই। কারণ তারা গণতন্ত্র, মানবাধিকার ও শান্তি প্রতিষ্ঠার নামে মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশকে বোমাবর্ষণ ও সেনা অভ্যুত্থান ঘটিয়ে ধূলার সাথে মিশিয়ে দেয়াকে সমর্থন করেন। তাদের মানবাধিকার ও গণতন্ত্রের সংজ্ঞা ভিন্ন।

[বাংলাদেশে পুলিশকে হত্যা করেছে যারা, সেই খুনিদের গ্রেপ্তার করায় পশ্চিমাদের এত গাত্রদাহ কেন?]

যেসব দেশে তারা স্বার্থোদ্ধার করতে পারে না, আগ্রাসন চালিয়ে সেসব দেশকে চিরতরে ধ্বংস করে দেয়াই তাদের গণতন্ত্র ও মানবাধিকার। ফিলিস্তিনে প্রতিদিন মরছে অসংখ্য নারী-শিশুসহ বেসামরিক সাধারণ মানুষ। অথচ এই মায়াকান্না করা সংস্থাগুলোর কোনো বিকার নেই। তাদের চিন্তা বাংলাদেশের নির্বাচনে নিজেদের পুতুল সরকার বসানো নিয়ে। যে যুক্তরাষ্ট্র নিয়মিত বাংলাদেশ নিয়ে সবক দেয়, সেখানে নিরস্ত্র সাধারণ মানুষ প্রতিনিয়ত নিহত হচ্ছে পুলিশের হাতে। বিশেষত সংখ্যালঘু কৃষ্ণাঙ্গরা তো বটেই, বাংলাদেশি নাগরিকদেরও নিস্তার নেই।

শুধুমাত্র সন্দেহের ভিত্তিতে নিরস্ত্র নাগরিকদের হত্যা করছে পুলিশ। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কেউ সরকারবিরোধী লেখা লিখলে এফবিআই তাদের বাড়িতে ঢুকে হত্যা করছে। পুলিশ বা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের এভাবে নিরস্ত্র মানুষ হত্যার কোনো জবাবদিহিতা নেই। বিরোধীদলীয় নেতা ও সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ওপর রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহার করে চালানো হচ্ছে নির্যাতন। অথচ অস্ত্র-সহিংসতায় প্রতি বছর ৪০-৫০ হাজার নাগরিক নির্বিচারে মরছে, এসব বাদ দিয়ে তাদের মাথাব্যথা বাংলাদেশের নির্বাচন ও বিএনপির অধিকার নিয়ে।

বিএনপি-জামায়াত আমলে বিরোধীদলের ওপর নিপীড়ন এবং বর্তমান পরিস্থিতি:
বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের আমলে বিরোধীদল আওয়ামী লীগ কোনো রাজনৈতিক সমাবেশ শান্তিপূর্ণভাবে করতে পারেনি। কোনো না কোনোভাবে হামলা চালানো হয়েছে। সহিংস হামলা এতটাই তীব্র ছিল যে, সেসময় বহু আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী নিহত হয়েছেন। আহসানউল্লাহ মাস্টার, শাহ এএমএস কিবরিয়া এবং একুশে আগস্টের গ্রেনেড হামলায় ২৪ জন নেতাকে হত্যা ছাড়াও দেশের বিভিন্ন স্থানে শেখ হাসিনার সফরে গাড়িবহরে প্রাণঘাতি হামলাতেও মারা গেছেন অসংখ্য নেতাকর্মী।

২০০১ থেকে ২০০৬- খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার অপব্যবহার অপরাধ দমনের ছদ্মবেশে র‍্যাবকে রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে কাজ করতে বাধ্য করেছিল বিএনপি-জামায়াত সরকার

২০০১-২০০৬ সাল পর্যন্ত প্রায় ২৭ হাজার নেতাকর্মী হারিয়েছে আওয়ামী লীগ। এছাড়া লক্ষ লক্ষ নেতাকর্মীকে বিনা অপরাধে কারাগারে পাঠিয়ে, মামলা দিয়ে নির্যাতন করে চিরতরে পঙ্গু করে দেয়া হয়। সেই তুলনায় গত ১৫ বছরে বিএনপির ওপর কিছুই করা হয়নি। বরং তাদেরকে শান্তিপূর্ণভাবে সমাবেশের সকল সুযোগ-সুবিধা দেয়া হয়েছে। উল্টো তারাই নাশকতা ও সহিংসতা চালিয়ে সাধারণ মানুষের ভোগান্তির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এমনকি নিজেদের ছোড়া ইটে নিজেদের কর্মী নিহত হওয়ার ঘটনা নিয়েও অপরাজনীতি করেছে। তাই ২৮শে অক্টোবর পুলিশ সতর্কাবস্থায় ছিল, যেন রাষ্ট্রীয় সম্পদের ক্ষতি না হয়, সাধারণ মানুষের জানমাল নিরাপদ থাকে। তবুও বিএনপির তাণ্ডবে রক্ষা পায়নি কিছুই, এমনকি রোগী পরিবহনকারী অ্যাম্বুলেন্স এবং হাসপাতালেও হামলা করেছে তারা।

পরিশেষ:
সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তারে পুলিশের হস্তক্ষেপ অবশ্যম্ভাবী ছিল। দেশবাসীও পুলিশের এমন ত্বরিৎ ব্যবস্থা গ্রহণকে সাধুবাদ জানাচ্ছে। এসব নাশকতার ঘটনা কোনো দেশের সরকার মেনে নেবে না। যে পশ্চিমারা আজ বিএনপির নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তারে উদ্বেগ জানাচ্ছেন, তাদের দেশে হলে এতক্ষণে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করে ট্যাংক, সাঁজোয়া যানসহ সেনা মোতায়েন করে বিরোধীদলকে নির্মূল করার কাজে নেমে যেত নিশ্চয়। বাংলাদেশের পুলিশ আইন প্রয়োগের মাধ্যমে জনসাধারণের নিরাপত্তায় এই চিহ্নিত অপরাধীদের আটক করতে শুরু করেছে।

পুলিশের দায়িত্বই এটা। যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা দেশগুলোতে প্রতিনিয়ত অস্ত্র সহিংসতায় অসংখ্য মানুষ মারা যায়, অথচ পুলিশ অস্ত্রবাজ সন্ত্রাসীদের দমনে ব্যর্থ। এসব ঘটনা কীভাবে নিয়ন্ত্রণ করা যায়, পশ্চিমাদের উচিৎ তা নিয়ে ভাবা। বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ ব্যাপার নিয়ে ভাবার চেয়ে নিজেদের চরকায় তেল দেয়া বেশি জরুরি।

 

আরও পড়ুনঃ