ইউনুস

ড. মুহাম্মদ ইউনুসকে শান্তিতে নোবেল পুরষ্কার দেয়া হয়েছে। গ্রামীণ ব্যাংকের মডেল বাংলাদেশেই ফেল করেছে। কিন্তু যে মানুষটি সারাটা জীবন মানুষের জীবনে অশান্তি বইয়ে দিল ক্ষুদ্র ঋণের নামে মানুষকে শোষণ ও আত্মহত্যার দিকে ঠেলে দিল তাকে কেন শান্তিতেই নোবেল পুরষ্কার দেয়া হল? এসব নিয়ে ড. মুহাম্মদ ইউনুসের গ্রামীণ ব্যাংক দ্বারা যারা আক্রান্ত হয়েছেন, শোষণের স্বীকার হয়ে সর্বস্ব খুইয়েছেন, জীবন দিয়েছেন, তারা প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন।

যুক্তি তুলে ধরেছেন, যেই মানুষটা বিদেশ থেকে গরিব মানুষের অনুদানের নামে টাকা নিয়ে এসে নিজের ব্যবসায় বিনিয়োগ করে আবার ধরা পরার পর সেই বিষয়টি যেন কাউকে না জানান হয় সেই জন্য তদবির করে, ঘুষ প্রদান করে, তাকেই পুরষ্কার দেয়া হয়েছে, তাও আবার নোবেল পুরষ্কার ! একটা অর্থ আত্মসাৎকারীও এই সভ্য বিশ্বে পুরষ্কার পায়, কি এক আশ্চর্য সময় পার করছে বিশ্ব।

[ইউনুসের নোবেল কেন রাজনৈতিক? কেন অর্থনীতিতে নয় শান্তিতে?]

তবে বৈশ্বিকভাবে হিলারি ক্লিনটনসহ অন্যান্যদের আচরণে এটা স্পষ্ট হয়েছে যে ইউনুসের পুরষ্কার শান্তির জন্য নয় বরং এর পেছনে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য আছে। আসলে বাংলাদেশে তারা একটা স্পোক পারসন তৈরি করতে চান। যেন নিজেদের স্বার্থ আদায়ে সরকারকে চাপে রাখতে পারেন। এজন্য একটা নোবেল পুরস্কারের মাধ্যমে তাঁর একটা বৈশ্বিক পরিচিতি ও গ্রহণযোগ্যতা তৈরি করা হয়। বাংলাদেশের ক্ষেত্রেও তাই করা হয়েছে।

 

তাছাড়া একটা সাধারণ প্রশ্ন হল, ড. ইউনুস কাজেই নামে চুরি, চামারি যাই করেছে সব তো অর্থনৈতিক খাতে করেছে। কাজেই পুরষ্কার যদি দিতে হয় তাকে তো অর্থনৈতিক খাতে দিতে হত। আসলে এই খাতে দিলে তো ইউনুস সাহেব ধরা পরে যেত। কারণ বাংলাদেশে তার মাইক্রো ক্রেডিটের চিন্তা ব্যর্থ হয়েছে। পাশে দাঁড়াবার নামে যে শোষণ ইউনুস করেছেন তার গল্প এখন মানুষের জানা। ছোট্ট একটু ঋণের বদলে ডাবল সুদ দিতে গিয়ে আত্মহত্যা, বসত ভিটা সবের শিকার হতে হয়েছে গ্রামের মানুষগুলোকে।

আরও পড়ুনঃ