
“সত্য কথা তিতা লাগে।বর্তমানে দুনিয়ায় যে বেশী মিথ্যা কথা বলে,তাকে সবাই মিলে বাহবা দেয় আমরা”
বিএনপি কখনোই জনগণের বাক-স্বাধীনতা ও জনমতকে ধারণ করেনি। বিএনপি’র জন্মই হয়েছিল বন্দুকের নলের মুখে জনগণকে জিম্মি করে অবৈধভাবে ক্ষমতা দখলের মধ্যদিয়ে।বিএনপির আমলে জনগণের বাক-স্বাধীনতা এবং ন্যূনতম নাগরিক অধিকারও ছিল না।বিএনপি রাষ্ট্রযন্ত্রকে অপব্যবহার করে গোষ্ঠীতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছিল। বিএনপি’র শাসনামলে বিদ্যুতের দাবি করায় নিরীহ মানুষকে গুলি করে হত্যা, সারের দাবিতে আন্দোলন করায় কৃষককে গুলি করে হত্যা, বেতন-বোনাস দাবি করায় মিছিলে গুলি চালিয়ে শ্রমিক হত্যাসহ জনগণের ওপর স্টিম রোলার চালানোর মধ্যদিয়ে এক বিভীষিকাময় পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছিল।
বিএনপির শাসনামলে তাদের অপকর্ম,দূর্নীতি,সন্ত্রাসবাদ বেসরকারি চ্যানেল ৭১ ও সময় টিভিতে তুলে ধরায় সাময়িক বর্জন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিএনপি। জানা যায় দলটির মিডিয়া সেলের সদস্য সচিব শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি বলেন,দলের সিনিয়র আলোচকদের পরামর্শ ও যথাযথ হাইকমান্ডের অনুমোদনক্রমে আমরা ৭১ টিভি ও সময় টিভির টকশো সাময়িকভাবে বর্জন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বছরখানেক আগে এক বিবৃতিতে সরকার সাংবাদিকদের ওপর নির্যাতন করছে বলে উল্লেখ করে বলেছেন, ‘সত্য উদ্ঘাটন করাই তো সাংবাদিকদের কাজ’।কোনো সন্দেহ নেই, সত্য উদ্ঘাটন করাই সাংবাদিকদের কাজ।তাহলে সাংবাদিকরা সেই সত্য উদঘাটন করে প্রকাশ করায় এখন তাদের বয়কট করছে কেন?
[বিএনপি মুখে বাকস্বাধীনতা’র কথা বললেও নিজেরা মানতে নারাজ!]
বিএনপি ক্ষমতায় থাকতে তাদের অপকর্ম প্রকাশ করায় দেশের বিভিন্ন স্থানে বেশ কয়েকজন সাংবাদিককে হত্যা করা হয়েছে। হুমায়ুন কবির বালু, মানিক সাহা, শামসুর রহমান, দীপঙ্কর চক্রবর্তী খুন হয়েছিল বিএনপির আমলে সত্য উদঘাটন করায়।শুধুমাত্র সত্য উদঘাটন করায় তাদের খুন করা হয়েছিল।
গণমাধ্যম কর্মীরা বলেন,,সত্য উদঘাটন করে প্রকাশ করা একজন সাংবাদিকের দায়িত্ব।যদি সে দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে বয়কটের শিকার হতে হয় তাহলে দেশের বাকস্বাধীনতা আর কই থাকল?
যারা সারাদিন দেশে বাকস্বাধীনতা নাই বলে চিল্লায় তারাই এখন বাকস্বাধীনতা হনন করছে। বর্তমানে সত্য কথা কেউ শুনতে চাই না।
আরও পড়ুনঃ
- বাকস্বাধীনতার নামে বিএনপি চায় গুজব স্বাধীনতা এবং প্রোপাগান্ডা ছড়ানোর অবারিত সুযোগ
- কর্মীশূন্য দলে পরিণত হয়েছে বিএনপি
- ২০০১ থেকে ২০০৬ঃ খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার অপব্যবহার অপরাধ দমনের ছদ্মবেশে র্যাবকে রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে কাজ করতে বাধ্য করেছিল বিএনপি-জামায়াত সরকার