
২৯ জুলাই রাজধানীর প্রবেশপথগুলোয় বিএনপির অবস্থান কর্মসূচিতে যে ভয়াবহ সহিংসতা হয়েছিলো সেটি নজর এড়ায়নি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের। এই সহিংসতার জন্য কে দায়ী সেটি খুঁজে বের করতে সরকারের প্রতি আহবান জানিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।
আরও পড়ুন : বিএনপির জন্য বড় চাপ তৈরি করেছে ভিসা নীতি
পাশাপাশি সাধারণ জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ও প্রকৃত অপরাধীদের শনাক্ত করে সবাইকে জবাবদিহির আওতায় আনতেও সরকারে আহবান জানায় দেশটি।
আরও পড়ুন : দেশ যখন একেবারে শান্ত এবং স্থিতিশীল, তখনই নতুন পরিকল্পনা শুরু করেছে বিএনপি
গত ৩১ জুলাই মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের নিয়মিত প্রেস ব্রিফিংয়ে মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার এই আহ্বান জানিয়ে বলেন, ঢাকার অন্তত পাঁচটি জায়গায় বিএনপির নেতা-কর্মীদের সঙ্গে পুলিশের কয়েক দফা সংঘর্ষ হয়।
এটা সাধারণ মানুষের উপরেও ভীতি সঞ্চারিত হয়েছে, যা সুষ্ঠ নির্বাচনী পরিবেশ সৃষ্টিতে মারাত্মক হুমকি। এরকম সহিংস মনোভাব পরিত্যাগের জন্য বিরোধী রাজনীতিক দলগুলোকেও আহবান জানান।
আরও পড়ুন : গণতন্ত্রকে বাধাগ্রস্ত করায় ৪ দেশের ৩৯ জনের ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞা, নেক্সট কি বিএনপি?
জনদুর্ভোগ ও পবিত্র আশুরা উপলক্ষ্যে শিয়া সম্প্রদায়ের তাজিয়া মিছিলের বিষয় বিবেচনা করে গত ২৯ জুলাই বিএনপির অবস্থান কর্মসূচিতে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিল ডিএমপি। সেদিন আওয়ামী লীগেরও পাল্টা কর্মসূচি ছিল।
[কর্মসূচির নামে বিএনপির সহিংসতা সুষ্ঠ নির্বাচনী পরিবেশ সৃষ্টিতে মারাত্মক হুমকি : মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার]
তবে ডিএমপির নিষেধাজ্ঞায় আওয়ামী লীগের কর্মসূচি বাতিল করা হলেও কর্মসূচি পালনে অটল থাকে বিএনপি। আর এই সুযোগে রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ প্রবেশপথগুলোতে অবস্থান কর্মসূচির নামে ভয়াবহ তাণ্ডব চালায় বিএনপির নেতা-কর্মীরা।
আরও পড়ুন :
- রামপুরায় ১০টি বাসে আগুনের মূলহোতা শ্রমিকদল নেতা, প্ল্যান ছিল দেশজুড়ে সহিংসতার
- প্রথম পরিকল্পনা ব্যর্থ, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে ধোঁকা দিয়ে প্লান ‘বি’ বাস্তবায়নে বিএনপি
- বিএনপি-জামায়াত জোট সারাবিশ্বের সহিংস রাজনৈতিক জোটের একমাত্র দৃষ্টান্ত