হাতপাখা

বরিশালে মেয়র নির্বাচনে অংশ নিয়ে ভোট বানচালের জন্য লাঠিসোটা নিয়ে মহড়া দিয়েছে হাতপাখার মেয়র প্রার্থী মুফতি সৈয়দ মোহাম্মদ ফয়জুল করীমের নেতাকর্মীরা। এমনকি ভোট চলাকালে কেন্দ্রের বাইরেও লোকজনকে ভয়ভীতি ও হাঙ্গামা সৃষ্টি করে তারা। মূলত চরমোনাইয়ের মুরিদদের রাজনৈতিকভাবে ব্যবহার করে এই নির্বাচনে অংশ নেয় তারা। ভোটের আগে হাতপাখার প্রার্থীর পক্ষ থেকে খামে করে দরিদ্র মানুষদের মধ্যে টাকা বিতরণের খবরও প্রকাশ হয়েছে গণমাধ্যমে। যারা মানুষকে ধর্মের দোহাই দিয়ে ভোট চেয়েছে, আবার রাতের অন্ধকারে টাকা দিয়ে ভোট কেনার চেষ্টা করেছে, তারা বাংলাদেশের সরলপ্রাণ মানুষদের কীভাবে মূল্যায়ন করে, সেটা আপনারাই বিবেচনা করুন।

সহজসরল সাধারণ মানুষকে হাতপাখার নেতাকর্মীরা অনেকে ধর্মীয় গ্রন্থ ছুঁয়ে ভোট দেওয়ার জন্য প্রতিশ্রুতি আদায়ের চেষ্টাও করেছে, ভোটের আগেই এরকম দৃশ্য অনলাইনে ছড়িয়ে পড়ে। আবার একইসঙ্গে গ্রামে গ্রামে গিয়ে হাতপাখার নেতাকর্মীরা মানুষকে খামের মধ্যে ও লিফলেটের সঙ্গে নগদ অর্থ দিয়েছে এবং ভোটে জিতলে ঈদে গরু কিনে দেওয়ারও প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল।

[ভোট চলাকালে হাতপাখার নেতাকর্মীদের উগ্র মহড়া: জনরায় প্রত্যাখানের পূর্ব-পরিকল্পিত নীলনকশা]

ভোটের দিন দুপুর পর্যন্ত ভোটারদের উপস্থিতি ও জনমত উপলব্ধি করে নিশ্চিত পরাজয় বুঝতে পারে হাতপাখার নেতাকর্মীরা। এরপরেই কেন্দ্রে কেন্দ্রে ভোটারদের ভয় দেখাতে লাঠিসোটা নিয়ে শোডাউন দেওয়া শুরু করে। এমনকি একটি কেন্দ্রের বাইরে নৌকার পক্ষে ভোট চাওয়ায় একজন নৌকার সমর্থককে দল বেধে পেটায় তারা। এসময় হাঙ্গামার মধ্যে ঢুকে যান হাতপাখার মেয়রপ্রার্থী মুফতি সৈয়দ মোহাম্মদ ফয়জুল করীম। পরে নিজ দলের নেতাকর্মীদের উত্তেজিত জটলা থেকে বের হয়ে তিনি তাকে ধাক্কা মারার অভিযোগ করেন। তবে একইসঙ্গে ভোট সুষ্ঠু হচ্ছে এবং মানুষ ভোট দিচ্ছে বলেও জানান তিনি।

[ভোট চলাকালে হাতপাখার নেতাকর্মীদের উগ্র মহড়া: জনরায় প্রত্যাখানের পূর্ব-পরিকল্পিত নীলনকশা]

বাস্তবতা হলো, ধর্মীয় অনুভূতিকে ভোটের রাজনীতির সঙ্গে গুলিয়ে একটি আবছা পরিবেশ সৃষ্টির চেষ্টা করেছিল হাতপাখার নেতাকর্মীরা। তবে সাধারণ মানুষ এলাকার উন্নয়ন ও সামাজিক নিরাপত্তার ব্যাপারে সজাগ থাকায় তাদের কুপরিকল্পনা ব্যর্থ হয়ে যায়। গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় প্রতি শ্রদ্ধা রেখে জনরায় মেনে পরাজয় স্বীকার না করা এবং ভোট চলাকালে নিজেদের দৃর্বৃত্তায়ন ঢাকতে আহত হওয়ার অভিযোগ করে জনরায়কে অসন্মান করার নীলনকশা করেছে এরা।

আরও পড়ুনঃ