আমেরিকা

বাংলাদেশ সরকারকে বিপদে ফেলতে দীর্ঘদিন ধরে অপচেষ্টা চালিয়ে ব্যর্থ হয় আমেরিকা। এজন্য নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ২০১৪ সালের মতো ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলা চালিয়ে দেশকে অশান্ত করার মাস্টারপ্ল্যান করছে তারা।

আরও পড়ুন : বিএনপি-জামায়াতের রাজনৈতিক সহিংসতা ভোলেনি দেশবাসী; আতঙ্কিত থাকতো পুরো দেশ

তীব্র মানবতাবিরোধী কার্যক্রমের জন্য জামায়াতকে এতোদিন প্রকাশ্যে সন্ত্রাসী সংগঠন বলে অভিহিত করলেও, তলে তলে জামায়াতকে পৃষ্ঠপোষকতা দিয়েছে তারা। কারণ বাংলাদেশকে সিরিয়া-ইরাক-আফগানিস্তানের মতো যুদ্ধাবস্থায় ফেলতে হলে জামায়াতের মতো সন্ত্রাসী দলকে প্রয়োজন তাদের।

USAআমেরিকার মূল লক্ষ্য, ইরাক-সিরিয়ায় জঙ্গিবাদী অপশক্তির মাধ্যমে মধ্যপ্রাচ্যকে যেভাবে অশান্ত করেছে তারা, ঠিক সেভাবেই আফগানিস্তান স্টাইলে বাংলাদেশেও জঙ্গিবাদের উত্থান ঘটানো। তাহলে পরবর্তীতে জঙ্গি দমনের নামে বাংলাদেশে সামরিক ঘাঁটি বসানোর সুযোগ পাবে তারা।

আরও পড়ুন : ঢাকার আমেরিকান এমব্যাসি কি ডানপন্থী জঙ্গিদের আশ্রয়স্থল হয়ে উঠলো?

বাংলাদেশের বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আন্তর্জাতিক কূটনীতির সব বিষয়ে আমেরিকার দাসত্ব মেনে না নেওয়ায় এবং বাংলাদেশে ঘাঁটি স্থাপন করতে দিতে রাজি না হওয়ায়, এখন শেখ হাসিনাকে চাপে ফেলতে দেশকে অস্থির করার কূটকৌশল করছে ধুরন্ধর আমেরিকা।

একই সুযোগে নির্বাচনকে কেন্দ্র করে উগ্রবাদী শক্তিকে পৃষ্ঠপোষকতার জন্য আমেরিকার কাছে ধরনা দিয়েছে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন পলাতক তারেক রহমান। তারেক রহমানের নির্দেশে এরপর বিএনপির সিনিয়র নেতারা জামায়াত নেতাদের সঙ্গে একাধিক গোপন বৈঠক ইতোমধ্যে সম্পন্ন করেছেন।

আরও পড়ুন : বাংলাদেশ নির্বাচন নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান দেখে দলের নেতাদের নির্বাচনের প্রস্তুতির নির্দেশ তারেকের!

warতাদের লক্ষ্য, জামায়াতকে ইসলামী দল হিসেবে আখ্যায়িত করে সরলপ্রাণ মুসলমানদের এই দেশে ধর্মীয় উগ্রবাদকে উস্কে দেওয়া এবং সহিংসতা সৃষ্টি করা। এই অস্থিরতার সুযোগ নিয়ে বিএনপির লক্ষ জামায়াতের সন্ত্রাসবাদী শক্তিকে ব্যবহার করে দেশের ক্ষমতা দখল করা।

[আমেরিকার দখলদারিত্ব বাস্তবায়নে কাজ করছে বিএনপি ও তারেক জিয়া, মাঠে সহিংসতা ছড়াতে নামবে জামায়াত]

এরপর বাংলাদেশের সহিংসতা নিয়ন্ত্রণ ও জঙ্গিবাদ দমনের নামে দেশের সাগরসীমায় সামরিক ঘাঁটি স্থাপনের নামে দীর্ঘমেয়াদে প্রভু হয়ে আমেরিকার থেকে যাওয়া।

আরও পড়ুন :