
সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ভারত, অস্ট্রেলিয়া, জাপান ও সৌদি আরব-এই ছয়টি দূতাবাস ও রাষ্ট্রদূতদের বাড়তি নিরাপত্তা প্রত্যাহার করা হয়। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, প্রতিটি দূতাবাসেই পুলিশ বাহিনীর সদস্যদের নিরাপত্তা অব্যাহত আছে এবং রাষ্ট্রদূতদের জন্য পুলিশের গানম্যান আছেন। বিশেষ পরিস্থিতিতে তাদের যে বাড়তি নিরাপত্তা দেওয়া হয়েছিল তা প্রত্যাহার করা হয়েছে।
কিন্তু বিএনপি’র মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর দাবি করছেন বিদেশে প্রটোকল না পাওয়ার কারনে দেশে রাষ্ট্রদূতদের প্রটোকল প্রত্যাহার করে সরকার প্রতিশোধ নিচ্ছে। সত্যতাকে সম্পুর্নভাবে অবজ্ঞা করে রাজনৈতিকভাবে ব্যাখ্যা দেওয়ার চেষ্টা করছে বিএনপি ও সরকারবিরোধী ব্যক্তি-সংগঠনগুলো।
চলুন দেখে নেই দুতাবাসগুলোতে নিরাপত্তার ব্যবস্থাঃ
দূতাবাস/হাইকমিশনের নাম | দূতাবাস, বাসভবন ও অন্যান্য স্থাপনা | কুটনীতিকদের বাসভবন | গানম্যান | মোট নিরাপত্তাকর্মী (বর্তমান) | এসকর্ট | মোট নিরাপত্তাকর্মী (আগে) |
মার্কিন দূতাবাস | ১১৭ | ৩৯ | ২ | ১৫৮ | ৮ | ১৬৬ |
ব্রিটিশ হাই কমিশন | ২৭ | – | ২ | ২৯ | ৭ | ৩৬ |
ভারতীয় হাই কমিশন | ৩৯ | – | ১ | ৪০ | ৭ | ৪৭ |
সৌদি দূতাবাস | ৪৮ | – | – | ৪৮ | ৫ | ৫৩ |
বাড়তি প্রটোকল প্রত্যাহারের আগে মার্কিন দুতাবাসে নিরাপত্তা রক্ষায় সরকারীভাবে নিয়োজিত ছিলেন ১৬৬ জন। প্রত্যাহার করা হয়েছে ৬ জন এসকর্ট। বাকি ১৫৮ জনের মধ্যে ১১৭ জন দূতাবাস, বাসভবন ও অন্যান্য স্থাপনার নিরাপত্তায় নিয়োজিত। অন্য কূটনীতিকদের বাসভবনে ৩৯ জন নিরাপত্তা সদস্য এবং রাষ্ট্রদূতের জন্য ২ জন গানম্যান বর্তমানে সরকারীভাবে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ের পক্ষ থেকে নিয়োজিত আছেন।
[বিদেশি দুতাবাসে নিরাপত্তা প্রটোকলের বাস্তব চিত্র কি? নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন রাষ্ট্রদূতেরা?]
ব্রিটিশ হাই কমিশনের নিরাপত্তায় আগে নিয়োজিত ছিলেন ৩৬ জন। বর্তমানে সংস্থাটির নিরাপত্তায় সরকারীভাবে নিয়োজিত আছেন ২৯ জন যার মধ্যে ২ জন গানম্যান, দূতাবাস, বাসভবন ও ক্লাবে ৮ জন করে ২৪ জন এবং ব্রিটিশ কাউন্সিলে ৩ জন। প্রত্যাহার করা হয়েছে ৭ জন এসকর্ট।
ভারতীয় হাই কমিশনের নিরাপত্তা রক্ষায় বর্তমানে নিয়োজিত আছেন ৪০ জন নিরাপত্তা কর্মী যা আগে ছিল ৪৭ জন। হাই কমিশনার স্পেশাল ব্রাঞ্চের গানম্যান নেননি তারপরেও সরকার একজনকে দায়িত্ব দিয়ে রেখেছেন। বাকি ৩৯ জন ভারতীয় দূতাবাস ও কর্কর্তাদের বাসভবনের নিরাপত্তায় কাজ করছেন। ৭ জন এসকর্ট প্রত্যাহার করা হয়েছে।
সৌদি আরবের দূতাবাস ও অন্যান্য স্থাপনার নিরাপত্তায় এখন দায়িত্ব পালন করছেন ৪৮ জন। প্রত্যাহার করা হয়েছে ৫ জন এসকর্ট।এ থেকে স্পষ্ট হয় যে সরকার বিদেশি দূতাবাসের নিরাপত্তায় কোন ছাড় দেয়নি। শুধুমাত্র বাড়তি এস্কর্ট প্রত্যাহার করা হয়েছে। কিন্তু নিয়মিত নিরাপত্তা ব্যবস্থা অব্যাহত আছে।
[বিদেশি দুতাবাসে নিরাপত্তা প্রটোকলের বাস্তব চিত্র কি? নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন রাষ্ট্রদূতেরা?]
মির্জা ফখরুল হয়তো ভুলে যাচ্ছেন তার দল যখন ক্ষমতায় ছিল তখনই দেশে নিযুক্ত রাষ্ট্রদূতেরা মৃত্যুঝুঁকিতে ছিলেন। সিলেটে তৎকালীন ব্রিটিশ হাই কমিশনারের ওপর বোমা হামলা দেশের ভাবমুর্তিকে কলংকিত করেছিল কিন্তু তৎকালীন বিএনপি সরকার সেই জঙ্গিদের ধরতে কোন পদক্ষেপ নেয়নি।
আজ বাংলাদেশ তার ইতিহাসের সুবর্ণ সময় পার করছে। উন্নয়ন, প্রবৃদ্ধি, অর্থনৈতিক সক্ষমতা দিয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজ উন্নয়নের রোল মডেল। মির্জা ফখরুলদের উস্কানিমুলক ও বিভ্রান্তিকর বক্তব্য সরকারকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে পারবে না, সাধারন মানুষ এমনটাই মনে করেন।
আরও পড়ুনঃ
- যুক্তরাষ্ট্রের রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে কঠোর অবস্থানে শেখ হাসিনা
- বিশ্ব নেতাদের মতে রাজনীতিতে শেখ হাসিনার বিকল্প শুধু শেখ হাসিনাই
- বিএনপির ঠুকঠাক, শেখ হাসিনার এক ঘাঃ দেশবিরোধীদের সব প্রচেষ্টা বিফল
- আবারও কর্মসূচি বিএনপির, নির্বাচনের আগে মরণকামড় দিতে মরিয়া সন্ত্রাসবাদী দলটি