শেখ হাসিনা

বাংলা প্রবাদ আছে- স্যাঁকরার ঠুকঠাক, কামারের এক ঘা। শেখ হাসিনার কূটনৈতিক পদক্ষেপ এবং দূরদর্শী পরিকল্পনা বিএনপিসহ সমমনা দেশবিরোধী গোষ্ঠীগুলোর সকল অপচেষ্টা নস্যাৎ হয়ে গেল। বিগত বছরগুলোতে বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা ঠেকাতে বিএনপি বিদেশে ছোটাছুটি, দূতাবাসে গুঁতোগুতি, ইফতার পার্টিতে বিদেশি সংস্থার লোকজনকে নিমন্ত্রণ, দলীয় কার্যালয় এবং বাড়িতে ডেকে এনে আপ্যায়নসহ নানারকম দেনদরবার করেছিল দেশের স্বার্থ জলাঞ্জলি দিয়ে নিজেদের উদ্দেশ্য হাসিলের জন্য। যার ফলে মাঝে মাঝে বিদেশি কূটনীতিকদের বরাতে বিএনপি গণমাধ্যমের সামনে নানারকম নাটকীয় বক্তব্য আর ফর্মূলা হাজির করত। দাবি করত।

বিদেশিরা বর্তমান সরকারের উপর অনেক অসন্তুষ্ট, বিদেশিরা এটা চায় না, ওটার জন্য সরকারকে চাপ দিচ্ছে, বিদেশিদের কাছে সরকারকে নতি স্বীকারে বাধ্য করছে বিএনপির নেতারা… এমন নানাবিধ ছলচাতুরির মাধ্যমে কার্যত কোনো মোক্ষলাভ না হলেও দলের কর্মী এবং দেশবিরোধী কিছু গণমাধ্যমে খোরাক যোগাতে সক্ষম হয়েছিল। সেসব গণমাধ্যমে প্রকাশিত ফরমায়েশি প্রতিবেদন পড়ে দেশবিরোধী অপশক্তির সমর্থকরা বেশ চাঙ্গা হয়ে উঠেছিল। ভেবেছিল, সরকারকে বিএনপির ফর্মূলায় ক্ষমতা ছেড়ে নির্বাচনে আসতে বাধ্য করা হচ্ছে কিংবা এবার বুঝি সরকারের পতন ঘটেই গেল!

কিন্তু আন্তর্জাতিক রাজনীতি সম্পর্কে খোঁজ-খবর রাখেন যারা, তারা জানেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাঁর কূটনৈতিক দক্ষতা ও রাষ্ট্রনীতির কারণে আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলে অত্যন্ত বিচক্ষণ ও দূরদর্শী নেতা হিসেবে দীর্ঘদিন ধরেই মর্যাদাপূর্ণ স্থানে আসীন। বঙ্গবন্ধু কন্যা সম্প্রতি জাপান সফর শেষে যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করছেন। আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে শেখ হাসিনার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এই সফর দেশবিরোধীদের সকল নীল নকশার ছক উল্টে দিল।

অনেকের মনে থাকবে, মাসখানেক আগে বিএনপির নেতৃবৃন্দের উস্কানিমূলক এক প্রশ্নের মুখে বিভ্রান্ত হয়ে জাপানের সাবেক রাষ্ট্রদূত একটি মন্তব্য করেছিলেন। বিএনপি তাদের কাল্পনিক ও তথ্য-প্রমাণহীন রাতের ভোট তত্ত্ব তুলে ধরে জাপানি রাষ্ট্রদূতের কাছে এ বিষয়ে মন্তব্য জানতে চান। তিনি জবাব বলেছিলেন, এমন কিছু ‘ঘটে থাকলে’ সেটা কাম্য নয়। অর্থাৎ জাপানি রাষ্ট্রদূত নিজেই সেই ঘটনা সম্পর্কে আদৌ জানেন না। তাই স্বভাবতই তিনি মধ্যমপন্থী জবাব দিয়েছিলেন যদি এমন কিছু ঘটে তবে সেটা গ্রহণযোগ্য নয়; এতে জাপান বিএনপির কাল্পনিক তত্ত্বকে স্বীকার করে নিয়েছে, তা কিন্তু প্রমাণ করে না।

[বিএনপির ঠুকঠাক, শেখ হাসিনার এক ঘাঃ দেশবিরোধীদের সব প্রচেষ্টা বিফল]

অর্থাৎ একটা অপরাধ সংঘটিত হয়েছে কি না, তা নিশ্চিত না হলেও অপরাধমে সমর্থন করেন না এমন যে কেউই বলবেন যে, অপরাধকে আমরা সমর্থন করি না। অথচ বিএনপি ও বিএনপিপন্থী গণমাধ্যম সেই বক্তব্যকে লুফে নিয়ে ঢালাওভাবে অপপ্রচার চালিয়েছে। সেই ঘটনা নিয়ে বিস্তর জলঘোলা হয়। জাপানের বর্তমান রাষ্ট্রদূত ইতিমধ্যে সাবেক রাষ্ট্রদূতের পূর্বতন বক্তব্যের পক্ষ না নিয়ে সোজাসাপ্টা বলে দিয়েছেন, জাতীয় নির্বাচন বাংলাদেশের আভ্যন্তরীণ বিষয়, এ নিয়ে কোনো মন্তব্য, পরামর্শ বা হস্তক্ষেপ করতে চায় না জাপান। বিএনপির ধরা খাওয়া এখানেই শেষ নয়।

এত অপপ্রচার এবং বিরোধিতা সত্ত্বেও প্রধানমন্ত্রী জাপান সফরে রাজকীয় সম্বর্ধনা পেলেন, বাংলাদেশ সম্পর্কে জাপান সরকারের তুমুল প্রশংসা, বাংলাদেশে উন্নয়নমুখী আরও বহু প্রকল্পে জাপানের সম্মতি, এ সবই ছিল কূটনৈতিক বিজয়। জাপান সফর নাকি ব্যর্থ, মির্জা ফখরুল আজ সাংবাদিকদের সামনে তার চিরাচরিত মিথ্যাচারের ঝাঁপি খুলে বসলেন। জাপান সফরে বাংলাদেশের প্রাপ্তিগুলো আগে দেখা যাক।

দুই দেশই কিছু বিষয়ে সম্মত হয়ে স্বাক্ষর করেছে এমন ৮টি চুক্তি ও স্মারকে, যা বাংলাদেশের কৃষি, শুল্ক, প্রতিরক্ষা, আইসিটি ও সাইবার-নিরাপত্তা, শিল্পে উদ্ভাবনী প্রযুক্তি সংযোজন, বুদ্ধিবৃত্তিক সম্পত্তি, জাহাজ ভাঙা শিল্পকে যুগোপযোগী করা এবং মেট্রো রেলের মত খাতগুলোকে আরও এগিয়ে নিয়ে যাবে। সেই সাথে বাংলাদেশ ও বন্ধুরাষ্ট্র ভারতকে সাথে নিয়ে জাপানের গ্লোবাল সাউথ পরিকল্পনা এ অঞ্চলে বাংলাদেশের অবস্থানকে আরও সুসংহত করে তুলবে। জাপানের এই ইন্দো-প্যাসিফিক পরিকল্পনায় বাংলাদেশ কৌশলগত অবস্থান নিয়েছে। এমন গুরুত্বপূর্ণ পর্যায়ে থাকা সত্ত্বেও মির্জা ফখরুলদের চোখে নাকি জাপান সফর ব্যর্থ!

বাংলাদেশ এরইমধ্যে এই অঞ্চলের একটি গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড়ে পরিণত হয়েছে, যেখানে বিশ্বের কোনো শক্তিই ঢাকার সক্রিয় অংশগ্রহণ ছাড়া কোনো পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে পারবে না। এই বিশেষ কারণে, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জাপান সফর অবশ্যই উভয় দেশের জন্য ব্যাপক সুফল বয়ে আনবে, অন্যদিকে জাপানি উদ্যোক্তারা বাংলাদেশে তাদের বিনিয়োগ উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়াবে। প্রধানমন্ত্রীর জাপান সফরে দুই বন্ধু দেশের নেতারা তাদের ৫০ বছরের পুরনো বন্ধুত্বকে আরও জোরদার করার জন্য বর্তমান ব্যবসা ও বিনিয়োগের সুযোগ বাড়ানোর বিষয়ে আলোচনা করছেন।

এরপর প্রধানমন্ত্রী গেলেন যুক্তরাষ্ট্র সফরে। যেটা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ একটা পদক্ষেপ ছিল তাঁর। বিগত কয়েক বছর ধরে বাংলাদেশের আভ্যন্তরীণ বিষয় যেমন- রাজনীতি, নির্বাচন, গণতন্ত্র, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, মত প্রকাশের স্বাধীনতা ইত্যাদি নানাবিধ বিষয়ে অযাচিতভাবে মার্কিনিদের কূটনৈতিক শিষ্টাচারবহির্ভূত মন্তব্যে বিএনপিসহ দেশবিরোধী গোষ্ঠীগুলো বেশ উল্লসিত ছিল। প্রায়শ বিএনপি নেতৃবৃন্দকে দেখা যেত মার্কিনিদের দুয়ারে দুয়ারে ঘুরছেন। ঢাকাস্থ মার্কিন রাষ্ট্রদূত যেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিবের দায়িত্ব পালন করছিলেন। তাই বিএনপি ধরেই নিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র সফরে গেলে শেখ হাসিনাকে হয়ত বেকায়দা অবস্থায় পড়তে হবে।

[বিএনপির ঠুকঠাক, শেখ হাসিনার এক ঘাঃ দেশবিরোধীদের সব প্রচেষ্টা বিফল]

মূলত তিনি যুক্তরাষ্ট্র সফরে গিয়েছেন বিশ্বব্যাংকের সাথে বাংলাদেশের ৫০ বছরের সম্পর্কের বর্ষপূর্তি উপলক্ষ্যে আয়োজিত অনুষ্ঠানে। যে বিশ্বব্যাংক পদ্মাসেতু প্রকল্পে ভুয়া দুর্নীতির অভিযোগ তুলে বাংলাদেশের মর্যাদা ক্ষুণ্ন করতে বিএনপি-জামায়াতের নষ্টামির সঙ্গী হয়েছিল, সেই বিশ্বব্যাংকের অনুষ্ঠানে গিয়ে নিজস্ব অর্থায়নে কীভাবে পদ্মাসেতু গড়েছেন, সেই দৃঢ় সংকল্পের কথা সবার সামনে তুলে ধরে বিশ্বব্যাংককে চোখে আঙুল দিয়ে তাদের ভুল ধরিয়ে দিয়েছেন। শুধু তা-ই নয়, বিশ্বব্যাংকের চেয়ারম্যানের হাতে পদ্মাসেতুর একটি ছবি তুলে দিয়ে অতীতের শোধ নিয়েছেন। তাঁর এই সফর এবং বিশ্বনেতাদের সাথে আলাপের পর বিশ্বব্যাংক, আইএমএফসহ বিভিন্ন উন্নয়ন সহযোগী সংস্থাগুলোর প্রশংসায় ভাসছেন শেখ হাসিনা।

বিশ্বব্যাংকের ভাইস প্রেসিডেন্ট মার্সি টেম্বন যুক্তরাষ্ট্র সফররত বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নিয়ে একটি টুইট করেছেন। এর সঙ্গে তিনি একটি ছবিও পোস্ট করেছেন। টুইটে টেম্বন লিখেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সদয় উপস্থিতিতে বাংলাদেশ ও বিশ্বব্যাংক গ্রুপের প্রভাবশালী অংশীদারত্বের ৫০ বছর উদযাপন করছি। বাংলাদেশ সত্যিকার অর্থেই বিশ্বের অন্যতম সেরা উন্নয়ন সাফল্যের গল্প। এর অনেক ভালো উদাহরণ রয়েছে যা ব্যাপকভাবে অনুকরণ করা যেতে পারে।

এসব ছাড়াও বাংলাদেশের উন্নয়নমুখী পরিকল্পনায় বিশ্বব্যাংক, আইএমএফসহ বিভিন্ন সংস্থার বড় অঙ্কের অর্থায়নের খবরও দেখা যাচ্ছে গণমাধ্যমে। অথচ কিছুদিন আগেই বিএনপির কতিপয় ভাড়াটে বুদ্ধিজীবী ও অর্থনীতিবিদ, বিএনপি-জামায়াতের অর্থায়নে চালিত প্রথম আলো-ডেইলি স্টারসহ কয়েকটি পত্রিকায় তথাকথিত বিশেষজ্ঞরা কলাম লিখে ভরিয়ে ফেলেছেন, বিদেশি সংস্থাগুলো বাংলাদেশে অর্থায়ন করবে না, বাংলাদেশ দেউলিয়া হয়ে যাচ্ছে, ব্যাংক বসে যাচ্ছে, দেশ শ্রীলঙ্কা হয়ে যাচ্ছে, চীন বাংলাদশকে আষ্টেপৃষ্ঠে বেঁধে ফেলেছে কিংবা কিনে ফেলেছে, অমুক রাষ্ট্রনেতা বাংলাদেশকে নিয়ে সন্তুষ্ট নয়, তমুক দেশ বাংলাদেশের ওপর নিষেধাজ্ঞা চায়… ইত্যাদি ইত্যাদি।

প্রধানমন্ত্রীর কূটনৈতিক পদক্ষেপ এবং সদর্প পদচারণা সব অপশক্তিকে কালবৈশাখি ঝড়ের মত উড়িয়ে নিয়ে নর্দমায় ফেলে দিল। কোথায় গেল বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে মার্কিনিদের রক্তচক্ষু, কোথায় গেল নানারকম স্যাংশনের জুজু, কোথায় গেল বিএনপি-জামায়াতিদের মিলিয়ন মিলিয়ন ডলার খাওয়া লবিষ্ট ফার্মগুলোর ষড়যন্ত্র? উল্টো মার্কিন প্রশাসনের মুখপাত্র বেদান্ত প্যাটেল সাফ জানিয়ে দিয়েছেন বাংলাদেশের নির্বাচন ও আভ্যন্তরীণ বিষয় নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের হস্তক্ষেপের কোনো ইচ্ছা নাই।

নির্বাচনে কোন দল এল-গেল, কে অংশ নিবে না নিবে, কোন দল নির্বাচনে না গেলে সেই নির্বাচন শুদ্ধ হবে না- এসব নিয়ে মার্কিনিদের বিন্দুমাত্র মাথাব্যথা নেই। এসব ঘটনা আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে যতই ফলাও করে প্রচারিত হচ্ছে ততই মর্মবেদনায় শেষ হয়ে যাচ্ছে, জ্বলে পুড়ে যাচ্ছে বিএনপি নেতাদের অন্তর। আর তাই বুধবার গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে বিএনপির লিঁয়াজো কমিটির বৈঠক শেষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিদেশ সফরের অর্জন শূন্য বলে হাস্যকর এক মন্তব্য করলেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এই সফর সফল হয়নি উল্লেখ করে ফখরুল বলেন, মানুষকে বারবার বোকা বানানো যায় না। এবার তারা ব্যর্থ হয়েছে।

[বিএনপির ঠুকঠাক, শেখ হাসিনার এক ঘাঃ দেশবিরোধীদের সব প্রচেষ্টা বিফল]

তর্কের খাতিরে বিএনপি নেতাদের দাবি যদি মেনেও নেয়া হয়, শেখ হাসিনার সফর যদি ব্যর্থ হয়, তবে কি বিএনপি খুশি হতো? বাংলাদেশ যদি কিছু অর্জন করতে না পারত বিদেশ সফর থেকে, তাতে বিএনপি আনন্দিত হতো। নিজেদের নাক কেটে হলেও দেশের অগ্রযাত্রা ব্যাহত করতে চায় যারা, সেই দেশবিরোধী গোষ্ঠীর নাম বিএনপি। তারা সেই চেষ্টাই করেছিল। যুক্তরাষ্ট্রে একটি নাগরিক সংবর্ধনায় যোগ দিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যখন হোটেল রিজ কার্লটনে যাচ্ছিলেন তখন দেখা গেল হোটেলের সামনে বিএনপি-জামায়াতের নেতাকর্মীরা হৈ হট্টগোল করছিল। বিদেশের মাটিতে এমন পরিস্থিতিতে সেদেশের নাগরিকরা রাজনৈতিক দল দেখত না, বলত- বাংলাদেশিরা উচ্ছৃঙ্খল।

দেশের যেন বদনাম না হয় সেজন্য শেখ হাসিনা ত্বরিৎ পদক্ষেপ নেন। সেসময় প্রচন্ড বৃষ্টি হচ্ছিল এবং বাইরেও খুব ঠাণ্ডা ছিল। তাই রাস্তায় হট্টগোল না করে তাদেরকে ডেকে নিয়ে তাদের বক্তব্য শুনতে চেয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি তার সফরসঙ্গীদের বলেন, ওরা বাইরে শীতের ভেতরে বিক্ষোভ করছে, ওদের প্রতিনিধিদের আসতে বলো। ওরা কী বলতে চায়, তারা এখানে (হোটেল লবিতে) এসে বলুক।

এরপর প্রধানমন্ত্রীর একান্ত সচিব-২ (যুগ্মসচিব) আল মামুন মুর্শেদ এবং বাংলাদেশ মিশনের একজন কর্মকর্তা তাদের এই আমন্ত্রণ জানাতে যান। ডাকা হয়েছে শুনে বিএনপি-জামায়াতের সেই নেতাকর্মীরা দ্রুত পালিয়ে যান। তারা হয়ত ভয় পাচ্ছিলেন, উচ্ছৃঙ্খল আচরণের কারণে মার্কিন প্রশাসনে অভিযোগ জানালে তাদের সেদেশে থাকা মুশকিল হয়ে যায় কি না! দেশবিরোধীদের দৌড় অতটুকুই! তবে তারা থেমে যায়নি, সেখান থেকে পালিয়ে গিয়ে তারা সাউন্ড এডিটেড ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়। যদিও ফ্যাক্ট চেকার সংস্থাগুলো ইতিমধ্যে সেসব ভিডিওকে ভুয়া প্রমাণ করে দিয়েছে।

অতএব, এটা জাতিকে বুঝতে হবে, দেশবিরোধী যে অপশক্তি দেশে এবং বিদেশে সক্রিয় দেশের ক্ষতি করার জন্য, অগ্রযাত্রা ব্যাহত করার জন্য, সেই অপশক্তিকে শুধু প্রতিহত করলে চলবে না, তাদেরকে সমূলে উৎখাত করতে হবে। এই অপশক্তিকে অনেক ছাড় দেয়া হয়েছে, সুযোগও দেয়া হয়েছে। তাদের বাকস্বাধীনতার নামে মিথ্যাচার প্রচার, মত প্রকাশের অধিকারের নামে প্রোপাগান্ডা ও গুজব ছড়ানো, রাজনৈতিক কর্মসূচির নামে তাণ্ডব চালানোর অধিকার সম্পর্কে আজ শুধু দেশের মানুষ নয়, উন্নত দেশগুলোর সচেতন মানুষজনও জেনে গেছেন। তাই দেশের ভাবমূর্তি রক্ষায় এই অপশক্তির বিরুদ্ধে সর্বস্তরের জনতাকে রুখে দাঁড়াতে হবে। ব্যালটের মাধ্যমে জবাব দিয়ে তাদের অপরাজনীতিকে চিরতরে কফিনবদ্ধ করার সময় এখনই।

আরও পড়ুনঃ