
বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার ক্ষমতায় থাকার সময় সীমাহীন লুটপাট, অর্থ-পাচার এবং দুর্নীতিতে নিমজ্জিত হয়ে পাঁচ বছর শেষ করে মন্ত্রী এমপি ও নেতারা। বিএনপি নেতাকর্মীদের অপশাসনের কারণে টানা পাঁচ বছর দুর্নীতিতে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হয়ে অর্থনৈতিকভাবে দেউলিয়া হয়ে গিয়েছিল বাংলাদেশকে। পরবর্তীতে অক্লান্ত পরিশ্রম ও সুশাসন প্রতিষ্ঠা করে বিশ্বের দরবারে বাংলাদেশকে মর্যাদাবান রাষ্ট্র হিসেবে পুনঃপ্রতিষ্ঠিত করে আওয়ামী লীগ সরকার।
আরও পড়ুন : দুর্নীতিতে বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা যখন দুর্নীতি নিয়ে কথা বলে তখন মানুষের মধ্যে হাস্যরসের সৃষ্টি হয়
বঙ্গবন্ধু কন্যা ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বে বাংলাদেশের এই অগ্রযাত্রায় ঘুম হারাম হয়ে গেছে বিএনপি-জামায়াতের দুর্নীতিবাজ নেতাদের। একারণে সম্প্রতি দুর্নীতিবিরোধী সমাবেশের ছদ্মবেশে গণমাধ্যমে এবং সামাজিকমাধ্যমে সরকারের বিরুদ্ধে বহুমুখী প্রোপাগান্ডা ছড়ানোর পাঁয়তারা করছে বিএনপির চিহ্নিত দুর্নীতিবাজ নেতারা।
বিশ্ব মন্দার কারণে ঊর্ধ্বগামী আন্তর্জাতিক বাজারের অস্থিরতাকে কাজে লাগিয়ে সরকারবিরোধী অপপ্রচার ছড়ানোর নীলনকশা হাতে নিয়েছে বিএনপি। অথচ আকণ্ঠ দুর্নীতিতে নিমজ্জিত এই দলের শীর্ষ নেতাদের কারণেই বাংলাদেশ পিছিয়ে গেছে অনেক বছর। এমনকি বিরোধী দলে থাকা অবস্থাতেও দুর্নীতির স্বপ্নে বিভোর হয়ে থাকে বিএনপি নেতাকর্মীরা। ২০১৮ সালে নিজেদের দলের গঠনতন্ত্র সংশোধন করে দুর্নীতিবাজদের জন্য দলের দরজা উন্মুক্ত করে দেওয়া হয় তারা।
বিএনপির সংশোধনীতে গঠনতন্ত্র থেকে ৭ (ঘ) ধারা বাদ দেওয়া হয়েছে। ধারাটিতে আগে উল্লেখ করা ছিল: ‘সমাজে দুর্নীতিপরায়ণ বা কুখ্যাত বলে পরিচিত কোনও ব্যক্তি দলের যে কোনও পর্যায়ে কমিটির সদস্য বা জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলের প্রার্থী হিসেবে অযোগ্য বলে বিবেচিত হবেন।’
আরও পড়ুন : তারেক জিয়ার রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ কি?
এই ধারাটি বাতিল করে স্বীকৃত দুর্নীতিবাজদের বিএনপির রাজনীতি করতে উৎসাহিত করেছে মহা-দুর্নীতিবাজ তারেক রহমান। মূলত, এতিমের অর্থ আত্মসাৎকারী খালেদা জিয়া, তারেক রহমান এবং দলের সিনিয়র নেতাদের অধিকাংশই দুর্নীতিতে নিমজ্জিত থাকায় দলীয় গঠনতন্ত্র থেকে দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার বিষয়টি উঠিয়ে দেয় বিএনপি।
[বিএনপির দুর্নীতিবিরোধী সমাবেশ : বাংলাদেশের মানুষের সাথে এ কোন তামাশা! দুর্নীতির রাজা তারেক রহমান যে দলের চেয়ারপার্সন, সেই দলের মুখে দুর্নীতির বিরুদ্ধে কথা শুনলে ঘোড়াও হাসে।]
যে দল নিজেদের গঠনতন্ত্রের মাধ্যমে দুর্নীতিকে উৎসাহিত করে, সেই দলের দুর্নীতিবাজ নেতারা দুর্নীতিবিরোধী সমাবেশের নামে জনগণের সঙ্গে এ কোন ধরনের তামাশায় লিপ্ত হয়েছে!
বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের সময় গরিবের জন্য বরাদ্দ ত্রাণের টিন এবং কৃষকদের জন্য ভর্তুকির সার পর্যন্ত দুর্নীতির মাধ্যমে লোপাট করেছে বিএনপি নেতারা। বিদ্যুতের নামে সারা দেশে শুধু খাম্বা স্থাপন করে প্রায় দশ হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার করেছে তারেক রহমান। সরকারি বনাঞ্চল উজার করে শত শত কোটি টাকার রাজস্ব লুট করেছে খালেদা জিয়ার নেতৃত্বাধীন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় এবং বিএনপি নেতারা। মানুষের ভূমি ও ব্যবসা দখল, দুর্নীতির মাধ্যমে সরকারি জমি এবং ভবন দখল করে কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছে যারা; সেই বিএনপি নেতারা আজ দেড় যুগ পর ভেবেছে- জনগণ সব ভুলে গেছে।
কিন্তু মানুষ অতো বোকা নয়। তারা যেভাবে মানুষের ব্রেন ওয়াশের মাস্টারপ্ল্যান নিয়ে নেমেছে, তা এই যুগে সম্ভব নয়। কারণ ইন্টারনেটে সার্চ দিলেই জনগণ প্রতিটি মুখোশধারী বিএনপি নেতার লুটপাট, সহিংসতা এবং দুর্নীতির চিত্র খুঁজে পায়। ২০০১ থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত প্রথম সারির পত্রিকাগুলো খুলে দেখুন। মহা দুর্নীতিবাজ ও সহিংস বিএনপি নেতাদের বহু আগেই লাল কার্ড দেখিয়েছে বাংলাদেশের মানুষ।
আরও পড়ুন :
- দুর্নীতিতে টানা পাঁচ বারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন বিএনপির জাতির সাথে তামাশা
- যে দলের নেতা-নেত্রী দুইজনই দুর্নীতির দায়ে অভিযুক্ত সে দলটি সাধারণ মানুষের কাছে থেকে বিচ্ছিন্ন হবে- এটাই স্বাভাবিক মতামত সাধারণ জনগণ এর
- তথ্য বিশ্লেষণঃ বিএনপি’র দুর্নীতির চ্যাম্পিয়নশিপ! আওয়ামী লীগের প্রোপাগাণ্ডার না বিএনপির কৃতকর্মের ফলাফল?