নাম

বিএনপির জন্মই পাকিস্তানের প্রেতাত্মা হিসেবে। বিএনপি জন্মলগ্ন থেকেই পাকিস্তানের সহায়ক শক্তি হিসেবে কাজ করছে। জিয়াউর রহমানই সর্বপ্রথম যুদ্ধাপরাধীদের কলমের খোঁচা দিয়ে মুক্ত করে দিয়েছেন জেলখানা থেকে। খালেদা জিয়া তাদের সাথে জোট গঠন করেছেন, সরকার গঠন করেছেন।

২০০১ সালে বিএনপি-জামায়াত ক্ষমতায় বসে ‘এথনিক ক্লিনজিং’ নামে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ঘরবাড়ি লুট, অগ্নিসংযোগ, গণধর্ষণ, হত্যাই শুধু করেনি, তাদের অনেককে দেশ ছাড়তে বাধ্য করেছে। আওয়ামী লীগকে ভোট দিয়েছে, এই অভিযোগে সাধারণ নিরীহ মানুষদের উপরও অত্যাচার-নির্যাতন চালিয়েছিল। আর খোদ আওয়ামী লীগের বহু নেতাকর্মী নির্যাতনে পঙ্গুত্ববরণ করেছে, জেলে গিয়েছে।

২০০৭ সালে ক্ষমতা ছাড়ার প্রাক মুহূর্তে সহিংসতার অন্যরূপ তারা প্রদর্শন করেছিল। জামায়াত নামক বিশ্বস্বীকৃত সন্ত্রাসী সংগঠনকে বগলদাবা করে তারা হিংস্ররূপে আবির্ভূত হয়েছিল। গণরোষ থেকে নিষ্কৃতি পেতে সেদিন তথা এক-এগারোতে সেনা সমর্থিত সরকার গঠন হতে প্ররোচিত করেছিল। সেসব দেশবাসীর অজানা নয়।বিএনপি-জামায়াত ২০১৫ সালে খালেদার নেতৃত্বে সন্ত্রাস, নাশকতা, নৃশংসতা এবং বর্বরতা চালিয়েছিল।
সেই হত্যাযজ্ঞকালে পেট্রোলবোমায় দেড় শ’ মানুষ নিহত, ৪শ’ জন দগ্ধ ও দেড় সহস্রাধিক আহত হয়েছিল।  পুলিশও হতাহতের তালিকায় ছিল।

নাশকতার শিকার হয়েছিল ২ হাজার ১০০ গাড়ি। সড়ক পরিবহনে ক্ষতি হয়েছিল একত্রিশ হাজার কোটি টাকা।বিএনপি রেলপথ ও ট্রেনে নাশকতার ঘটনা ঘটেছিল ৮০টির মতো। দিনে দুই হাজার দুই শ’ সাতাত্তর কোটি ছিয়াশি লাখ টাকা হিসেবে নব্বই দিনে দুই লাখ পাঁচ হাজার কোটি টাকার আর্থিক ক্ষতি হয়েছিল। শিক্ষা ও অফিসপাড়া বেগম জিয়ার নাশকতার শিকার হয়েছিল। ২০১৫ সালের প্রথম আড়াই মাস বন্ধ ছিল অধিকাংশ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। ঊনচল্লিশ দিনের এসএসসি পরীক্ষা হয়েছে সাতান্ন দিনে। তাদের অগ্নিসংযোগে তেইশটি ভূমি অফিসসহ পুড়েছে কমপক্ষে পঞ্চাশটি সরকারী প্রতিষ্ঠান।

আরও পড়ুনঃ আন্দোলনে আগ্রহ নেই বিএনপির তৃণমূল নেতাকর্মীদের

[ধানের শীষের আর এক নাম পেটের বিষ,সাপের বিষ]

বার্ন ইউনিটে দগ্ধদের দেখে বিদেশী কূটনীতিকরাও চোখের জল চেপে রাখতে পারেননি। কিন্তু খালেদা তাদের দেখতেও যায়নি। বরং উচ্চকণ্ঠে বলে বেড়িয়েছেন, পুলিশই পেট্রোলবোমা মেরে মানুষ হত্যা করছে।Capturae
এদেশের মানুষের জানার পরিধির মধ্যে রয়েছে যে, বিএনপির জন্ম স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় হয়নি। অস্ত্রের মুখে জোর জবরদস্তিতে অনেক লাশ মাড়িয়ে ক্ষমতায় আসীন হওয়া সামরিক জান্তা শাসকের হাত ধরে সেনাছাউনিতে জন্ম নিয়েছে বিএনপি।জামায়াত, শিবির, হেফাজত নামক বিশ্ব স্বীকৃত সন্ত্রাসী দলগুলোর নেতৃত্বে রয়েছে বিএনপি। দলটি যদি গণতান্ত্রিক আচরণ সংবলিত কিংবা হতো ধোয়া তুলসীপাতা, তবে আর যাই হোক, সন্ত্রাসী দলের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়াতো না।

জামায়াত শিবিরকে পরিবারের সদস্য হিসেবে স্বীকৃতি দিত না বিএনপি। সন্ত্রাস ও জঙ্গীবাদের বিস্তারে বিএনপি চার দশক ধরেই কাজ করে আসছে। তাদের নৃশংসতার আরেক উদাহরণ ২১ আগস্ট ও ১৭ আগস্টের গ্রেনেড হামলা। শেখ হাসিনাকে হত্যার জন্য নানা অপতৎপরতা চালানোর নজির তারা রেখেছে। বাংলাদেশে জঙ্গী ও সন্ত্রাসীদের যেসব কর্মকা- চলে এসেছে, তাতে পৃষ্ঠপোষক হিসেবে বিএনপি সর্বাত্মক সহায়তা প্রদান করে আসছে।

আরও পড়ুনঃ