মেন্দি এন সাফাদি

এই মেন্দি এন সাফাদি কে ?

মেন্দি এন সাফাদি যেন তেন কোন লোক নয়। ইতিহাস ঘাটলে দেখা যায় তার কর্মকাণ্ডের কারণে এর আগেও লণ্ডভণ্ড হয়েছে বিধ্বস্ত হয়েছে মুসলিম দেশ।

লেবাননের আরবী পত্রিকা Al-Akhbar এর দেওয়া তথ্য মতে, বাশার-বিরোধী আন্দোলন শুরু হওয়ার পর হেজবুল্লাহ ও সিরিয়ান এক্সপার্টরা মেন্দি এন সাফাদি’র কম্পিউটার হ্যাক করে গোপন তথ্য বের করে নিয়ে আসে।

এই গোপন তথ্যের মধ্যে সবচেয়ে আকর্ষনীয় তথ্য ছিলো- সিরিয়াকে উ্ত্তপ্ত করার জন্য সিরিয়ান বিদ্রোহী গ্রুপ, আল নুসরা ফ্রন্ট বা সিরিয়ান আল কায়েদা) এবং আইএস, ইসলামিক স্টেট কে অস্ত্র সরবরাহ করতে চুক্তি করেছিলো এই মেন্দি এন সাফাদি।

এছাড়া ২০১৪ সালে আইএস’র সাথে ফের সাফাদি’র যোগাযোগ করার প্রমাণ পাওয়া যায়।

পত্রিকাটি জানায়- এন সাফাদি সিরিয়া ও লেবাননে ইসরাইলী এজেন্ট রিক্রুট করতে কাজ করে। সে সাধারণ এজেন্ট নয়, এজেন্ট রিক্রুট করা তার কাজ । সে ইসলামী বিদ্রোহী গ্রুপগুলোর হাতে অস্ত্র তুলে দেয় এবং বোমা হামলা করার টার্গেট পর্যন্ত ঠিক করে দেয়।

কি এমন তার বিশেষত্ব?

মেন্দি এন সাফাদি টাইমস অফ ইসরায়েল নামের একটি পত্রিকায় দেয়া এক সাক্ষাৎকারে শিকার করে যে তার সাথে আইএস এর যোগাযোগ আছে, কিন্তু সে দাবি করে যে উনি জর্ডান অনুরোধে আইএস এর সাথে কথা বলেন যাতে ওই সন্ত্রাসী সংঘটনটি তাদের জিম্মায় থাকা জর্ডানিয়ান পাইলট কে ছেড়েদেয়।

এখানে কথা হলো, জর্ডান একটি সার্ভভৌম দেশ তাদের পাইলটের মুক্তির জন্য তারা সরাসরি আইএস এর সাথে যোগাযোগ করতে পারে, তাদের কি দরকার একজন ইসরায়েলিকে দিয়ে আইএস এর সাথে যোগাযোগ করা? এথেকেই প্রমান হয় মেন্দি এন সাফাদি এর সাথে সন্ত্রাসী সংগঠন আইএস এর কি গভীর সম্পর্ক।

এই মেন্দি এন সাফাদির বিশেষত্ব হচ্ছে, যারা মুসলিম পরিচয় সন্ত্রাস করে তাদের কে ইসরাইলের হয়ে হ্যান্ডেল করে এই সাফাদি। তাদেরকে অস্ত্র-ট্রেনিং-অর্থ সহ সব ধরণের সহযোগিতা করে সাফাদি।

উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো এই ইসরায়েলের জন্য সব চেয়ে বড় হুমকি হলো সে সকল দেশ যারা ইসরায়েলকে আনুষ্ঠানিক ভাবে স্বীকৃতি প্রদান করে না, কোনো সম্পকও তৈরী করে না , তাই তারা সেসকল দেশগুলোকে শান্তিতে থাকতে দিতে চায় না এইটাই তাদের নীতি।

বাংলাদেশ যেহেতু শুরু থেকেই ফিলিস্তিনিদের অধিকারের পক্ষে, বাংলাদেশ ১৯৭১ এ যখন রক্তক্ষয়ী সংগ্রামের মধদিয়ে ঝাচ্ছিলো তখন সবার আগে বাংলাদেশকে স্বীকৃতি এবং সাহায্য করার চেষ্টা করে ইসরায়েল। কিন্তু সেই বিপদের সময়েও বাংলাদেশের আওয়ামী লীগ সরকার তাদের স্বীকৃতিকে প্রত্যাখ্যান করে, তখন থেকে এখন প্রজন্ত বাংলাদেশ বিশেষ করে আওয়ামী লীগ সরকার সকল আন্তর্জাতিক ফোরামে ফিলিস্তিনিদের পক্ষে কথা বলে।

অতঃপর যতদিন পর্যন্ত ফিলিস্তিনিরা অধিকার বঞ্চিতি হবে নিপীড়িত হবে ততদিন প্রজন্ত ইসরায়েলিদের বিরোধিতা করাই বাংলাদেশের মানুষের চেতনা এইটাই আমাদের স্বাধীনতার চেতনা।

এত কূটনৈতিক থাকতে নুরুকে কেন মেন্দি এন সাফাদি সাথেই দেখা করতে হলো?

তাই আজকে নুরু-ইসরায়েল একজোট, তারা চায় বাংলাদেশকে একটি সন্ত্রাসী রাষ্ট্রে পরিণত করতে বাংলাদেশকে ধ্বংস করতে। বাংলাদেশকে ইরাক-সিরিয়ার মত ধ্বংসস্তুপ বানানোর ষড়যন্ত্র চলছে। এবং যেই মেন্দি এন সাফাদি সিরিয়াকে ধ্বংসস্তুপ বানিয়েছে, সেই মেন্দি এন সাফাদি এবার নতুন প্রজেক্ট নিয়ে এসেছে বাংলাদেশে।

রোহিঙ্গাদের ট্রেনিং দেবে অস্ত্র দেবে নুরের সহচর তারেক, এই কথা কেন বলে কিসের জোরে বলে তা আর বোঝার বাকি থাকে না।

আরও পড়ুনঃ