বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী এবং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকীর উদযাপন পণ্ড করতে উঠেপড়ে লেগেছে কট্টর উগ্রবাদী ও ধর্মব্যবসায়ীরা। ইসলাম ধর্মকে বিকৃত করে দেশের আপামর জনতাকে কাফের বলে ফতোয়া দিচ্ছে তারা। এমনকি যারা তাদের সাথে নেই, তারা ইসলামের বিপক্ষে- এমন কথা উচ্চারণ করতেও কণ্ঠ কাঁপছে না তাদের। শুধু তাই নয়, দেশীয় অস্ত্র নিয়ে দেশজুড়েও তাণ্ডব চালিয়েছে এই উগ্রবাদীরা। সম্প্রতি থানা, হাসপাতাল, ঐতিহ্যবাহী সাংস্কৃতিক কেন্দ্র, সরকারি অফিস, গ্যাসফিল্ড, আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয় এবং মানুষের বাড়িঘরেও ভাঙচুর ও আগ্নি সংযোগ করেছে তারা। 

এর আগে, আরো কয়েকবার এই ধরনের নাশকতা চালিয়েছে এই মৌলবাদী গ্রুপগুলো। কিন্তু তখন তাদের বিরুদ্ধে কোনো কঠোর ব্যবস্থা নেয়নি সরকার, পরিবার-পরিজনকে সঙ্গে নিয়ে মূলধারার স্বাভাবিক জীবনে ফেরার সুযোগ দেওয়া হয়েছে তাদের। সরকারের এই নমনীয়তাকে দুর্বলতা ভেবে, উল্টো আরো বেপরোয়া হয়ে ওঠে তারা। যার পরিপ্রেক্ষিতে মহান স্বাধীনতা দিবসের ৫০ বছরপূর্তি উদযাপনের প্রক্কালে, চূড়ান্ত আঘাত হানে এই ধর্মব্যবসায়ীরা। কিন্তু সহ্যসীমা অতিক্রম করে যাওয়ায়, এবার তাদের বাড়াবাড়ি থামানোর ব্যাপারে কঠোর অবস্থান নিয়েছে সরকার।

বাংলাদেশের সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে সম্প্রতি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দ্য ডিপলোম্যাট পত্রিকায় বিস্তারিত তুলে ধরেছেন দক্ষিণ এশিয়ার রাজনীতি বিশেষজ্ঞ সুধীর ভৌমিক। সেখানে তিনি বলেছেন, বাংলাদেশে সরকার এতাদিন ইসলামি উগ্রবাদীদের আস্কারা দিয়ে রেখেছিল। একারণে সম্প্রতি ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বাংলাদেশ সফরকে ইস্যু করে ব্যাপক নাশকতা চালানোর সুযোগ পেয়েছে তারা। তবে এ ব্যাপারে কঠোর অবস্থানের কথা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গণমাধ্যমকে তিনি বলেছেন, যারাই এই নাশকতার সঙ্গে সঙ্গে জড়িত, তাদের বিরোদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। 

মূলত, বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন উপলক্ষে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের নেতারা বাংলাদেশকে শুভেচ্ছা জানাতে আসেন। দশ দিনব্যাপী এই অনুষ্ঠান চলে। এরই অংশ হিসেবে প্রতিবেশী অন্যান্য রাষ্ট্রের সরকারপ্রধানের মতো বাংলাদেশে আসেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ২৬ তারিখ স্বাধীনতা দিবসে তার বাংলাদেশে আসাকে কেন্দ্র করে ২৫ তারিখ হট্টগোল শুরু করে ইসলামি উগ্রবাদীরা। এরপর, ২৬ মার্চ শুক্রবার, হেফাজতে ইসলামের নেতাকর্মীরা বায়তুল মোকাররম মসজিদে জুমার নামাজের মোনাজাত শেষ হওয়ার আগেই গণ্ডগোল শুরু করে এবং মুসল্লিদের বিভ্রান্ত করে ঢাকায় নাশকতার চেষ্টা চালায়। কিন্তু রাজধানীতে তখন বিদেশি অতিথিরা থাকায় সেই প্রচেষ্টা ব্যর্থ করে দেয় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। তবে কওমি মাদ্রাসার শিশু-কিশোরদের ব্যবহার করে ঢাকার বাইরে তিন দিনব্যাপী নাশকতা চালায় তারা। চট্টগ্রাম, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, সিলেটের বিভিন্ন অঞ্চলে থানায় হামলা করে, হাসপাতাল ও ভূমি অফিস পুড়িয়ে দেয়, এমনকি মানুষের বাড়িঘরেও হামলা করে তারা। এসময় তাদের সহিংসতা থামাতে গেলে গুলি ছুড়তে হয় পুলিশকে। মারা যায় ১৪ জন। অবশেষে তিন দিন পর তাণ্ডবলীলা থামাতে বাধ্য হয় তারা।

মানুষের জান-মালের নিরাপত্তায় সরকারের অবস্থান

এই ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রকাশ্যে গণমাধ্যমে জানান, ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে সহযোগিতা করায় ভারতের জনগণের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাতে দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। যারা এটাকে ইস্যু বানানোর অপচেষ্টা করেছে এবং দেশে নাশকতা চালিয়েছে, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এসময় হেফাজতের নেতাকর্মীদের সতর্ক করে তিনি আরো বলেছেন, ভবিষ্যতে এরকম নাশকতা চালানোর পরিকল্পনা থাকলে চড়া মূল্য দিতে হবে।

এদিকে এই ঘটনার সম্পর্কে দ্য ডিপলোম্যাটের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভারতের প্রধানমন্ত্রীর আগমনকে কেন্দ্র করেই নাশকতা চালিয়েছে হেফাজতের নেতাকর্মীরা। তারা বলেছে- ভারতে মুসলমানদের প্রতি বৈষম্যমূলক আচরণ করে নরেন্দ্র মোদীর দল বিজেপি, ভারতে নতুন বিতর্কিত এক নাগরিক আইন করা হয়েছে এবং অনেক মুসলিম অভিবাসীর নাগরিকত্ব বাদ দেওয়া হয়েছে। মুসলিম জনগোষ্ঠীর ওপর বিদ্বেষমূলক আচরণ করায় মোদীর বাংলাদেশ সফরের বিরোধিতা কার হয়েছে বলে দাবি করেছে হেফাজত। 

বাংলাদেশের কওমি মাদ্রাসাগুলো নিয়ন্ত্রণ করে থাকে এই হেফাজত। মাদ্রাসায় অধ্যয়নরত শিশু-কিশোর-তরুণদের নিজেদের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করে থাকে তারা। এসব সহিংসতায় তাদের রাস্তায় নামিয়ে দেওয়া হয়। মূলত তাদের মাধ্যমেই নাশকতাগুলো সংঘটিত করে হেফাজত নেতারা।

মোদী বিরোধিতার ব্যাপারে হেফাজত নেতাদের সহিংসতার সমালোচনা করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পরবর্তীতে সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘আপনাদের মাদ্রাসার ছেলেরা উচ্চশিক্ষার জন্য ভারতের দেওবন্দে পড়তে যায়। কই, ভারত তো কখনো বলেনি যে ভিসা দেবে না। তাহলে মোদীর বাংলাদেশের সফর নিয়ে আপনাদের এতো সমস্যা কেনো? ভারত আমাদের বিশ্বস্ত বন্ধু।

দ্য ডিপলোম্যাটের প্রতিবেদনে আরো বলা হয়, হেফাজতের সহিংসতা ও উদ্দাম-তাণ্ডব থামাতে পুলিশের গুলি বর্ষণের ঘটানায় সমালোচনাও করেছেন অনেকে। তবে এই সমালোচনাকে পাত্তা দেয়নি সরকার। তারা এবার সন্ত্রাস দমনে কঠোর অবস্থান নিয়েছে। এমনকি সহিংসতার ঘটনাগুলোর ভিডিও ফুটেজ দেখে দেখে এর সঙ্গে যুক্তদের গ্রেফতার করা হচ্ছে।

আওয়ামী লীগের তরুণ নেতারাও সরকারের এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছে। তার বলছেন, আপনার নিজের বাড়িতে যখন হামলা চালায় হেফাজত, আপনি যখন নিজের ঘরের নিরাপদ নন, তখন দুর্বৃত্তায়ন থামাতে আপনাকে কঠোর হতেই হবে। এই নাশকতায় শুধু হেফাজন নয়, আরো অনেক রাজনৈতিক দলও যুক্ত। বিশেষ করে পাকিস্তানপন্থী বিএনপি, জামায়াত, খেলাফত মজলিস ও আরো কিছু উগ্রবাদী গ্রুপ এদের পেছন থেকে সমর্থন দিচ্ছে। অতি গোপনে এদের সঙ্গে জঙ্গিগ্রুপ জেএমবি-এরও সম্পৃকতা আছে। তারা আসলে বাংলাদেশকে তালেবান রাষ্ট্রে পরিণত করতে চায়। আফগানিস্তানের অবস্থা দেখেন, সেখানে যেভাবে তালেবানরা ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছে, ঠিক একই স্টাইলে নাশকতা করছে হেফাজত-জামায়াত-জমিয়তের নেতারা। এরা ১৯৭১-এর পরাজিত শক্তি। এরা কখনো বাংলাদেশের ভালো চায় না। এরা বাংলাদেশকে ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করার এজেন্ডা নিয়ে কাজ করছে।

এই কাঠমোল্লাদের বিরুদ্ধে সরকারের কঠোর অবস্থানকে সমর্থন করেছেন দেশের আইনজীবীরা। দ্যা ডিপলোম্যাটে দেওয়া সাক্ষাৎকারে দেশের তরুণ আইনজীবীরা বলেছেন, এই উগ্রবাদীদের নাশকতা থামানোর জন্য যারা পুলিশের অ্যাকশানের সমালোচনা করছেন, তাদের বলতে চাই-ধর্মের নামে দুর্বৃত্তায়ন করার দায়ে আরববিশ্ব এবং আফগানিস্তানের সন্ত্রাসীদের কঠোর শাস্তি দিতে যেমন গুয়ানতানামো বে নামক কারাগার সৃষ্টি করা হয়েছিল। হেফাজত ও এর মিত্ররা তো মসজিদেও হামলা করে। এদের নেতাকর্মীদের অনেকে ১৯৭১ সালে পাকিস্তানি বাহিনীর সঙ্গে হাত মিলিয়ে বাঙালিদের হত্যা করেছে, ধর্ষণ করেছে। তারপরেও তারা সেই যুদ্ধে হেরেছে। এই দুর্বৃত্তদের পরবর্তী প্রজন্মের অনেকেই সেই পরাজয়ের প্রতিশোধ নিতেই বাংলাদেশকে অস্থির করে তোলার চেষ্টা করে। আমরা শান্তিপ্রিয় মুসলমান। অসাম্প্রদায়িক চেতনায় উদ্দীপ্ত বাংলাদেশ কখনোই পাকিস্তানকেন্দ্রিক জামায়াত বা হেফাজতের পরিকল্পনামতো তালেবান রাষ্ট্র হতে পারে না।

কাঠমোল্লা ও ধর্মব্যবসায়ীদের ব্যাপারে অবস্থান কী

দ্য ডিপলোম্যাটের প্রতিবেদটিতে আরো বলা হয়- আওয়ামী লীগের এক যুগের শাসনামলে বাংলাদেশ যখন বিশ্বের বুকে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়েছে, সারা বিশ্বে সন্মানিত হচ্ছে এই দেশের মানুষ; ঠিক তখনই জামায়াত-হেফাজত একত্রে সরকার উৎখাতের চেষ্টায় লিপ্ত হয়েছে। গোয়েন্দা সংস্থাগুলো জানিয়েছে, সম্প্রতি হেফাজত যেভাবে অস্ত্রপাতি নিয়ে নাশকতা চালিয়েছে। তাতে ভবিষ্যতে তারা আরো বড় ধরনের সহিংস কার্যক্রম চালাতে পারে। মূলত কওমি মাদ্রাসাগুলো থেকেই হেফাজতের কর্মী রিক্রুট করা হয় এবং মাদ্রাসা ছাত্রদেরই দুর্বাত্তায়ন চালানোর জন্য ব্যবহার করা হবে। এক্ষেত্রে তারা থানায় আক্রমণ করার পরিকল্পনা করছে। গোয়েন্দাদের এই তথ্য পাওয়ার পর, থানাগুলোকে অ্যালার্ট করা হয়েছে।

প্রতিবেদনটি জানায়, কৌশলগত কারণে হেফাজতের সঙ্গে নেতাকর্মীদের সংঘর্ষে জড়ানো থেকে বিরত রেখেছে সরকার দলীয় আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতৃত্ব। তবে অনলাইনে ব্যাপক পরিসরে প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছে তারা। হেফাজতের নেতাকর্মীরা সোশ্যাল মিডিয়ানির্ভর অ্যাকটিভিজম পরিচালনা করায়, সেদিকে এখন সতর্ক দৃষ্টি দিয়েছে আওয়ামী লীগ। দলটির পক্ষ থেকে ফেসবুক ও ইউটিউবে হেফাজতের নেতাকর্মীদের ভণ্ডামি, ধর্মব্যবসা ও উগ্রবাদিতার মুখোশ খুলে দেওয়ার কার্যক্রম চলছে। সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে জামায়াত ও হেফাজত নেতাদের প্রতি পাকিস্তানি অর্থায়ন, এদের সঙ্গে আইএসআই-এর গোপন তৎপরতা, মুখে ধর্মের কথা বলে গোপনে নারী কেলেংকারীতে লিপ্ত থাকা, হেফাজতের মাদ্রাসাগুলোতে শিশু নির্যাতন ও বলাৎকারের ঘটনা, ধর্মের নামে নিজেদের আখের গোছাতে মিথ্যা ফতোয়া.. তথ্য-প্রমাণসহ হেফাজতের প্রভৃতি ভণ্ডামির মুখোশ উন্মোচন করা হচ্ছে সোশ্যাল মিডিয়ায়।

এদিকে হেফাজতের তাণ্ডবের বিষয়ে সংগঠনটির আমির বাবুনগরী বলেছেন, ‘মোদীকে ডাকলো কেনো সরকার? হেফাজত ইসলামবিরোধী কিছু করতে দেবে না। ভাস্কর্য স্থাপন করা যাবে না দেশে, সেটা যার ভাস্কর্যই হোক। সরকার চাইলে বঙ্গবন্ধুর নামে ভাস্কর্য না তৈরি করে, মিনার তৈরি করতে পারে।’ উল্লেখ্য যে, মোদী এর আগেও ২০১৫ সালে বাংলাদেশে এসেছেন। তখন বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়া তার সঙ্গে দীর্ঘ বৈঠক করেছেন। জামায়াতের তৎকালীন আমির মকবুল হোসেন দেখা করার চেষ্টা করে ব্যর্থ হন, তবে চিঠি পাঠিয়ে মোদিকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। এমনকি হেফাজতের নেতারাও তখন কোনো কথা বলেননি। এবার হুট করেই তারা এটাকে ইস্যু বানিয়েছেন। এবিষয়ে সঠিক কোনো জবাব দিতে পারেননি বাবুনগরী।

শত শত কোটি টাকার রাষ্ট্রীয় সম্পদ নষ্ট ও পুড়িয়ে দেওয়ার ঘটনা ইসলাম সমর্থন করে কিনা সে ব্যাপারেও কিছু বলেননি বাবুনগরী। উল্টো সরকারের কাছে আবদার জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আহমদিয়াদের অমুসলিম ঘোষণা করতে হবে।’

বাংলাদেশের সাম্প্রতিক অবস্থার পরিপ্রক্ষিতে দ্য ডিপলোম্যাটের এই প্রতিবেদনে বলা হয়- এটাই আসলে উগ্রবাদীদের প্রথম বা শেষ অপতৎপরতা নয়। এর আগে, স্বাধীন বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীতে তার ভাস্কর্য স্থাপনের বিরোধিতা করেও দেশবিরোধী ঘৃণ্য বক্তব্য দিয়েছে হেফাজত নেতারা। তারা এসময় নাশকতাও চালিয়েছে। এরপর ফ্রান্সের পত্রিকায় মহানবী (স.)-এর ব্যঙ্গচিত্রকে কেন্দ্র করে দেশজুড়ে সাম্প্রদায়িক উস্কানি ও নাশকতা চালায় তারা। এছাড়াও করোনার মাহামারি মোকাবিলায় শুরুতে ভ্যাকসিন নিয়েও গুজব ছড়িয়েছে তারা। এই কাঠমোল্লারা প্রথমে ভ্যাকসিন নিতে নিষেধ করেছে মানুষকে। এরপর বলেছে ভ্যাকসিন ইসলামসম্মত নয়। যাই হোক, এখন ফেসবুকে-ইউটিউবে ভ্যাকসিন নিয়েও অনেক নোংরামি করেছে এই উগ্রবাদীরা।

সাম্প্রতিক ব্যাপারগুলোতে বাংলাদেশ বিষয়ক পর্যবেক্ষক ও বর্ষীয়ান সাংবাদিক সুখরঞ্জন দাসগুপ্ত মনে করেন, মূলত আওয়ামী লীগ সরকার পাকিস্তানপন্থী জামায়াতের সন্ত্রাসবাদ ঠেকানোর জন্য অরাজনৈতিক হেফাজতের প্রতি নমনীয় ছিল। কিন্তু ধর্মকে ট্রাম্পকার্ড হিসেবে ব্যবহার করে হেফাজত এখন রাজনীতিতে চলে এসেছে। তারা মূলত ধর্মভিত্তিক একটা উগ্রবাদী ব্যবস্থা চালু করার পাঁয়তারা করছে। তারা সফল হলে বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধের আদর্শ থেকে বিচ্যুত হবে।