
রাজধানীর মালিবাগে ৩০ ডিসেম্বর দলীয় কর্মসূচি পালনকালে পুলিশকে পিটিয়েছে জামায়াতে ইসলামীর নেতা-কর্মীরা। এতে পুলিশের ১১ জন সদস্য গুরুতর আহত হয়েছে। ইতিহাস থেকে দেখা যায় জামায়াতের রাজনীতি মানে প্রশাসনের উপর হামলা।
এর আগে গত ২৪ ডিসেম্বর চট্টগ্রাম মহানগর জামায়াতের উদ্যোগে বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। এ মিছিল থেকেও পুলিশের ওপর হামলা করে দলটির নেতা-কর্মীরা। এ ঘটনায় মহানগর জামায়াত আমিরসহ ২৬৮ জনের বিরুদ্ধে মামলা করে পুলিশ। এছাড়া গত ১৪ ডিসেম্বর রাজশাহীতে পুলিশের উপর হামলা করে জামায়াত-শিবিরের নেতারা। এ ঘটনায়ও ৬ জন হামলাকারীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। জানা যায়, রাজশাহীতে ২০১৫ সালের আগে ৬ বার পুলিশের ওপর হামলা চালিয়েছিলো জামায়াত-শিবির। এর মধ্যে অস্ত্র ছিনিয়ে নিয়ে পুলিশকে পিটিয়েছিল তারা যার ভিডিও সমাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হলে দেশ ব্যাপী সমালোচনার ঝড় ওঠে।
[পুরনো রাজনীতিতে ফের সক্রিয় হচ্ছে জামায়াত?]
২০১৩ সালের ৩১ মার্চ ছাত্রশিবিরের ছোড়া বোমায় হাতের কব্জি উড়ে যায় পুলিশ সদস্য মকবুলের। ওই বছরের ১ এপ্রিল শাল-বাগানে হামলা করে পুলিশের ওসি জাহাঙ্গীরের অস্ত্র ছিনিয়ে নেয় ছাত্রশিবির। ২০১৩ সালের ২৬ ডিসেম্বর হামলায় পুলিশ কনস্টেবল সিদ্ধার্থ নিহত হয়।
২০১২ সালের ৬ নভেম্বর সাহেব বাজারে অস্ত্র কেড়ে পুলিশ কনস্টেবল মোশাররফকে বেধড়ক পিটিয়েছিল ছাত্রশিবির।
দেখুন জঙ্গী স্টাইলে পুলিশের উপর বিএনপির বর্বর হামলা
আরও পড়ুনঃ
- ১৭ আগস্ট ২০০৫ : বিএনপি জামাত জোট সরকারের প্রত্যক্ষ মদদে সারাদেশে জেএমবি’র সিরিজ বোমা হামলা
- যারা আওয়ামী লীগকে পুলিশ ছাড়া মাঠে নামতে বলে, তারা ইতিহাস ভুলে গেছে
- ইতিহাস: মির্জা ফখরুলের বাবা দালাল আইনে আটক চখা রাজাকারকে মুক্ত করেছিলেন জিয়া