মেরামত

ডুবন্ত মানুষ যেন খড়কুটো আঁকড়ে বাঁচতে চায়, বিএনপির হয়েছে সেই দশা। নেতৃত্ব ও দিশাহীন দলটি নিজেদের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে নানারকম ছলচাতুরি দিয়ে জনগণকে বোকা বানাতে চেষ্টা করছে। যুদ্ধাপরাধী জামায়াতের প্রেসক্রিপশনে গত ১০ই ডিসেম্বর ঘোষণা করেছিল ১০ দফা। সরকারের পদত্যাগ, ইভিএম বাতিল, খালেদা জিয়া ও দণ্ডপ্রাপ্ত রাজাকারদের মুক্তি প্রদানসহ গালভরা কিছু দাবি উত্থাপন করেছিল।

এর আগে ২০১৭ সালের ১০ই মে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ঘোষণা করেছিলেন ভিশন-২০৩০। ক্ষমতায় গেলে কীভাবে দেশ পরিচালনা করবেন, সে সম্পর্কে এমন কিছু ধারণা শুনিয়েছিলেন খালেদা জিয়া, যা দেশে ইতিমধ্যে বিদ্যমান। আর ছিল এমন কিছু বিষয়, যা মূলত সাজাপ্রাপ্ত যুদ্ধাপরাধী, দেশবিরোধী শক্তিকে সাথে নিয়ে দেশ গড়ার ভাবনা; যেমনটা শুরু করেছিলেন জিয়াউর রহমান- যুদ্ধাপরাধীদেরকে ক্ষমতায় বসানোর মাধ্যমে। অর্থাৎ, সেই পুরনো দিনে ফিরে যেতে চায় বিএনপি। বাংলাদেশকে পুনরায় পাকিস্থানের ভাবধারায় টেক ব্যাক করাই তাদের লক্ষ্য।

মূলত খালেদা জিয়ার সেই ভিশন-২০৩০-কেই একটু অন্য নাম আর শব্দ দিয়েছে তার পুত্র তারেক রহমান। এবার এর নাম দেয়া হয়েছে রাষ্ট্রকাঠামো মেরামত! এই মেরামতের আড়ালে যে কেরামতি দেখিয়েছেন তারেক রহমান, তা যদি বাস্তবায়নের সুযোগ পায় বিএনপি, তবে এই বাংলাদেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব তো ক্ষুণ্ন হবেই, আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে বাংলাদেশ বর্তমানে যেভাবে দৃঢ় মেরুদণ্ড নিয়ে মাথা উঁচু করে চলার অমিত তেজ দেখিয়ে যাচ্ছে, তা মুখ থুবড়ে পড়বে। শুধু তা-ই নয়, ফিরে যাবে সাইফুর রহমান আমলে, যখন বিদেশি ঋণের জন্য দুই হাত কচলে দাঁড়িয়ে থাকতে হতো বিদেশি সংস্থাগুলোর দুয়ারে। বিপরীতে ধনকুবেরদের মত বিলাসি জীবন-যাপনের সুযোগ মিলবে বিএনপির সেই পুরনো হাওয়া ভবন মাফিয়া চক্রের সদস্যদের। এটা কিন্তু নিছক রাজনৈতিক বাগাড়ম্বর নয়।

আসুন তাদের মেরামতের কেরামতি রূপরেখা বিশ্লেষণ করে দেখা যাক-

বিএনপির লক্ষ্য সংবিধান সংশোধন করা। আওয়ামী লীগ সরকারের সময় প্রণীত বলেই প্রতিহিংসাবশত সকল বিধি-বিধান অকার্যকর করার লক্ষ্য নিয়েই এগোচ্ছে বিএনপি। যৌক্তিকতার চেয়ে রাজনৈতিক প্রতিহিংসা বাস্তবায়ন করার পেছনে উদ্দেশ্য হলো, আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক অধিকারের ওপর জিয়াউর রহমানের মত একইভাবে খড়গ চালানো।

রেইনবো নেশনের নামে এদেশে পাকিস্থানপন্থী, বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বকে অস্বীকারকারী উগ্রপন্থী, বাংলাদেশের জাতীয় সঙ্গীত ও সংবিধান বাতিল ও পরিবর্তনকামী ভণ্ড ধর্মব্যবসায়ী গোষ্ঠী, বিএনপি আমলে ভুয়া নাগরিকত্ব সনদ বাগিয়ে নেয়া রোহিঙ্গাসহ অ-বাংলাদেশিদেরকে আওয়ামী লীগসহ মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তির বিরুদ্ধে একটি দস্যুবাহিনীরূপে গড়ে তুলে বাংলাদেশের নাগরিক বানাতে চায় বিএনপি। বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে ধ্বংস করে পুনরায় যেন ১/১১’র মত স্বৈরশাসনের পথে হাঁটতে না পারে, সেজন্য সংবিধানে বাতিল করা হয়েছিল তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা। বিএনপি আবারও সেই মৃত লাশ জীবিত করতে চায় নিজেদের স্বার্থে।

[বিএনপির দেশ মেরামতের নামে কেরামতি রূপরেখা এবং অশ্বডিম্ব সমাচার]

একটা মজার বিষয় লক্ষ্যণীয়। পরপর দুই টার্মের বেশি রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী থাকতে পারবে না- এমন অদ্ভূতুড়ে ধারণা বাস্তবায়ন করতে চায় বিএনপি। যেখানে প্রতিহিংসাবশত বিরোধীদলকে চিরতরে ধ্বংস করতে গ্রেনেড ছুড়েছিল এই দলটি, যাদের আজ প্রধানমন্ত্রী হওয়া মত নিষ্কলুষ নেতাও নাই দণ্ডপ্রাপ্ত হওয়ায়। তাই তাদের উদ্দেশ্যটা স্পষ্ট।

আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতৃবৃন্দের সবারই ইমেজ পরিচ্ছন্ন। বিপরীতে বিএনপির তেমন ক্যারিশম্যাটিক ও ভিশনারী নেতৃত্ব নাই। ফলে বিএনপি ক্ষমতায় গেলে ২০ দলীয় জোটের যে কেউ স্বল্প সময়ের মধ্যে প্রধানমন্ত্রী হওয়ার ‘চান্স’ পাবে- এমন মূলো ঝোলানো হয়েছে নেতা-কর্মীদের সামনে। এই লোভেই যেন তারা বিএনপিকে ঠেলে গদিতে তুলে দেয়। তবে নির্বাচনটা ঠিকই আগের মত কেন্দ্র দখল ও স্থূল-সূক্ষ্ম কারচুপিময় কাগজের ব্যালটেই চায় তারা। ইভিএমের মত স্বচ্ছ পদ্ধতি বিএনপির জন্য বিপজ্জনক।

যেভাবে আইন ও বিচার ব্যবস্থাকে নিজেদের আস্তিনের নিচে গুটিয়ে ফেলেছিলেন জিয়াউর রহমান এবং খালেদা জিয়ার সরকার, যেভাবে বঙ্গবন্ধু ও জাতীয় ৪ নেতা হত্যার বিচারসহ অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল এবং সকল অপকর্মকে ইনডেমনিটি দিয়ে বিচারের আওতার বাইরে নিষিদ্ধ করে রাখা হয়েছিল, ঠিক সেই ব্যবস্থা পুনঃপ্রবর্তন করতে চায় বিএনপি। বঙ্গবন্ধুর খুনিদের বিচার করার সময় যেভাবে বিএনপিপন্থী বিচারকরা বিব্রত হয়ে সরে দাঁড়িয়ে অপারগতা জানিয়েছিলেন আবার বিএনপি বিরোধীদলে থাকার সময় বঙ্গবন্ধুর হত্যার রায়ের দিন আদালতের প্রতি অশ্রদ্ধা দেখিয়ে হরতাল ডেকেছিলেন খালেদা জিয়া, বছরের পর বছর আদালতে মামলায় হাজিরা না দিয়ে রাষ্ট্রের মুল্যবান সময় নষ্ট করেছেন যে খালেদা জিয়া, তার দল এখন দাবি করছে, তারা নাকি জ্ঞান প্রজ্ঞা ও নীতিবোধ দেখিয়ে বিচারক নিয়োগ দিবেন!

ক্ষমতায় যাওয়ার প্রথমদিন থেকেই মন্ত্রণালয় নিলামে তোলা বিএনপির টপ টু বটম পর্যন্ত ছিল দুর্নীতিতে আকণ্ঠ নিমজ্জিত। বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার পাচার করে দেশে এবং বহির্বিশ্বের বিভিন্ন দেশে গড়ে তোলা হয়েছে সম্রাজ্য, ব্যাংকে নগদ অর্থ, ভল্টে মূল্যবান রত্ন এবং স্বর্ণ, অফশোর ফাইন্যান্সিং থেকে শুরু করে হেন কোনো পথ নেই যা দিয়ে দুর্নীতির মাধ্যমে রাষ্ট্রের অর্থ-সম্পদ লোপাট করেনি দলটি। খালেদা জিয়া ও তার পরিবারের সদস্য, মন্ত্রী-এমপি থেকে শুরু করে ক্ষমতার বলয়ের নিকটবর্তী নেতা-কর্মী এবং কর্মচারীরা পর্যন্ত কেউ বাকি নেই, যারা দুর্নীতিগ্রস্থ ছিলেন না।

সরকারি আমলাদের মধ্যে যারা দুর্নীতি এবং অন্যায় করতে রাজি হননি, তাদেরকে হতে হয়েছিল বহিষ্কৃত বা চাকরিচ্যুত। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় তাদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে, অপরাধী প্রমাণের পর সাজাও মিলছে; এখন আদালত অবমাননা করে মামলাগুলোকে দাবি করছে রাজনৈতিক! সেই বিএনপি এখন তাদের মেরামতি রূপরেখায় বলছে- দুর্নীতির ক্ষেত্রে আপোস করবে না, দুর্নীতির শ্বেতপত্র প্রকাশ করা হবে!

বিদেশি লবিস্ট ফার্ম ও ভাড়াটে মানবাধিকারবারী সংস্থার পেছনে মিলিয়ন মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করেও বানোয়াট গুমের তালিকা প্রমাণ করতে না পেরে জাতিসংঘ এবং আন্তর্জাতিক বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ মানবাধিকার কর্তৃপক্ষের কাছে বিএনপি ও তাদের দোসররা তিরস্কৃত হয়েছে। বিএনপি নিজেদের সময় অপারেশন ক্লিনহার্টের নামে আওয়ামী লীগের হাজার হাজার নেতাকর্মীদের যেভাবে নিধন করেছিল, ক্রসফায়ার করেছিল ছাত্র ও যুবনেতাদের, তাদের হত্যাকারীদের ইনডেমনিটি দেয়া সেই বিএনপির নয়া দাবি, তার নাকি গুম-খুনের অবসান ঘটাবে!

বঙ্গবন্ধু প্রণীত সংবিধানে উল্লেখ আছে, সকল ধর্ম ও মতের অনুসারীর নিজ নিজ ধর্ম পালন করবেন নিঃসংকোচে। জিয়াউর রহমান পাহাড়ীদের বিতাড়িত করেছিলেন তাদের নিজ নিজ ভূমি থেকে। আর যত দাগি আসামি অপরাধীদের শহর থেকে তাড়িয়ে পাহাড়ে পুনর্বাসিত করেছিলেন। আর খালেদা জিয়ার সরকার দেশে একাত্তরের মত সংখ্যালঘু নিধনযজ্ঞে নেতৃত্ব দিয়েছিল ক্ষমতায় গিয়ে। অন্তত ১৫ হাজার নারী ধর্ষিত হয়েছিলেন সেসময়। দক্ষিণাঞ্চলে একরাতে ২ শতাধিক হিন্দু ও আওয়ামী পরিবারের নারীকে ধর্ষণ করা হয়েছিল নির্বাচনে জয় উদযাপনের জন্য। সেই

রা সবসময় সংবিধানের ‘ধর্মনিরপেক্ষতা’ মূলনীতিকে বিকৃতভাবে উপস্থাপন করে এসেছে; এখন বিএনপি দাবি করছে তারা ‘ধর্ম যার যার, রাষ্ট্র সবার’ মূলনীতিতে বিশ্বাসী! সত্যিই সেলুকাস!

[বিএনপির দেশ মেরামতের নামে কেরামতি রূপরেখা এবং অশ্বডিম্ব সমাচার]

ক্ষমতায় গিয়ে এক মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে না পারা, বিদুৎ ও সারের দাবিতে রাস্তায় নামা মানুষকে গুলি করে হত্যা করা বিএনপি এখন বিদ্যুৎ ও জ্বালানি নিয়ে লম্বা লম্বা লেকচার দেয়। বর্তমান সরকার বিদ্যুৎ খাতে বেশ কিছু মেগা প্রকল্প হাতে নিয়েছে, বেশ কয়েকটি কেন্দ্র ইতিমধ্যে চালু হয়েছে এবং আগামী বছর চালু হবে পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র। সেই সাথে সৌর ও বায়ুভিত্তিক নবায়নযোগ্য বিদ্যুৎ কেন্দ্র প্রকল্পও চলছে দেশে।

এসব ব্যবস্থা গৃহীত হয়েছে যেন ক্রমান্বয়ে ছোট ও খরুচে বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলো বন্ধ করে দেয়া যায় স্থায়ীভাবে। মেগা প্রকল্পগুলো চালু হওয়ার আগে এসব প্রকল্প বন্ধ করে দেশকে বিদ্যুৎহীন যেন থাকতে না হয়, সেজন্যই সরকার পরিকল্পিতভাবে এগিয়ে যাচ্ছে। এর সুদূরপ্রসারী ইতিবাচক ফলাফল যখন সবার জানা, তখন বিএনপির বিদ্যুৎখাত নিয়ে ভাবনাটি স্টান্টবাজি ছাড়া আর কিছুই নয়। মঙ্গা শব্দটি যে বাস্তবতা থেকে ইতিহাসে ঠাঁই নিয়েছে, সেটা বিএনপির ঘুমিয়ে থাকা নেতারা বুঝতেই পারেননি, তাই তাদের পরিকল্পনায় মঙ্গা দূরীকরণও ঠাঁই পেয়েছে। কত হাস্যকর এদের চিন্তাভাবনা!

বিএনপি দাবি করছে, তারা ক্ষমতায় গেলে বাংলাদেশ ভূখণ্ডে সন্ত্রাসবাদী তৎপরতা বরদাশত করবে না, সন্ত্রাসবাদী তৎপরতা আশ্রয়-প্রশ্রয় পাবে না। মনে করিয়ে দেয়া যাক। এই বিএনপি রাষ্ট্রের নিরাপত্তা সংস্থাগুলো হাতের পুতুল বানিয়ে ফেলেছিল। সেখানে কর্মরত কতিপয় কর্মকর্তার তত্ত্বাবধানে ও পাকিস্থানি গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই’র তত্ত্বাবধানে দেশে জঙ্গিবাদের জন্ম দিয়েছিল বিএনপি। আবার জঙ্গিবাদের অস্তিত্ব অস্বীকার করে মিডিয়ার সৃষ্টি বলে দাবিও করেছিল। বাংলাদেশের ভূখণ্ড ব্যবহার করে ভারতীয় বিচ্ছিন্নতাবাদীদের জন্য ১০ ট্রাক অস্ত্র এনেছিল এই বিএনপি।

তাদের সময়ে দেশের শিক্ষাঙ্গনগুলোতে প্রায় প্রতিদিনই লাশ পড়েছে। ছাত্রদল ও ছাত্র শিবিরের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে শিক্ষার্থীদের অভিভাবকরা একদিনও শান্তিতে ঘুমাতে পারেননি- এই বুঝি সন্তান খুন হয়ে যায়, এই ভেবে। খুনিদেরকে রাতারাতি বিদেশে পাঠিয়ে দেয়া হতো। বিরোধীদলের ওপর ভয়াবহভাবে গ্রেনেড হামলা করে, মাটির নিচে বোমা পুঁতে, গাড়িতে, ট্রেনে বোমা ছুড়ে, সাধারণ মানুষের ওপর পেট্রোল বোমা ছোড়া এই বিএনপি নাকি সন্ত্রাসবাদকে প্রশ্রয় দিবে না!

বিএনপিকে কানাডার আদালত দুবার দুটি আলাদা রায়ে সন্ত্রাসী সংগঠন সাব্যস্ত করেছিল, তাদের দোসর জামায়াত-শিবিরকে যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বের ৩য় কুখ্যাত জঙ্গি সংগঠন হিসেবে তালিকাভূক্ত করেছিল, সেই বিএনপিকে কি বিশ্বাস করা যায়? প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতে শেখ হাসিনার গড়ে তোলা ১৪ হাজার কমিউনিটি ক্লিনিক ক্ষমতায় গিয়ে বন্ধ করে দেয়া বিএনপি এখন নাকি স্বাস্থ্যসেবাও নিশ্চিত করবে!

স্বাধীনতার ঘোষণা নিয়ে মিথ্যাচার, খালেদা জিয়াকে নারী মুক্তিযোদ্ধা, তারেক-কোকোকে শিশু মুক্তিযোদ্ধা বানানোসহ মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃতি, রাজাকারদের ক্ষমতায় বসানো বিএনপি এবার নিজেদের মত করে একটা শহিদের তালিকা তৈরির দাবি তুলেছে! যেখানে আজ পর্যন্ত তারা মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কিত আলোচনায় পাকিস্থানের নাম নেয় না, শহিদ এবং নির্যাতিত নারীদের সংখ্যার ক্ষেত্রেও শুধুমাত্র ‘হাজার’ বলে উল্লেখ করে, কুখ্যাত যুদ্ধাপরাধীদেরকে ক্ষমতায় বসিয়ে, তাদের বিচারকে বাধাগ্রস্ত করে, বীর মুক্তিযোদ্ধাদের জনসম্মুখে লাঞ্ছিত করা বিএনপির কাছ থেকে শুনতে হচ্ছে তারা নাকি মুক্তিযোদ্ধাদের কল্যাণ করবে!

বিএনপিতে প্রজ্ঞাবান নেতার অভাব। জি হুজুর- নীতিতে চলা দলটির সর্বোচ্চ আসনে আসীন ব্যক্তিরা অধীনস্তদের গর্দভ ভাবে আর জনগণকে ভাবে বোকা। তাই কিছু গালভরা বুলি দিয়ে জনগণকে বিভ্রান্ত করার লক্ষ্যে হাজির হয়েছেন রাষ্ট্রকাঠামো মেরামত নামের এক কেরামতি রূপরেখা নিয়ে। জনগণের কাছে নতুন বোতলে পরিবেশন করা হচ্ছে, যা মূলত স্টান্টবাজি ছাড়া আর কিছু না। বিএনপির মত অযোগ্য, অদূরদর্শী ও প্রতিহিংসাপরায়ণ দল, যারা বঙ্গবন্ধুর নাতনির নামের সাথে মিল থাকায় একটি বন্ধুরাষ্ট্রের প্রকল্প বন্ধ করে দেয়, তারা জাতিকে কী দিতে সক্ষম, জনগণ ভালো করেই বোঝে। বাঙালি চায় না, এদেশ আর দুর্নীতিতে বারবার চ্যাম্পিয়ন হোক, জঙ্গিবাদ, গুম-খুন, লুটপাট আর ক্রসফায়ারের যুগে ফিরে যাক।

আরও পড়ুনঃ