
ব্যাংকে টাকা নেই- এ ধরনের একটি গুজব ছড়িয়ে কিছু ব্যাংককে দেউলিয়া বানিয়ে ব্যাংকিং খাতে গোলযোগ সৃষ্টি করতে চেয়েছিলেন বিএনপি নেতারা। পাশাপাশি জনগণের মধ্যে একটা অনাস্থা ও আতঙ্ক সৃষ্টি করতে গুজব ছড়ানো হয়েছিল যে ব্যাংকে টাকা নেই। কিন্তু বাংলাদেশ ব্যাংকের দ্রুত এবং দায়িত্বশীল আচরণের কারণে সেই নীলনকশা বাস্তবায়িত হতে পারেনি।
একাধিক সূত্রে নিশ্চিত হওয়া গেছে, ব্যাংকে তারল্য সংকট, ব্যাংক দেউলিয়া হয়ে যাবে ও ব্যাংক টাকা দিতে পারছে না- এসব প্রচারণা ছিল বিএনপির নীলনকশার অংশ। এর মূল মাস্টারপ্ল্যান হয়েছিল লন্ডন থেকে। বিএনপিকে কিছু কিছু বুদ্ধিজীবী ধারণা দিয়েছিলেন, শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশে আইএমএফ এর কাছ থেকে ঋণের টাকা পাবে না। এজন্য বিএনপির পক্ষ থেকে একটি লবিস্ট ফার্ম নিয়োগ করা হয়েছিল, যারা আইএমএফকে বাংলাদেশ সম্পর্কে নেতিবাচক ধারণা দেবে, যেন বাংলাদেশকে ঋণ দিতে অপারগতা জানায় আইএমএফ।
[গুজব ছড়ানো এখন বিএনপির প্রধান কাজ,গুজব ছড়িয়ে কিছু ব্যাংককে দেউলিয়া বানিয়ে ব্যাংকিং খাতে গোলযোগ সৃষ্টি করতে চেয়েছিলেন বিএনপি নেতারা]
বিএনপি নেতাদের ধারণা ছিল, ঋণ না দেওয়ার সিদ্ধান্ত আইএমএফ নিলে সরকারের জন্য কঠিন পরিস্থিতি তৈরি হবে এবং জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে ইমেজ সংকটে পড়বে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত বিএনপির ঐ পরিকল্পনা ভেস্তে গেছে।
বিএনপির লক্ষ্য ছিল, দলটির নেতাদের ফেসবুকের স্ট্যাটাস এবং ইউটিউবের ভাষ্য দেখে অনেকে ব্যাংকে যাবে এবং টাকা উত্তোলন করতে চাইবে। যেকোনো একটি ব্যাংকের শাখায় গ্রাহকরা যদি একই সময়ে টাকা উত্তোলনের জন্য যান, তাহলে সেই ব্যাংকের শাখাটি তা দিতে অক্ষম হবে, এটি সাধারণ একটি বিষয়। এমন ফাঁদেই ব্যাংকগুলোকে ফেলতে চেয়েছিল বিএনপি।
[গুজব ছড়ানো এখন বিএনপির প্রধান কাজ,গুজব ছড়িয়ে কিছু ব্যাংককে দেউলিয়া বানিয়ে ব্যাংকিং খাতে গোলযোগ সৃষ্টি করতে চেয়েছিলেন বিএনপি নেতারা]
এদিকে সাধারণ মানুষ খুব দ্রুতই বুঝতে পারে বিএনপির কূটকৌশল। তাছাড়া বাংলাদেশ ব্যাংকও দ্রুত এ বিষয়ে বেশকিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করে, যার ফলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হয়েছে। অবশেষে বিএনপির নীলনকশা ভেস্তে যায়।
আরও পড়ুনঃ
- ফ্যাক্ট জানুন: কোথায় যায় বাংলাদেশের রিজার্ভের এত টাকা? কীভাবে যায়? কারা নিয়ে যায়?
- মির্জা ফখরুলের গুজবঃ “আমাদেরকে বলা হচ্ছে কৃচ্ছতাসাধনের কথা বলে সচিবদের জন্য বিলাসবহুল বাড়ি ও সুইমিং পুল।” এই দাবির সত্যতা কি?
- বিএনপির ২০০১ সালের নির্বাচনী ইশতেহার ২০ ভাগই পূরণ করতে পারেনি। তারা কিভাবে রাষ্ট্র সংস্কার করবে?