নদী যেমন সাগরে গিয়ে মেলে, সেই মিলিত স্থানকে বলা হয় মোহনা। তেমনি, হেফাজতের কর্মকাণ্ড মিলে যাচ্ছে আইএস-জঙ্গিদের সঙ্গে। উভয় সংগঠনই নিজেদের প্রতিটি কুকর্মের ক্ষেত্রে ইসলামকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করছে। কথায় কথায় খিলাফতের ডাক দিচ্ছে। কিন্তু বাস্তবে হামলা-ভাঙচুর-অগ্নিসংযোগ ও বিকৃত যৌনাচারের মোহনাতে মিশে যাচ্ছে একে অপরের সাথে।

ইসলামিক রাষ্ট্র বানানোর ফতোয়া দিয়ে, সিরিয়া-আফগানিস্তান-ইরাককে ধ্বংসস্তুপে পরিণত করেছে আইএস জঙ্গিরা। লুটপাট-হত্যা-ধর্ষণের মহোৎসব করেছে তারা এসব দেশে। একইভাবে সম্প্রতি বাংলাদেশেও একই কুকর্ম শুরু করেছে হেফাজতের নেতাকর্মীরা। ইন্টারনেটের ডার্কওয়েবে সক্রিয় আইএস-জঙ্গিরা যেভাবে নির্দেশনা দিচ্ছে, ঠিক সেভাবেই দেশকে অস্থির করার এজেন্ডা বাস্তবায়ন করছে এই ধর্মব্যবসায়ীরা। 

সম্প্রতি ব্রাহ্মণবাড়িয়া, চট্টগ্রাম ও সিলেটের কিছু এলাকায় বর্বর তাণ্ডব চালিয়েছে হেফাজতের লোকজন। তারা কথায় কথায় অস্বীকার করছে রাষ্ট্রের আইনকে। দেশজুড়ে থানা ও হাসপাতাল ভাংচুর করছে। সাধারণ মানুষের বাড়ি ও যানবাহন জ্বালিয়ে দিচ্ছে। তাদের বর্বরোচিত হামলায় প্রাণ হারিয়েছেন অনেকে। বৃদ্ধ থেকে শিশুরা কেউ রেহাই পাচ্ছে না। এমনকি সংঘবদ্ধ হওয়ার স্থান হিসেবে পবিত্র মসজিদকে পর্যন্ত ব্যবহার করছে তারা।

এদিকে, নারায়ণগঞ্জের রিসোর্টে বেগানা নারীসহ ধরা পড়ার পর, তথাকথিত ধর্মগুরু মামুনুল হককে বাঁচাতে নারকীয় তাণ্ডব চালায় হেফাজত। ব্রেনওয়াশ করা উগ্র কর্মীবাহিনী নিয়ে, অনলাইনে-অফলাইনে এদের সর্বোচ্চ অপতৎপরতা শুরু হয়েছে। বাংলাদেশের মানুষকে জঙ্গিদের ছোবল থেকে বাঁচাতে হলে, এখনই এদের বিরুদ্ধে সামাজিক প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে।