
বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের পৃষ্ঠপোষকতায় ২০০১ থেকে ২০০৬ পর্যন্ত দেশের লেখক, সাংবাদিক, কলামিস্ট ও মুক্তমনা মানুষদের ওপর যে ধারাবাহিক জঙ্গি হামলা হয়; তার মধ্যে অন্যতম একটি ঘটনা হলো অধ্যাপক ও ভাষাতাত্ত্বিক হুমায়ুন আজাদের ওপর হামলা। পাকিস্তানিদের ধর্মব্যবসা ও উগ্রবাদীদের বিরুদ্ধে লেখার কারণে হত্যার উদ্দেশ্যে হামলা করা হয় তার ওপর।
পাকিস্তানি গোয়েন্দা সংষ্তা আইএসআই সমর্থিত বিএনপি-জামায়াত সরকার কখনোই এই ঘটনার বিচার তো দূরের কথা, তদন্ত পর্যন্ত করেনি। উল্টো ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার ঘটনায় ‘জজমিয়া’ নাটক সাজানোর স্টাইলে নাটক সাজিয়ে প্রগতিশীল সংগঠনের নেতাকর্মী ও সাংবাদিকদের ওপর দোষ চাপানোর অপচেষ্টা করেছে।
২০০৪ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি রাতে বইমেলা শেষ করে টিএসসির দিকে যাওয়ার সময় বিএনপি-জামাতের ‘হিট-টিম’ বলে কুখ্যাত জেএমবির সন্ত্রাসীদের চাপাতির বর্বরোচিত আঘাতে ক্ষতবিক্ষত হন তিনি। হামলার সময় টিএসসিতে উপস্থিত ব্যক্তিরা এগিয়ে এলে প্রাণে বেঁচে যান তিনি। পরবর্তীতে মৃত্যু হয় তার।
কিন্তু ভাগ্যের নির্মম পরিহাস, বিএনপি-জামায়াতের ভাড়াটিয়া জেএমবি-সন্ত্রাসীরা প্রকাশ্যে এই হামলায় অংশ নিলেও, তাদের কাউকে তখন ধরা হয়নি। উল্টো হুমায়ুন আজাদকে উদ্ধারে ঘটনাস্থলে উপস্থিত যারা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এগিয়ে এসেছিলেন, তৎকালীন বিএনপি-জামায়াত সরকারের নির্দেশে পুলিশ তাদের তুলে নিয়ে গিয়ে নির্যাতন করে এবং হামলার দায় তাদের ওপর চাপানোর চেষ্টা করে।
[লেখক-বুদ্ধিজীবীকে কুপিয়ে হত্যা, উদ্ধারকারীদের ওপরই দোষ চাপানোর চেষ্টা ]
এমনকি এই ঘটনায় প্রতিবাদ জানিয়ে প্রগতিশীল সংগঠনগুলো কোনো কর্মসূচি দিলে, সরকারের নির্দেশে বিক্ষোভকারীদেরও আটক করা হতো সেসময়। বিএনপি-জামায়াতের অর্থায়নে পরিচালিত তথাকথিত মানবাধিকার কর্মীরা তখন কেউ এসব ভুক্তভোগীদের জন্য মাঠে নামেনি। অসহায় মানুষদের পাশে এই মানবাধিকার ব্যবসায়ীরা কখনোই দাঁড়ায়নি। এদের মানবতা কী তাহলে শুধু বিএনপি-জামায়াতের সন্ত্রাসী ও উগ্রবাদী জঙ্গিদের বাঁচানোর ঢাল হিসেবেই কাজ করে?
আরও পড়ুন:
- গুম নিয়ে রাজনীতি : গুম হওয়া ব্যক্তিরা কে কোথায়?
- ১৯৯১ সালে বিএনপি ক্ষমতায় আসার পর ছাত্রদল-ছাত্র শিবির প্রথম হল দখল এবং হলে হলে নির্যাতনের ভীতিকর ‘সংস্কৃতি’র জন্ম দেয়
- প্রতিবারই নির্বাচনের আগে মোটা অংকের টাকা বাগিয়ে নেন তারেক