মুক্তিযোদ্ধাকে হত্যা

২০০১ সালে বিএনপি-জামায়াত সরকার ক্ষমতায় আসার পরপরই নির্মমভাবে শুরু করে মুক্তিযোদ্ধা ও সংখ্যালঘু নির্যাতন। ২০০১ সালের ১৬ নভেম্বর চট্টগ্রামের নাজিরহাট কলেজের অধ্যক্ষ বীর মুক্তিযোদ্ধা গোপালকৃষ্ণ মুহুরীকে (৬০) মাথায় অস্ত্র ঠেকিয়ে গুলি করে হত্যা করে জামায়াত-শিবির ক্যাডাররা। নিজের বাড়িতে বসে থাকা অবস্থায় প্রকাশ্যে এভাবে একজন প্রবীণ ব্যক্তিকে নৃশংসভাবে হত্যার ঘটনায় স্তব্ধ হয়ে যায় পুরো দেশ। এরপর বিএনপি-জামায়াতের রাষ্ট্রীয় মদতে কিলিং মিশনের প্রধান ও শিবিরের দুর্ধর্ষ ক্যাডার মহিউদ্দিন ওরফে মহিনউদ্দিন দেশ ছেড়ে দুবাই পালিয়ে যায়।

কিন্তু করোনার মধ্যে অনেক ইস্যুর আড়ালে এই বিষয়টিও সবার চোখের আড়ালে চলে গেলে, ২০২১ সালের অক্টোবরে নতুন মিশন নিয়ে গোপনে দেশে ফেরে এই খুনি। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে নতুন করে সন্ত্রাসী বাহিনী সংগঠিত করতে শুরু করে সে। কিন্তু নাশকতা প্রতিরোধে সক্রিয় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তাকে শনাক্ত করে ফেলে। ২০২২ সালের ২১ জানুয়ারি রাতে তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। সে এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি।

[মুক্তিযোদ্ধাকে হত্যা, রাষ্ট্রীয় সহায়তায় শিবির নেতার দেশত্যাগ]

২০০১ থেকে ২০০৬, পুরো পাঁচ বছরজুড়ে দেশে সন্ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে বিএনপি-জামায়াত জোট। কিন্তু তখন তথাকথিত মানবাধিকার সংস্থাগুলোর মানবাধিকারবোধ কাজ করেনি কোনো। উল্টো এখন বিএনপি-জামায়াতের মদতপুষ্ট ওই সংস্থাগুলোই মানবাধিকারের ছদ্মবেশে জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসীদের বাঁচানোর এজেন্ডা নিয়ে নেমেছে। দুর্বৃত্তায়নের কারণে মানুষের আস্থা হারানোর পর, এখন তথাকথিত মানবাধিকার প্রতিষ্ঠানগুলোর মাধ্যমেই এগিয়ে যাওয়া বাংলাদেশের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে বিএনপি-জামায়াত জোট।

আরও পড়ুনঃ