
দেশের নৈরাজ্য নিয়ে যারাই মুখ খুলেছেন, তাদের ওপরই খড়গ নেমে এসেছে সময়। তারেক রহমানের পৃষ্ঠপোষকতায় একের পর এক উগ্রবাদী সংগঠনের সৃষ্টি হয় সেসময় (২০০১-২০০৬)। ‘হাওয়া ভবন’ থেকে তালিকা প্রদানের মাধ্যমে ওইসব দুর্বৃত্তদের দিয়ে দেশজুড়ে ভিন্নমত দমনের জন্য নিয়মিত হত্যাযজ্ঞ চালানো হয়। যার অন্যতম শিকার রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের প্রবীণ শিক্ষক মোহাম্মদ ইউনুস।
২০০৪ সালের ২৪ ডিসেম্বর সকালে, রাজশাহীর বিনোদপুর এলাকায়, সকালে প্রাতভ্রমণের সময় রলপ্রাণ অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক ইউনুসকে রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় কুপিয়ে হত্যা করে সন্ত্রাসীরা, এরপর সেই হত্যাকাণ্ডকে ক্লু-লেস মার্ডার বলে বিচার প্রক্রিয়া থমকে রাখে বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার।
[প্রবীণ অধ্যাপককে কুপিয়ে হত্যাঃ নীরব এজেন্ডাধারী মানবাধিকার ব্যবসায়ীরা]
হত্যার শিকার অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনুস অর্থনীতি সমিতির সহ-সভাপতি ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা বঙ্গবন্ধু পরিষদের সভাপতি ছিলেন। মূলত আওয়ামী আদর্শের মানুষদের টার্গেট করে রীতিমতো গণহত্যা চালিয়েছে বিএনপি- জামায়াত। বিচারের বাণী তখন নিভৃতে কেঁদেছে, আর তথাকথিত মানবাধিকার ব্যবসায়ীরা দুর্বৃত্তদের বিরুদ্ধে কথা না বলে নীরব থেকে উল্টো সন্ত্রাস বিস্তারে ভূমিকা রেখেছে।
আজকে যারা মানবাধিকারের অজুহাতে জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসকে অনুপ্রাণিত করছেন, মনে রাখবেন- তারা কিন্তু বিএনপি-জামায়াত সরকারের গণ-হত্যাযজ্ঞ এবং সামাজিক গণ-উৎপাত প্রতিরোধে কোনো শব্দ পর্যন্ত উচ্চারণ করেনি। এমনকি বিএনপি-জামায়াতের অর্থায়নে পরিচালিত তথাকথিত মানবাধিকার সংস্থাগুলোও এমন বর্বর হত্যার ঘটনায় বিচার চেয়ে আন্তর্জাতিকভাবে কোনো প্রতিরোধ-প্রতিবাদ গড়ে তোলেনি। কারণ বাংলাদেশকে ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করার বিশেষ এজেন্ডা নিয়ে এরা কাজ করে।
আরও পড়ুনঃ
- সব মানবাধিকার কি বিএনপি-জামায়াতের জন্যই? সাধারণ মানুষ ও বিএনপি-জামায়াতের ভিকটিমরা কি মানুষ নয়?
- জিয়ার আমলে বিচার বহির্ভূত গুম-খুনের ইতিহাস : মানবাধিকারের দোকানদাররা কোথায়?
- বাংলাদেশের মানবাধিকারের পরিস্থিতি মোটেই উদ্বেগজনক নয় – জাতিসংঘের পর্যবেক্ষণে হতাশায় বিএনপি