
বিএনপি জামাতের জোট সরকারের প্রত্যক্ষ মদদে সারাদেশে সিরিজ বোমা হামলার কথা মনে আছে বাংলাদেশ?
আসুন জেনে আসি সেই ভয়াল দিনের বিস্তারিত।
আরও পড়ুন : জঙ্গি তৎপরতায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করলেন খালেদা!
বাংলাদেশে জঙ্গিবাদের যাত্রা শুরু হয় ‘৯১ এর পর হরকাতুল জেহাদের মাধ্যমে। তারেক রহমানের সরাসরি সমর্থন পেয়ে ২০০১ থেকে তাদের অবিশ্বাস্য উত্থান সমগ্র বিশ্বকে হতবাক করে দেয়। সরকারি মদদে সুসংগঠিত হয়ে ২০০৪ এর ২১শে আগস্ট গ্রেনেড হামলার পরবর্তী অধ্যায়টি ছিল ২০০৫ এ সারাদেশে সিরিজ বোমা হামলা।
আরও পড়ুন : এক্সক্লুসিভ – জঙ্গি নেতাদের সাথে গোপন বৈঠক, লন্ডনে তারেক রহমানের বাড়ি ঘিরে রেখেছে পুলিশ
১৭ আগস্ট ২০০৫, সকাল ১১টায় দেশের ৬৩ জেলায় (মুন্সিগঞ্জ বাদে) সিরিজ বোমা হামলা চালায় জামা’আতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশ – জেএমবির জঙ্গিরা। দেশের ৩০০টি স্থানে মাত্র আধাঘণ্টার ব্যবধানে একযোগে ৫০০ বোমা বিস্ফোরণ ঘটিয়ে নিজেদের শক্তিমত্তার জানান দিয়েছিল জেএমবি। এতে দুজন নিহত ও দু’শতাধিক লোক আহত হয়।
আরও পড়ুন : আবারও বিএনপি-জামায়াতের হত্যার রাজনীতি : ভাগ্যক্রমে বেঁচে গেল শত শত কোমলমতি শিক্ষার্থী
সিরিজ বোমা হামলার স্থান হিসেবে জঙ্গিরা হাইকোর্ট, সুপ্রিমকোর্ট, জেলা আদালত, বিমানবন্দর, বাংলাদেশে থাকা মার্কিন দূতাবাস, জেলা প্রশাসক, জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়, প্রেসক্লাব ও সরকারি-আধাসরকারি গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা বেছে নেয়। হামলার স্থানসমূহে জেএমবির লিফলেট পাওয়া যায়।
[১৭ আগস্ট ২০০৫ : বিএনপি জামাত জোট সরকারের প্রত্যক্ষ মদদে সারাদেশে জেএমবি’র সিরিজ বোমা হামলা]
জামাত ও শিবিরের নেতাকর্মীদের নিয়ে গড়ে তোলা জেএমবি বা হরকাতুল জেহাদের মাধ্যমে ইসলামী জঙ্গিবাদের উত্থানে সরাসরি পৃষ্ঠপোষকতা করে বিএনপি, উদ্দেশ্য ছিল মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষ শক্তিকে নিশ্চিহ্ন করা।
আরও পড়ুন :
- জেএমবির পৃষ্ঠপোষক ছিলেন তারেক রহমান: উইকিলিকসের নথি ফাঁস
- ষড়যন্ত্রের ছক কষছে বিএনপি, সে লক্ষ্যে ইতোমধ্যে বিএনপি ও জামায়াত নেতারা একাধিকবার গোপন বৈঠক করেছেন
- বিএনপি-জামায়াত জোট সারাবিশ্বের সহিংস রাজনৈতিক জোটের একমাত্র দৃষ্টান্ত