খালেদা জিয়া

আজ আপনাদের একটা গল্প শোনাবো। একজন মেয়ের গল্প। খুব সাধারণ ঘরের মেয়ে হয়েও শুধু রুপের কারণে যিনি হয়ে গেলেন সেনাপ্রধানের স্ত্রী তারপর সেই দেশেরই প্রধানমন্ত্রী। আচ্ছা, আপনাদের দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শেষ হওয়ার তারিখটা মনে আছে নিশ্চয়ই। দিনটি ছিলো- ৫ সেপ্টেম্বর ১৯৪৫। মেয়েটির জন্মের তারিখও এটি। জন্মের তারিখটা তার পিতা ইস্কান্দার মজুমদারের কাছ থেকে জানা। বয়স বাড়ার সাথে সাথে মেয়েটি যখন দুই সন্তানের মা তখন তার জন্মদিন গিয়ে দাঁড়ায় ‘৫’ এ। ‘৫ সেপ্টেম্বর’ এ জন্ম নেয়া মেয়েটি এখন পাকিস্তানের নির্দেশে জন্মদিন পালন করে ‘১৫ আগস্ট’

এতোক্ষণে আপনারা নিশ্চয়ই বুঝে গেছেন আমি কার কথা বলছি। তিনি আর কেউ নন, এতিমের টাকা আত্নসাতের দায়ে দীর্ঘদিন কারাবাস করা এবং সরকারের সাথে বারবার আপোষ করা নেত্রী ‘বেগম খালেদা জিয়া’।খালেদা জিয়া

বেগম খালেদা জিয়ার বাবা মোহাম্মদ ইস্কান্দার মজুমদার ১৯৮৪ সালে মাসিক নিপুন পত্রিকার ১০ম বর্ষের ১৩ তম সংখ্যায় তার মেয়েকে নিয়ে এই স্মৃতিচারন করেন এবং তার প্রসঙ্গে বলেন এবং সেখানে তিনি জানিয়ে দেন যে, তার মেয়ে জন্মেছে ৫ই সেপ্টেম্বর ১৯৪৫ সালে।

তিনি আরো বলেন, আমার মেয়ে রাজনীতির জটিল মারপ্যাচ সম্পর্কে অভিজ্ঞতাহীন। মনে হয় কিছু রাজনীতিক তাকে ব্যবহার করছে ক্ষমতা লাভের জন্য। ক্ষমতা পেয়ে গেলে আমার মেয়েকে তারা যথাযথ প্রাপ্য সম্মান দেবে কিনা সে বিষয়ে আমি সন্ধিহান।

মেট্রিকুলেশন সনদ অনুযায়ী, বেগম জিয়ার জন্মদিন ৯ আগস্ট ১৯৪৫; বিবাহ সনদে ৫ সেপ্টেম্বর ১৯৪৫, পাসপোর্ট সনদে ১৯ আগস্ট ১৯৪৫। করোনা টেস্টের জন্য দেয়া তথ্যে জানা গেল, খালেদা জিয়ার জন্মদিন ৮ মে, ১৯৪৬।

যাই হোক এই খালেদা জিয়া প্রতি বছর ১৫ই অগাস্টে তার মিথ্যে জন্মদিন পালন করে। যা জাতি হিসেবে আমাদের জন্য খুবই লজ্জার। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুকে অসম্মান করতে গিয়ে খালেদা জিয়া নিজেকে কতোটা হীন মানসিকতার হিসেবে জাতির সামনে প্রতিষ্ঠিত করেছে তা কি তিনি নিজে অনুধাবনও করতে পারছেন?

আরো পড়ুনঃ