বাংলাদেশ

বাংলাদেশে জ্বালানী তেলের মূল্য বৃদ্ধির পর হঠাৎ করে একটি বিশেষ গোষ্ঠী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেওয়া বক্তব্যের একটি খণ্ডাংশ প্রচার করছে গুজবে ইন্ধন প্রদানের কাজে। দেশের জ্বালানী মজুদ প্রসঙ্গে প্রথম আলো এবং ডেইলি স্টারসহ কয়েকটি চিহ্নিত গণমাধ্যমের প্রকাশিত মিথ্যাচারের জবাবে কিছুদিন আগে প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছিলেন, “বাংলাদেশ পেট্রোল আমদানি করে না, বরং উৎপাদন এবং মজুদ বেড়ে গেলে তা রপ্তানিও করে”। মূলতঃ প্রধানমন্ত্রীর এই বক্তব্যটিকে ট্যুইস্ট করে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে এখন।

আরও পড়ুনঃ প্রধানমন্ত্রীর দূরদর্শী এবং যুগান্তকারী যে সিদ্ধান্তগুলো বৈশ্বিক এই ক্রাইসিস মোমেন্টে পথ দেখাচ্ছে

আন্তর্জাতিক বাজারে ৫২-৫৫% পর্যন্ত জ্বালানী তেলের দাম বেড়েছে সাম্প্রতিক সময়ে। আরব আমিরাত তেল উৎপাদনকারী দেশ হলেও ৭৫% বাড়িয়ে দিয়েছে দাম। তাই আমদানি খরচ বৃদ্ধি পাওয়ায় আমদানি এবং দেশের বাজারে তার বিক্রয় মুল্যের মাঝে কিছুটা ভারসাম্য আনার লক্ষ্যে গতরাত থেকে বাংলাদেশে বিভিন্ন ধরণের জ্বালানীর দাম বৃদ্ধি করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, আমদানি ব্যয়ের তুলনায় বিক্রয় মুল্যের মাঝে বড় ব্যাবধান থাকায় বিগত মাত্র ৬ মাসে সরকার তথা বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশন- বিপিসিকে কম/বেশি ৮ হাজার কোটি টাকা লোকসান গুণতে হয়েছে।পেট্রোল

এই মুল্যবৃদ্ধির পর থেকে অনেকের মাঝে প্রশ্ন উঠেছে, প্রধানমন্ত্রীর কথা মোতাবেক- আমরা যদি পেট্রোল আমদানি না করি, তাহলে পেট্রোলের দাম কেন বৃদ্ধি করা হলো?

এখানে বলে রাখা দরকার, এই প্রশ্নটি কেউ নিতান্তই সরল বিশ্বাসে জানার আগ্রহ থেকেই করেছেন। তবে অধিকাংশই জানার আগ্রহ থেকে নয়, বরং তারা কুটিল মনের গরল উগরানোর জন্য প্রশ্নটি করছেন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। এবং একইসাথে নিজেদের মনগড়া ও বিভ্রান্তিকর কথাবার্তা ছড়াচ্ছেন।

আসুন, প্রকৃত সত্যটি জানা যাক। যারা জানার আগ্রহ থেকে প্রশ্নটি করেছেন, তাদের জ্ঞাতার্থে ব্যাখ্যা দেওয়ার চেষ্টা করা হলো।

এক ব্যারেল ক্রুড অয়েল পরিশোধন করলে আমরা মাত্র ২০% গ্যাসোলিন বা ডিজেল পাই। আর বাকি অংশ থেকে আমরা পেট্রোল বা ন্যাফথা, অকটেন, মোবিল, গ্রিজ, বিটুমিন ইত্যাদি উৎপাদন করি। আমাদের রিফাইনারি বা পরিশোধনাগারের যে ক্যাপাসিটি, সেই অনুযায়ী আমরা সর্বোচ্চ ১৫ লাখ টন ক্রুড অয়েল পরিশোধন করতে পারি। আর তা থেকে মাত্র ৩ লাখ টন ডিজেল উৎপাদিত হয়। বাদ বাকি দ্রবীভূত উপজাত থেকে অন্যান্য পেট্রোলিয়ামজাত দ্রব্য উৎপাদিত হয়।

আরও পড়ুনঃ পেট্রোল-ডিজেলের দাম কোন দেশে কত?

আমাদের ডিজেলের চাহিদা বছরে আনুমানিক ৫০ লাখ টন। তাই ৩ লাখ টনের বাইরে বাদ বাকি প্রায় ৪৫-৪৭ লাখ টন পরিশোধিত ডিজেল আমাদেরকে বহির্বিশ্ব থেকে আমদানি করতে হয়।

কিন্তু মাঝে মাঝে আমাদের উৎপাদিত পেট্রোলিয়ামের (পেট্রোল বা ন্যাফথা ইত্যাদি) উৎপাদন বা মজুদ বেড়ে গেলে তা আবার রপ্তানি করতে হয়, মজুদ কমিয়ে যথাসম্ভব উৎপাদন চালিয়ে যাবার জন্য। সেজন্য কেবল গত ২০২০-২১ অর্থবছরেই আমরা প্রায় ৩৬ হাজার ৫০০ টন পেট্রোলিয়াম রপ্তানি করেছি।

এজন্যই যেহেতু সরকারকে পেট্রোল আমদানি না করলে পেট্রোল উৎপাদনের কাঁচামাল বা ক্রুড অয়েল বর্তমান বাজার দর অনুযায়ী আমদানি করতে হচ্ছে, তাই এ থেকে উৎপাদিত পেট্রোলের মুল্য ও সরকার বৃদ্ধি করতে বাধ্য হয়েছে।

এখানে আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার জড়িত। বাজারে বিক্রয় উপযোগী করে তুলতে উৎপাদিত পেট্রোল এবং অকটেনের মান বৃদ্ধির জন্য কিছু বিশেষ রাসায়নিক ব্যবহার করতে হয়। যা আমদানি করতে হয় বিভিন্ন দেশ থেকে। সেই রাসায়নিকেরও মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে আন্তর্জাতিক বাজারে। ফলে দাম বৃদ্ধি না করে সরকারের আর কোনো উপায় ছিল না।

আরও পড়ুনঃ এখনো ডিজেলে সরকারের ভর্তুকি ৮ টাকা

২০১৬ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত কয়েক দফা জ্বালানীর দাম আন্তর্জাতিক বাজারে বাড়লেও বাংলাদেশে বৃদ্ধি করা হয়নি। দফায় দফায় গণপরিবহনের ভাড়া বৃদ্ধির সাথে নৈরাজ্য সৃষ্টির আশঙ্কায় সরকার জ্বালানীর দাম স্থির রেখেছিল।

একটি পক্ষ দাবি করছে, বাংলাদেশ নাকি দেউলিয়া হওয়ার হাত থেকে রেহাই পেতে আইএমএফ থেকে বেইল আউট লোনের আবেদন করেছে! আর সেজন্য নাকি আইএমএফ-এর শর্ত অনুসারে জ্বালানীর দাম বৃদ্ধি করা হয়েছে। আসুন দেখা যাক, বিষয়টা কী?

আইএমএফ-এর কাছে ঋণ চেয়েছে বাংলাদেশ- এই খবরটি বাংলাদেশের কিছু গণমাধ্যম কপি → গুগল ট্রান্সলেট → পেস্ট করে ছেপেছে মূলত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাবশালী সংবাদমাধ্যম ব্লুমবার্গে প্রকাশিত একটি সংবাদকে সূত্র হিসেবে ধরে। সেই সংবাদের শিরোনাম ছিল- “Bangladesh Seeking IMF Bailout as Its FX Reserves Fall, Sources Say অর্থাৎ, বৈদেশিক মুদ্রা রিজার্ভের পতনে ঋণ পরিশোধে ব্যর্থ হয়ে বাংলাদেশ জামিনের জন্য হাত পেতেছে আইএমএফ-এর কাছে। প্রতিবেদকের নাম- অরুণ দেবনাথ।

শিরোনামটি একজন বাংলাদেশির জন্য কতটা অপমানজনক, তা বুঝিয়ে বলার অপেক্ষা রাখেনা। সারাবিশ্বের কাছে বাংলাদেশকে আবারও তলাহীন ঝুড়ি তথা ব্যর্থ রাষ্ট্র হিসেবে পরিচিত করে তুলতে সেই মার্কিনিদের নতুন চাল। কেউ কেউ খবরটি সত্য মনে করছেন। তাদের কাছে অনুরোধ, সংবাদটি ভালো করে ম্যাগনিফাইং গ্লাস দিয়ে পড়ুন। শিরোনাম ছাড়া সংবাদের ভেতরে আর কোথাও বেইল আউট বা জামিন শব্দটির অস্তিত্ব পর্যন্ত নাই!

বেইল আউট হলো, যখন কোনো দেশ ঋণ পরিশোধে ব্যর্থতার দারপ্রান্তে পৌঁছে যায়, তখন জরুরিভাবে ঋণ পরিশোধের ব্যর্থতা এড়াতে আইএমএফ-এর কাছে হাত পাততে হয়। সংস্থাটি তখন বিভিন্ন শর্ত বেঁধে দেয়। দেশের নীতি-নির্ধারনের দায়িত্ব নেয়, অযাচিত উপদেষ্টা হয়ে সবকিছুতে খবরদারি করতে শুরু করে। তারপর দীর্ঘ আলোচনা হয়। আইএমএফকে সবদিকে খুশি করতে পারলে ফান্ড ছাড়া হয়। দেউলিয়াত্বের হাত থেকে বাঁচার সর্বশেষ পর্যায়ে বেইল আউট প্যাকেজ নেয়া হয়। যা একটি দেশের জন্য বেশ অপমানজনক বিষয়। বিকল্প উপায় না থাকলে সর্বশেষ আত্মসমর্পণ করে এই প্যাকেজের আবেদন করা হয়।

অথচ আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলে ঋণ পরিশোধের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের সুনাম রয়েছে। বাংলাদেশ কখনই ঋণ পরিশোধে ব্যর্থ হয়নি, বরং সময়ের আগে বহুবার ঋণ পরিশোধের রেকর্ড আছে বাংলাদেশের। আন্তর্জাতিক বিভিন্ন উন্নয়ন সহযোগী সংস্থার রেকর্ডবুকে বাংলাদেশের সুনাম আছে এই ক্ষেত্রে। যেচে পড়ে সংস্থাগুলো বাংলাদেশকে বিভিন্ন খাতে ঋণ অফার করে, উন্নয়নে সহযোগী হিসেবে অর্থায়ন করতে চায়। আর সেখানে কি না দাবি করা হচ্ছে, বাংলাদেশের পরিস্থিতি এমন হয়েছে যে, বেইল আউট ঋণ চাইছে!

তবে এটাও ঠিক যে, বাংলাদেশ ঋণ চেয়েছে। কিন্তু কেন?

এখানে বলা জরুরি, আইএমএফ-এর ঋণ মানেই কিন্তু বেইল আউট নয়। বাংলাদেশে ছাড়াও বিশ্বের ৯৩টি দেশ আইএমএফ থেকে ঋণের আবেদন করেছে। ২০২০ সালে বাংলাদেশ কোভিড মোকাবেলায় আইএমএফ-এর ফান্ড ব্যাবহার করেছে। এবার বাংলাদেশ আইএমএফ-এর কাছে মোট ৪.৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার চেয়েছে। মূলত Creditors Resilience and Sustainability Trust (RST) ফান্ড থেকে ঋণ চেয়েছে বাংলাদেশ। আইএমএফ-এর এশিয়া প্যাসিফিকের ডিরেক্টর কৃষ্ণা শ্রীনিভাসন নিজেই এই কথাটি জানান। এই ফান্ডটি দেওয়া হয় মূলত সাস্টেইনেবল গ্রোথ নিশ্চিত করবার জন্য। অর্থাৎ দেশের অগ্রগতির গ্রাফ টাইমফ্রেম অনুসারে উর্ধ্বমুখী রাখার জন্য।

হিসাব অনুযায়ী, বাংলাদেশ তার স্পেশাল ড্রয়িং রাইটস এর ১৫০% পর্যন্ত এই ঋণ নিতে পারে। অথচ ব্লুমবার্গের সেই গাঁজাখুরি শিরোনামে দাবি করা হলো বেইল আউট প্যাকেজ নিচ্ছে বাংলাদেশ। কী ভয়ঙ্কর অপমানজনক এই শিরোনাম! বিশ্বের কাছে স্পষ্ট বার্তা দেয়া হয়েছে বাংলাদেশের ভবিষ্যত শেষ। কিন্তু ছেড়ে কথা বলেনি বাংলাদেশ। তীব্র প্রতিবাদের মুখে সংবাদের শিরোনাম বদলাতে বাধ্য হয় ব্লুমবার্গ। বেইল আউট প্যাকেজ বিষয়টি যেহেতু ভুয়া, তাই আইএমএফ-এর শর্ত মেনে জ্বালানীর দাম বৃদ্ধির বিষয়টিও মিথ্যা।

তাহলে কেন এই মূল্য বৃদ্ধি? জানতে হলে আসুন, কিছু তথ্য দেখে নিই। বাংলাদেশ সরকার বছরে কৃষিক্ষেত্রে শুধুমাত্র ডিজেলের পেছনে মোট ভর্তুকি দেয় ২৩ হাজার কোটি টাকা। আর তার সাথে বিদ্যুৎ, সেচ, সারসহ বিভিন্ন উপকরণের জন্য ভর্তুকি যোগ হলে তা দাঁড়ায় ৫৩ হাজার ৮৫২ কোটি টাকায়। কৃষকরা তাদের ১০ টাকা খরচে খোলা ব্যাংক অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে সরাসরি সেসব ভর্তুকির অর্থ পাচ্ছেন। কৃষকরা তার কার্ড ব্যবহার করে ৯০ টাকার সার কিনতে পারছেন মাত্র ১৫-১৬ টাকায়। ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের পর জ্বালানি খরচ বেড়ে এই ভর্তুকির অর্থ দাঁড়িয়েছে ৬৬ হাজার ৮২৫ কোটি টাকায়, যা জিডিপির ১.৭০%। করোনাকালেও সরকার প্রণোদনা বাবদ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে দিয়েছিল ১ লক্ষ ৮৭ হাজার কোটি টাকা।

এই যে সরকারের এত ভর্তুকি এবং প্রণোদনা দেওয়া- এসবের পেছনে অর্থ আসে কোত্থেকে? সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে লম্বা লম্বা লেকচার দেওয়া জ্ঞানী-গুণীরা দেয় এসব অর্থ?

বিস্ময়কর ব্যাপার হলো, ১৬ কোটি মানুষের এই দেশে এখন পর্যন্ত নিবন্ধিত করদাতার সংখ্যা ১ কোটি হয়নি। জনসংখ্যার অনুপাতে করদাতার হার মাত্র ৪ শতাংশের সামান্য বেশি। জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সর্বশেষ হিসাব অনুযায়ী, দেশে এখন কর শনাক্তকরণ নম্বরধারী (টিআইএন) ব্যক্তির সংখ্যা ৭৪ লাখ ২৪ হাজার ৩৯৭ জন। অথচ এর মধ্যে রিটার্ন জমা দেন ২৬ লাখ, বাকি ৪৮ লাখ কোথায়? তাও আবার যারা কর দেন, অধিকাংশই আয় কম দেখান, কর ফাঁকি দেন। ড.কামাল হোসেনের মত লোকরাও বিপুল অঙ্কের আয় গোপন করে কর ফাঁকি দেন। তাহলে সরকারের ভর্তুকির অর্থ যোগান দিবে কে?

আরও পড়ুনঃ বাৎসরিক ২০ গুন কম আয় কম দেখিয়ে কর ফাঁকি দিয়েছে সুশীল সমাজের প্রিয় মুখ ড. কামাল

[ফ্যাক্ট জানুন: বাংলাদেশ পেট্রোল রপ্তানি করলেও কেন পেট্রোলের দাম বেড়েছে? এখন কেন ভর্তুকি দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না?]

বিদ্যুতের উৎপাদন খরচ হচ্ছে ইউনিট প্রতি ৫৮-৬২ টাকা। কিন্তু গ্রাহক থেকে নেওয়া হচ্ছে মাত্র ৫-৬ টাকা মাত্র। একসময় বলা হতো, বাংলাদেশ নাকি খনিজ গ্যাসে ভরপুর, তাই বিদেশে বিক্রি করতে হবে। এজন্য শেখ হাসিনাকে চাপও দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তিনি সেটা গ্রাহ্য করেননি। মূলত সার্ভে ছাড়াই বিএনপি সরকার অপপ্রচার চালিয়েছিল, দেশ গ্যাসে স্বয়ংসম্পূর্ণ। এখন সেই গ্যাসের কোনো হদিস নাই। তাই বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য এলএনজি আমদানি করতে হচ্ছে। ডিস্ট্রিবিউশন লাইন স্থাপন, আনলোডিং পয়েন্টসহ স্টেশন স্থাপন মিলে পার ইউনিটে খরচ পড়ছে ৬০ টাকা। কিন্তু গ্রাহক থেকে নেওয়া হচ্ছে মাত্র ৯ টাকা করে। যেন উৎপাদন ব্যাহত না হয়।

আরেকটা প্রশ্ন উঠেছে, গত কয়েক বছরে আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানী তেলের দাম কমলেও বিপিসি দাম না কমিয়ে অতীতের ভর্তুকি পুষিয়ে একটা লাভজনক অবস্থানে এসেছে। তাহলে সেই লাভের অর্থ কোথায়? সেই টাকা থেকে এখন দাম বৃদ্ধি হওয়ায় পুনরায় কেন ভর্তুকি দেওয়া হচ্ছে না?

আরও পড়ুনঃ এশিয়ার জন্য জ্বালানি তেলের রেকর্ড দাম বাড়ালো সৌদি

বিপিসির বরাতে জানা যায়, আয়ের অর্থ বিপিসি পুনরায় বিনিয়োগ করেছে। জ্বালানী খাতে বাংলাদেশের যে সকল প্রকল্প বাস্তবায়নের অপেক্ষায় আছে, সেখানে নিজস্ব অর্থায়ন করেছে বিপিসি। সিঙ্গেল পয়েন্ট মুরিং উইথ ডাবল পাইপলাইন (এসপিএম), ঢাকা-চট্টগ্রাম পাইপলাইন, জেডএএফ পাইপলাইন, ইন্ডিয়া-বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশিপ পাইপলাইন ইত্যাদি বিভিন্ন প্রকল্পে বিনিয়োগ করেছে বিপিসি। ভারত থেকে সহজে ডিজেল আমদানির জন্য পাইপলাইনের কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। শুধু এই প্রকল্পেই বিনিয়োগের পরিমাণ ১৯ হাজার ৪০৪ কোটি টাকা।

তাই এখনই সময় অপপ্রচার এবং গুজবে বিভ্রান্ত না হয়ে দেশের স্বার্থে সঠিক তথ্য জানার। নিজে জানুন, সাধারণ মানুষকে জানান। বিভ্রান্তিকর তথ্য যারা ছড়ায়, তারা তথ্যসন্ত্রাসী। এদের থেকে সতর্ক থাকুন।

আরও জানুনঃ