বিএনপি

কারিগরি ত্রুটির জন্য প্রথম দুই রোজায় রাজধানীতে গ্যাস সরবরাহ বিঘ্নিত হয়। এতে শহরবাসী বিপাকে পড়লেও সরকারের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় ২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে স্বাভাবিক হয় পরিস্থিতি। তবুও গ্যাস-বিদ্যুৎ প্রসঙ্গ নিয়ে থেমে নেই বিএনপি-জামায়াতের সাইবার সন্ত্রাসীদের অপপ্রচার।

সূত্র বলছে, বিবিয়ানা গ্যাসক্ষেত্রের জরুরি মেরামত ও সংরক্ষণ কাজের জন্য গ্যাস সরবরাহে ঘাটতিজনিত কারণে কিছু কিছু বিদ্যুৎকেন্দ্রের বিদ্যুৎ উৎপাদনে বিঘ্ন ঘটছিল। ফলে কোনো কোনো এলাকায় সাময়িকভাবে বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যাহত হয়েছিল। এই অসুবিধার জন্য বিদ্যুৎ বিভাগ কর্তৃপক্ষ গ্রাহকদের কাছে আন্তরিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করেছে। যদিও দ্রুত কারিগরি ত্রুটি মুক্ত করে গ্যাসক্ষেত্রের সরবরাহ স্বাভাবিক করে বিদ্যুৎ পরিস্থিতিও আগের মতোই ফিরিয়ে আনতে সক্ষম হয়েছে কর্তৃপক্ষ।

জানা যায়, গ্যাস-বিদ্যুৎ উৎপাদনের এই কারিগরি সংকটকে কাজে লাগিয়ে বিষয়টি নিয়ে সরকারকে দোষারোপ করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অপপ্রচার চালাচ্ছে একটি স্বার্থ সন্ধানী মহল। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, এই অপপ্রচারকারীরা স্বাধীনতাবিরোধী অপশক্তি বিএনপি-জামায়াতের প্রতিনিধি।সোশ্যাল মিডিয়ায় চোখ পাতলেই দেখা যায়, ফেসবুকে যে সমস্ত পেইজ থেকে সরকারকে দোষারোপ করা হচ্ছে প্রতিটি পেইজই বিএনপি-জামায়াতের প্রতিনিধিত্ব করে।বিদ্যুৎকেন্দ্র

এমননি অনুসন্ধান চালিয়ে দেখা যায়, বিএনপি-জামায়াতের প্রবাসী নেতাকর্মী এবং তাদের পেইড এজেন্টরাও জনগণকে বিভ্রান্ত করার জন্য অপপ্রচার চালায় বিষয়টি নিয়ে।

তথ্যসূত্র থেকে জানা যায়, মৌলভীবাজারের বিবিয়ানা গ্যাসক্ষেত্র থেকে গ্যাসের সঙ্গে বালু উঠে আসতে শুরু করে। কোন কূপ থেকে উঠছে, তা তাৎক্ষণিকভাবে শনাক্ত করা যায়নি। তাই জরুরি ভিত্তিতে ছয়টি কূপের উৎপাদন বন্ধ করে দেওয়া হয়। তাই ১ম রোজার দিন (রোববার) দুপুরের দিকে হঠাৎ প্রায় ৪৫ কোটি ঘনফুট উৎপাদন বন্ধ হয়ে যাওয়ায় গ্যাসের সরবরাহে বড় ধরনের সংকট দেখা দেয়।

দেশে দিনে ৩৭০ কোটি ঘনফুট গ্যাসের চাহিদা থাকলেও শনিবার (২ এপ্রিল) মোট গ্যাস সরবরাহ করা হয় ২৭৯ কোটি ঘনফুটের মতো। এর মধ্যে বিবিয়ানা থেকে সরবরাহ করা হয় ১১৫ কোটি ঘনফুট। রোববার (৩ এপ্রিল) দুপুরের পর থেকে বিবিয়ানায় উৎপাদন প্রায় অর্ধেক কমে যাওয়ায় বাসার চুলায়, শিল্পকারখানায় ও বিদ্যুৎকেন্দ্রে সরবরাহ কমতে থাকে।নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিদ্যুৎ বিভাগের একজন কর্মকর্তা বলেন, সরবরাহ কমায় গ্যাসভিত্তিক কেন্দ্রগুলোর উৎপাদন কিছুটা কমানো হয় কিন্তু বিদ্যুৎ সরবরাহে বড় ধরনের বিঘ্ন ঘটেনি। বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের তৎপরতায় বিদ্যুৎ উৎপাদন স্বাভাবিক হয়েছে। শেভরন পরিচালিত বিবিয়ানা গ্যাসক্ষেত্রে জরুরি রক্ষণাবেক্ষণে গ্যাসের সমস্যার সমাধান করে ফেলেছে সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষ।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, স্বাধীনতাবিরোধীরা সব সময় সরকারের বিরোধিতা করে আসছে। তার ওৎ পেতে থাকে সরকারবিরোধী অপপ্রচার চালানোর জন্য। অথচ সাময়িক গ্যাস-বিদ্যুৎ সরবরাহ বিঘ্নিত হলেও এর স্থায়ী সমাধান হয়েছে।