জিয়া

বিএনপি জিয়াউর রহমানকে স্বাধীনতার ঘোষকের হাস্যকর দাবি করলেও এই স্বৈরশাসকের শাসনামল নিয়ে যে প্রমানটি বারবার পাওয়া গেছে তা হলো- যেসব ব্যক্তি বাংলাদেশের স্বাধীনতার বিরোধিতা করেছিল কিংবা পাকিস্তান সরকারের বিশ্বস্ত ও অনুগত ছিলো তাদের বেছে বেছে মন্ত্রীসভায় স্থান দেয়া হয়।

এদের মধ্যে অন্যতম হচ্ছে, শাহ আজিজুর রহমান। জিয়াউর রহমানের শাসনামলে শাহ আজিজুর রহমান প্রধানমন্ত্রী এবং জাতীয় সংসদ নেতা নির্বাচিত হয়।

বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানের সামরিক সরকার জাতিসংঘে যে প্রতিনিধিদল পাঠিয়েছিল সেটিরও অন্যতম সদস্য ছিলো শাহ আজিজ।

শাহ_আজিজুর_রহমান আরো পড়ুনঃ স্বাধীন বাংলার ৪র্থ প্রধানমন্ত্রী ছিলেন একজন স্বঘোষিত রাজাকার 

বাংলাদেশের স্বাধীনতা লাভের পর দালাল আইনে গ্রেফতার করা হয় শাহ আজিজুর রহমানকে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করেন, স্বাধীনতা বিরোধীদের মন্ত্রীসভায় অন্তর্ভুক্ত করে জিয়াউর রহমান বাংলাদেশের রাজনীতির দীর্ঘস্থায়ী ক্ষতি করেছে।

জিয়া কখনোই বাংলাদেশের স্বাধীনতার পক্ষে ছিলেন না। তিনি ছিলেন পাকিস্তানের গুপ্তচর। তার দালিলিক প্রমান পাওয়া যায়, ১৯৭১ সালের ২৯ মে জিয়াকে লেখা কর্নেল বেগের চিঠি থেকে।’

”তোমার কাজে আমরা সবাই খুশি। আমাদের অবশ্যই বলতে হবে তুমি ভালো কাজ করছো।

খুব শিগগিরই তুমি নতুন কাজ পাবে। তোমার পরিবার নিয়ে উদ্বিগ্ন হয়োনা। তোমার স্ত্রী ও বাচ্চারা ভালো আছে। তোমাকে মেজর জলিল সম্পর্কে আরো সতর্ক থাকতে হবে।”জিয়াকে লেখা কর্নেল বেগের চিঠি

শুধুমাত্র অত্যাধিক পাকিস্তানপ্রীতির কারনেই ‘৭৫-এর ১৫ আগস্ট জিয়া ও মোশতাক চক্র ইতিহাসের বর্বরোচিত ঘটনাটি ঘটায়। শুধু এখানেই থেমে যায়নি জিয়া ‘৭৫-র পর জিয়া যুদ্বাপরাধীদের বিচার বন্ধ করছিলো। যুদ্বাপরাধে আটকদের মুক্তি দিয়েছিলো, গোলাম আযমকে দেশে ফিরিয়ে এনেছিলো এবং জামায়াতকে রাজনীতি করার সুযোগ দিয়েছিলো।

আরো পড়ুনঃ কর্নেল বেগের সেই চিঠি

জিয়াউর রহমান রাজনীতি ও সরকার পরিচালনায় স্বাধীনতা বিরোধীদের অন্তর্ভুক্ত করা তার যতটা রাজনৈতিক কৌশল ছিলো তার চেয়ে বেশি ছিলো আদর্শগত।

আরো পড়ুনঃ