বিএনপি

প্রধানমন্ত্রীর এতিম তহবিলের নামে বিপুল অঙ্কের অর্থ আত্মসাৎ, একুশ আগস্ট গ্রেনেড হামলায় নেতৃত্ব দেয়া, শতভাগ বিদ্যুতের বদলে খাম্বা উপহার দেয়াসহ নানা অপকর্মে, অপরাধে লিপ্ত থাকা বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে গণতন্ত্রের মা দাবি করতে চান বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। বিগত সরকারের প্রধানমন্ত্রী থাকাকালে ‘জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট’ ও ‘জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট’ এর নামে ‘প্রধানমন্ত্রীর এতিম তহবিল’ থেকে সোয়া পাঁচ কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছিলেন খালেদা জিয়া।

সে সময় খালেদা জিয়ার সকল অনৈতিক কর্মকাণ্ডের হাতিয়ার ছিল তার বড় ছেলে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক জিয়া। এ ব্যাপারে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ বলেছেন, সবাই অনুরোধ করে বিএনপিকে কিছু না বলতে। কিন্তু তাদের অপকর্মের কথা না বলে পারি না। খালেদা জিয়ার জামিন আরও ছয় মাস বাড়ানো হয়েছে। খালেদা জিয়ার জামিন ছয় মাস করে পেয়ে বিএনপির আরামে থাকার অভ্যাস হয়ে গেছে। তাই এখন আজগুবি মার্কা কথা বলার রোগে ধরেছে তাদের।

আরও পড়ুনঃ ভাঙা স্যুটকেস-ছেঁড়া গেঞ্জি থেকে শত কোটি টাকার মালিক জিয়া পরিবার

অন্যদিকে, রাজনৈতিক সমালোচক ও বিশ্লেষক অধ্যাপক এ আরাফাত বলেছেন, দুটি আলাদা ট্রাস্ট গঠনের নামে এতিমের সাথে যে অন্যায় অমানবিকা, নির্মমতা দেখিয়েছে খালেদা সরকার সেটি ইতিহাসের নিকৃষ্টতম দুর্নীতির নজির ছাড়া আর কিছুই না। বিদ্যুতের খাম্বা লাগিয়ে ২১ হাজার কোটি টাকা লোপাট করেছিল খালেদা সরকার। বিদ্যুতের দেখা সাধারণ জনগণ পায়নি। এমন ঘৃণ্য অপরাধের সাজা যতই দেয়া হোক না কেন কম দেয়া হবে।

আরও পড়ুনঃ বিদ্যুতের বদলে খাম্বা দেয়া বিএনপি শতভাগ বিদ্যুতায়নের পর থেকেই নানাভাবে অপপ্রচার চালাচ্ছে

তিনি বলেন, খালেদা জিয়ার এমন নিকৃষ্ট অপরাধের পরও তিনি যে মানবিক জামিন পেয়েছেন সেটা বিএনপির ভুলে যাওয়া উচিত নয়। বরং কৃতজ্ঞ থাকা উচিত। অথচ বিএনপির নেতৃবৃন্দরা খালেদা জিয়ার সব অপকর্মকে বেমালুম ভুলে গেলো এতো সহজেই। এমন হলে দেশের জনগণের কাছে রাজনীতির সংজ্ঞাই বদলে যাবে। যদি বিএনপি এটিকেই তাদের আদর্শ বলে লালন করে তবে তাদের রাজনৈতিক আদর্শে ত্রুটি আছে। এটির শুদ্ধতা না করতে পারলে সেটি হবে তাদের জন্যই আত্মঘাতী।

আরও পড়ুনঃ