২৫ মার্চ

মুক্তিযুদ্ধের সময় ১ নং সেক্টরের সেক্টর কমান্ডার মেজর রফিকুল ইসলাম তার বিখ্যাত বই “A Tell of Millions” বইতে জিয়ার মুক্তিযুদ্ধ শুরুর আগের ভূমিকা একেবারে সুন্দর করে উল্লেখ করেছেন। ভাবছেন বইটি সম্প্রতি প্রকাশিত!! মেজর রফিকের মুক্তিযুদ্ধের অভিজ্ঞতা এবং জিয়ার দ্বিচারী ভূমিকার কথা মেজর রফিক ১৯৭৪ সালে বিভিন্ন পত্রিকায় প্রকাশ করেন ,এবং ১৯৮৪ সালে এই বই অফিসিয়ালি প্রকাশিত হয়। জিয়া জীবিত অবস্থায় এই বইয়ের লেখকের কোন লেখার প্রতিবাদ করেনি।

মুক্তিযুদ্ধের সময় ১ নং সেক্টরের সক্রিয় যোদ্ধা সিরু বাঙালি “যুদ্ধক্ষেত্রে জিয়া পলায়ন” নামক বই বের করেন ১৯৯৪ সালে সেখানেও মুক্তিযুদ্ধের জিয়ার ভূমিকার চিত্র তুলে ধরেন। জিয়ার এই প্রশ্নবিদ্ধ ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলার কারণে বিএনপি কখনো প্রতিবাদ ও করেনি। কারণ ১ নং সেক্টর গঠিত হওয়ার আগে পরে জিয়া কখনো সম্মুখ সমরে যুদ্ধ করেনি।মেজর জিয়া

আরও পড়ুনঃ জিয়ার আমলে সশস্ত্র বাহিনীতে কতজনকে হত্যা করা হয়েছিল?

মুক্তিযুদ্ধে জিয়ার এসব তথ্য জানতেন তাইতো ওসমানী সেক্টর গঠিত হওয়ার সময় জিয়াকে কমান্ডার বানাননি।
জেনারেল ওসমানীর ভাষ্যমতে ”ওসমানী মেজর জেনারেল জিয়াউর রহমানের বিরুদ্ধে ভারতে থাকাকালীন সময়ে (১৯৭১ সালে) ব্রিগেডিয়ার পান্ডের দফতরে টাকা গুণবার অভিযােগ এনে বলেন “জিয়া পূর্ব হতেই টাকা গোনায় অভ্যস্ত। ওসমানী আরো বলেন ” জিয়া নিজেই স্বাধীনতা যুদ্ধে বাংলদেশ সরকারের নিকট হতে বেতন ভাতা নিয়েছেন অন্য দিকে ঐ সময়েই ভারতীয় সামরিক কর্মকর্তাদের নিকট হতেও টাকা গুনেছেন।”

মজার ব্যাপার হচ্ছে জিয়া চট্টগ্রামের স্বাধীনতার স্বাধীনতার ঘোষণা পাঠ করে ২৭শে মার্চ,কিন্তু আমাদের দেশের জন্মদিন ২৬শে মার্চ। কিন্তু বিএনপি ২০০১ এ ক্ষমতায় এসেস্বাধীনতার ঘোষণাপত্রে এডিট করে ২৭শে মার্চের জায়গায় ২৬শে মার্চ বসিয়ে দেয়।

আরও পড়ুনঃ ১৯৬৫-৭৯ কী করেছিলো জিয়াউর রহমান!

জিয়ার আগে চট্টগ্রামের জেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এম এ হান্নান ২৭ মার্চ দুপুরে এবং সন্ধ্যায় স্বাধীনতার ঘোষণা পাঠ করেন কিন্তু তার আগেও একজন বীর যোদ্ধা চট্টগ্রাম আওয়ামী লীগ অফিসের প্রয়াত বেয়ারা নূরুল হক। বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতা ঘোষণা তারবার্তায় গ্রহণের পর ২৬ মার্চ বঙ্গবন্ধুর ঘোষণাটি রিকশায় করে পুরো চট্টগ্রাম শহরে মাইকিং করেছিলেন এই নূরুল হক। সে সময় চট্টগ্রাম শহরে পাকিস্তানি সেনাবাহিনী হত্যাকাণ্ড চালাচ্ছিল। যেকোনো মুহূর্তে তার বুকে গুলি হতে পারে সেটা জেনেও সেদিনকার তরুণ নূরুল মানুষকে ঘোষণাটি শুনিয়েছিলেন।

জিয়া ২৭ মার্চ বিকাল পর্যন্ত কোথায় ছিল জানুন।আপনি জানেন না বলে জিয়া কাউকে খুন করেনি এমন না।জিয়া বাঙালি সেনা সদস্যদের সাথে কথা বলতেন না মুক্তিযুদ্ধ শুরু হওয়ার আগ পর্যন্ত! এসব তথ্য যাদের থেকে পাওয়া তারা ইষ্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের ,তাদের থেকে শুনুন জিয়ার ভূমিকা। সিরু বাঙালি এবং মেজর রফিকুল ইসলাম এখনো বেচেঁ আছেন।

ইতিহাসের সত্য ইতিহাসই সাক্ষ্য দিবে। কারণ “সত্যকে দাবায়া রাখা যায় না।”

জেনে নিন, শিখে নিন জিয়ার ভূমিকা কি ছিল ২৫ শে মার্চে পাকিস্তানী বাহিনীর আক্রমণ এর আগ পর্যন্ত!

আরও পড়ুনঃ