
২০১৪ সালের নির্বাচনের আগে সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় একটি সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যখন খালেদা জিয়াকে ফোন করেছিলেন তখন বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়া কি আচরণ করেছিলেন দেশবাসী তা ভুলে যায়নি। সর্বোচ্চ আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী জনগণের ভোটে নির্বাচিত ব্যক্তিদের সমন্বয়ে নির্বাচনকালীন সরকার গঠন প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণের জন্য তখন বিএনপিকে আহ্বান জানানো হয়। কিন্তু সংবিধানের মূল চেতনায় সমুন্নত গণতান্ত্রিক রীতি বাস্তবায়ন এবং আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ সৃষ্টির সে আহ্বানে সাড়া দেয়নি বিএনপি
উপরন্তু তারা আন্দোলনের নামে দেশব্যাপী অগ্নিসন্ত্রাস সৃষ্টি করে শত শত নিরীহ মানুষকে হত্যা করে।যুদ্ধাপরাধী ও জঙ্গিগোষ্ঠীর প্রত্যাশা পূরণে নির্বাচন বর্জন এবং আগুন সন্ত্রাসের মাধ্যমে গণতন্ত্র বিকাশের পথকে বাধাগ্রস্ত করার যে ষড়যন্ত্র বিএনপি সেদিন শুরু করেছিল তারই অংশ হিসেবে ২০১৮ সালেও তারা নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছিল। আজও তারা গণতন্ত্রের রীতিনীতিকে বর্জন ও প্রশ্নবিদ্ধ করার ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছে।
বিএনপি নেতা বলেন, বিএনপি সব সময় গণতান্ত্রিক রীতি-নীতি ও আইনি কাঠামোর প্রতি নেতিবাচক মনোভাব পোষণ করে। তাই অনুসন্ধান কমিটিকেও প্রশ্নবিদ্ধ করার পাঁয়তারা চালাচ্ছে তারা। শুধু নিজেদের হীন রাজনৈতিক স্বার্থ হাসিলের জন্য জাতিকে বিভ্রান্ত করতে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর মতো নেতা বরাবরের মতো নির্লজ্জভাবে মিথ্যাচার করে চলেছেন। লন্ডন থেকে যা বলা হচ্ছে উনি তোতা পাখির মতো তাই বলছেন।তিনি আরো বলেন, জনগণের প্রত্যাশা পূরণের চেয়ে দলীয় ও গোষ্ঠী স্বার্থকে প্রাধান্য দিয়ে রাজনীতি করে বিএনপি। তাই তারা নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করে নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত।
আরও পড়ুনঃ বহিষ্কার-কোন্দল-গণপদত্যাগে বিএনপির ভাঙন যেকোনো সময়
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, আওয়ামী লীগের যে কোনো কাজে বিরোধিতা এটা নতুন কোনো বিষয় নয় বিএনপি’র জন্য। ভালো বা খারাপ সেটা পর্যবেক্ষণ না করেই তারা শুধু বিরোধিতা করার জন্য সব সময়ই আওয়ামী লীগের যেকোনো কাজের বিরোধিতা করে। কিন্তু তাদের এই সংস্কৃতি থেকে বেরিয়ে আসা উচিৎ।কারণ সার্চ কমিটির প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান একজন সৎ এবং দক্ষ বিচারপতি হিসেবে পরিচিত। সুপ্রিমকোর্টে তার আলাদা একটা ইমেজ রয়েছে। বিশেষ করে ব্যক্তিত্ববান বিচারপতি হিসেবে তিনি আলাদাভাবে একটি জায়গা করে নিয়েছেন। আর সে কারণেই তার নেতৃত্বে সার্চ কমিটি যে খুব বড় ধরনের বিতর্ক তৈরি করবে না এটি অনেকেই আশা করেন। বিএনপি’র উচিৎ দেশবিরোধী ষড়যন্ত্রে ব্যস্ত না থেকে সার্চ কমিটির ওপরে আস্থা রাখা।
আরও পড়ুনঃ