
বাংলাদেশের ইাতহাসে জেনারেল জিয়াউর রহমান একটি ঘৃণিত নাম। মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত বাংলাদেশকে উল্টোপথে নিয়ে যাওয়ার জন্য ইতিহাসের আস্তাকুঁড়ে চিরকাল লেখা থাকবে সুযোগ সন্ধানী ও ষড়যন্ত্রকারী হিসেবে ইতিহাসে ঠাঁই পাওয়া জেনারেল জিয়ার নাম।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যার সাথে নেপথ্যের ষড়যন্ত্রকারী এবং আশ্রয় প্রশ্রয়দানকারী জিয়া বঙ্গবন্ধু হত্যার পর সবচেয়ে বেশি লাভবান হওয়া ব্যক্তি।
বঙ্গবন্ধু হত্যার পর ক্যূ এবং পাল্টা ক্যু’র মাধ্যমে বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা দখল করা জেনারেল জিয়া তার ক্ষমতা কুক্ষিগত করতে একের পর এক মুক্তিযোদ্ধা সেনা কর্মকর্তা এবং মহান মুক্তিযুদ্ধের সংগঠকদেরকে বিচারের নামে প্রহসনের মাধ্যমে হত্যা করেন।
অত্যন্ত ঠান্ডা মাথায় সামরিক বাহিনীর দেশপ্রেমিক হাজার হাজার সদস্যকে খুন করে নিজের ক্ষমতাকে কুক্ষিগত করতে ইতিহাসের নির্দয় স্বৈরশাসক হিসেবে জিয়া নাম লিখিয়েছেন। এখানে একটি বিষয় উল্লেখ করা ইতিহাসের স্বার্থে অত্যন্ত জরুরি, শহিদদের মধ্যে বড় অংশই ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা এবং মুক্তিযুদ্ধের আদর্শ ও চেতনা লালনকারী।
যার ফলে এই গণহত্যার পর সামরিক বাহিনীতে শেষ পর্যন্ত যারা টিকে ছিলেন, তাদের বেশিরভাগই পাকিস্থানি আদর্শে লালিত এবং জিয়ার অনুগত। যাদের মাধ্যমে পরবর্তীতে জিয়া তার রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা নিরাপদ রাখতে সক্ষম হন।
জেনারেল জিয়ার কুকীর্তির ফিরিস্তি লিখে শেষ করা যাবে না। জিয়াউর রহমান সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে নিহত হলেও তার বীজ হিসেবে বাংলাদেশের জন্য রেখে গেছেন তারেক রহমানের মতো সন্ত্রাসী এবং কুলাঙ্গার পুত্রকে। জিয়াউর রহমানের মতোই ঠান্ডা মাথার খুনি এবং নির্দয় রাজনীতিবিদ হলেন পুত্র তারেক রহমান।
তারেক রহমান ক্ষমতার লাইম লাইটে আসেন ২০০১ সালের নির্বাচনে বিএনপি-জামায়াত জোট বিজয়ী হবার পর। ওই নির্বাচনে বাংলাদেশের স্বাধীনতা বিরোধী শক্তি জামায়াতের সঙ্গে জোট বেঁধে ক্ষমতায় আসে বিএনপি।
আরও পড়ুনঃ মোশতাকের নির্দেশে জাতীয় চার নেতাকে হত্যা করে জিয়ার সেনারা
নির্বাচনের ফলাফল ঘোষিত হওয়ার আগেই তারেকের নির্দেশে বিএনপি ও জামায়াতের সন্ত্রাসীরা দেশজুড়ে শুরু করে নজিরবিহীন সন্ত্রাস ও সংখ্যালঘু নির্যাতন। আওয়ামী লীগের হাজার হাজার নেতা-কর্মী বেঘোরে প্রাণ হারান। চিরকালের জন্য পঙ্গুত্ববরণ করেন অগুণিত সদস্য।
আওয়ামী লীগকে ভোট দেওয়ার অপরাধে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর চলে অবর্ণনীয় নির্যাতন এবং তাণ্ডব। তাদের ঘরবাড়ি জ্বালিয়ে পুড়িয়ে ধ্বংসস্তুপে পরিণত করা হয়। জমি, সম্পদ দখল আর লুটপাট হয়। ধর্ষিত হন পূর্ণিমার মত হাজারো নারী, শিশু এমনকি বৃদ্ধাও। জোরপূর্বক দেশত্যাগে বাধ্য করা হয় লাখো হিন্দুকে।
এসব ঘটনার পেছনে খালেদা জিয়ার প্রচ্ছন্ন মৌন সম্মতি এবং তারেকের যে প্রত্যক্ষ মদদ ছিলো এখন তা প্রমাণিত। ২০০১ সাল থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত যতগুলো রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ড ও অপরাধ সংঘটিত হয়েছে তার সবগুলোতেই তারেক রহমানের মাফিয়া সাম্রাজ্য হাওয়া ভবন এবং তার প্রত্যক্ষ মদদ দেশি-বিদেশি তদন্তে স্পষ্ট হয়েছে।
মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্টের গোপন তার-বার্তায় তারেককে ভয়ঙ্কর সন্ত্রাসী মনোভাবাপন্ন সম্পন্ন লোক বলে অভিহিত করা হয়েছিলো। শুধু তাই নয়, তাকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জন্য ক্ষতিকর ব্যক্তি উল্লেখ করে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে অনুমতি না দেয়ার জন্য ঢাকাস্থ মার্কিন দূতাবাসের পক্ষ থেকে মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্টকে সতর্কও করা হয়েছিল।
২০০৪ সালের ২১শে আগস্ট তৎকালীন বিরোধী দলীয় নেতা এবং আওয়ামী লীগ সভাপতি জননেত্রী শেখ হাসিনার সন্ত্রাস বিরোধী জনসভায় ভয়াবহ গ্রেনেড হামলা চালানো হয়। ওই হামলা ইতিহাসেই সবচেয়ে বর্বর ও জঘন্য বলে বিবেচিত হয়েছে। ওই হামলার লক্ষ্য ছিল আওয়ামী লীগ নেতৃত্বকে একযোগে হত্যা করা। লক্ষ্য ছিল শেখ হাসিনাকে হত্যা করা।
কারণ তাকে হত্যা করতে পারলেই তারেক রহমানের রাজনৈতিক পথ পরিস্কার হয়ে যায়। আজীবন ক্ষমতায় থাকার সাধ পূর্ণ হবে মনে করেছিলো তারেক রহমান। এতে বিএনপির হাতে প্রতিষ্ঠিত জঙ্গি সংগঠন, পাকিস্থানি গোয়েন্দা সংস্থা কর্তৃক সরবরাহকৃত অস্ত্র, বিস্ফোরক ও প্রশিক্ষণ, রাষ্ট্রীয় সংস্থায় কর্মরত তারেকের আজ্ঞাবহ কিছু কর্মকর্তা জড়িত ছিলেন।
আরও পড়ুনঃ মায়ের অসুস্থতাকে পুঁজি করে ভয়ঙ্কর খেলায় মেতেছে তারেক
তারেকের এসব সন্ত্রাসী কর্মকান্ডই তার কাল হয়ে দাঁড়ালো শেষমেশ। ওই হামলার আগে একাধিকবার বৈঠক করে হামলার সাথে জড়িত জঙ্গিরা। বৈঠকের স্থান ছিলো তারেক রহমানের সব কুকীর্তির মূল জায়গা ‘হাওয়া ভবন’। সেখানে এমনকি উপস্থিত ছিলেন বঙ্গবন্ধুর খুনি পলাতক নূর চৌধুরীসহ আইএসআই’র এজেন্টরা।
পরে ২১শে আগস্টের গ্রেনেড হামলা মামলার অন্যতম আসামী মুফতি হান্নান হামলার নেপথ্য নায়ক এবং পরিকল্পনা সম্পর্কে বিস্তারিত জানিয়ে জবানবন্দি দেন। হামলায় কারা কারা জড়িত সব বিস্তারিত বলেন তিনি। মুফতি হান্নানের জবানবন্দি এবং গ্রেনেড হামলা মামলার অধিকতর তদন্তে বেরিয়ে এসেছে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য।
২১শে আগস্ট গ্রেনেড হামলার আগে জঙ্গিরা তারেক রহমানের হাওয়া ভবনে তৎকালীন সরকারের উচ্চ পর্যায়ের নেতৃবৃন্দের সাথে বৈঠক করেন। তার প্রমাণ মুফতি হান্নানের জবানবন্দি। জঙ্গি মুফতি হান্নানের সাক্ষ্যের কিছু অংশ তুলে ধরলে তা স্পষ্ট হবে।
[পিতার মতোই ঠান্ডা মাথার আরেক খুনি তারেক রহমান]
মুফতি হান্নানের জবানবন্দির কিছু অংশ:
❝… ১৪ তারিখে একটা মিটিং ছিলো হাওয়া ভবনে। সেখানে বিভিন্ন আলোচনা হয়। ওই বৈঠকে শরিক ছিলো তারেক রহমান, আলী আহসান মুজাহিদ, হারিছ চৌধুরী এবং আব্দুস সালাম পিন্টু। আরো ছিলো হরকাতুল জিহাদের আমির আব্দুস সালাম, শেখ ফরিদ, আল মারকাজুল ইসলামের নায়েবে আমির মুফতি আব্দুর রসিদ।
ওখানেই সব আলোচনা হয়। তারেক রহমান আলোচনা করেন, বর্তমানে দেশের অবস্থা খুবই খারাপ। দেশে আওয়ামী লীগ তথা শেখ হাসিনা অরাজকতা সৃষ্টি করতেছে। দেশের ভাবমুর্তি নষ্ট করছে। দেশকে নষ্ট করে দিচ্ছে- এভাবে বলে কয়ে সে জানালো, আমাদের একটা পদক্ষেপ নেয়া দরকার।
এরপর আলী আহসান মুজাহিদ বললেন, আপনার কথা সত্য। এবং শুধু তাই নয়, ইসলামের বিরুদ্ধেও কাজ করতেছে শেখ হাসিনা। আপনার কথাগুলা অবশ্যই সত্য। আমাদের কাজ করা দরকার। এরপর স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফর রহমান বাবর বললেন কথাগুলা অবশ্যই সত্য। কথাগুলা আমিও বলতাম। এখন আপনারা পরিষ্কারভাবে বলেন কী পদক্ষেপ নেয়া দরকার।
তিনি আবার বলেন এইখানে দুইটা পদক্ষেপ নিতে হবে। হয়তো দেশে যে অরাজকতা সুষ্টি হয়েছে তা রাজনৈতিকভাবে ব্যাপক মোকাবেলা করতে হবে, নয়তো তাকে এই দেশ থেকে চির বিদায় করে দেওয়া অর্থাৎ তাকে শেষ করে দেওয়া।
তখন এই ব্যাপারে বাবর বললেন, ‘আমার মনে হয় মেজর নূর ভালো বলতে পারবেন’। তখন সেখানে বঙ্গবন্ধু মামলার আসামি মেজর নূর উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুনঃ জিয়াউর রহমান: যে পাঁচটি বিষয় তাকে আলোচিত-সমালোচিত-বিতর্কিত করেছিল
নূর বললেন , আমি জানি আপনারা রাজনৈতিকভাবে মোকাবেলা করবেন অবশ্যই। কিন্তু আমি রাজনীতি বেশি একটা জানি না তেমন। কিন্তু আমি জানি তার মোকাবেলা করতে হলে তিনটি পদক্ষেপ নিতে হবে।
এক. তার বাড়িতে হামলা করতে হবে। দুই. তার আসা-যাওয়ার কোনো পথে তাকে আক্রমণ করে মেরে ফেলতে হবে নয়তো তার কোনো মিটিংয়ে তাকে আক্রমণ করে শেষ করে দিতে হবে।
তখন স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বাবর বললেন, আমার কাছে গ্রেনেড আছে। এই গ্রেনেডও ব্যাবহার করা যেতে পারে।
তখন উনি (মেজর নূর) বললেন, গ্রেনেডে যদি হয়, তাহলে রাস্তায় আক্রমণ করা যাবে না। তাকে কোনো জায়গায় আক্রমণ করতে হবে। এই ধরুন মিটিংয়ে আক্রমণ করলে কামিয়াব হওয়া যাবে। তারপর উনি বললেন যে, আজ সব আলোচনা শেষ না করে অন্যদিন আমরা আলোচনা শেষ করবো। পরদিন আবার একটা মিটিং ডাকে।
মিটিং ডেকে ওখানে আবার আলোচনা হয়। আলোচনার পর এবার একটা সিদ্ধান্তে যায়, তারপর সিদ্বান্ত হলো গ্রেনেডই ব্যবহার হবে। গ্রেনেড যেহেতু আছে তো এখন শুধু এখানে আমাদের রাইফেল প্রয়োজন হবে। এরপর জানায়, আগামী ২১ তারিখ আওয়ামী লীগ মিটিং ডেকেছে। এটা হচ্ছে পল্টনের কাছাকাছি মুক্তাঙ্গনে, মিটিংয়ের অনুমতি দিয়েছি আমরা।
এখানে বা ওখানে, তারা অফিসের সামনে চেয়েছে যেখানেই হোক, পদক্ষেপ নেয়া যেতে পারে। তখন উনারা বললেন সরকারি পুলিশ আমাদের সহযোগিতা করবে, গোয়েন্দার লোকজন আমাদের সহযোগিতা করবে।
[পিতার মতোই ঠান্ডা মাথার আরেক খুনি তারেক রহমান]
এরপর উনারা বললেন আরেকটা মিটিং ডেকে পুরা সিদ্ধান্ত নেই। এরপর ৩য় মিটিং হয়। লুৎফর রহমান বাবরের মিন্টু রোডে সরকারি যে বাসভবন, সেখানে মিটিং হয়। এখানে তারেক রহমান ছাড়া বাকি সবাই উপস্থিত ছিলো।❞
এরপরই ঘটে ভয়াল ২১শে আগস্ট, ২০০৪ এর সেই নারকীয় গ্রেনেড হামলা। নিজেদের শরীরকে ঢাল বানিয়ে মেয়র হানিফসহ আওয়ামী লীগের নেতারা জননেত্রী শেখ হাসিনাকে বাঁচাতে পারলেও প্রাণ যায় মেয়র হানিফ, আইভি রহমানসহ ২৪ জন নেতা-কর্মীর। আহত হন পাঁচ শতাধিক। যে ক্ষতি কখনই পুষিয়ে নেওয়া সম্ভব নয়।
তারেক-বাবরসহ বিএনপি-জামায়াতের নেতাদের এসব সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের কারনেই জনগণ বারবার তাদেরকে প্রত্যাখ্যান করে যাচ্ছে। গত ৩ মেয়াদের জাতীয় নির্বাচনে বিএনপি-জামায়াতের ভয়াবহ ভরাডুবিই যার অন্যতম উদাহরণ।
যদিও ওয়ান-ইলেভেনে গ্রেপ্তার হবার পর জামিন নিয়ে রাজনীতি ছেড়ে দেওয়ার মুচলেকা দিয়ে চিকিসার নামে লন্ডনে পালিয়ে যান খুনি তারেক। তবে তার মা অর্থ্যাৎ যাবতীয় নাশকতামূলক কর্মকাণ্ডের মূল হোতা বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া আদালতের রায়ে অপরাধী প্রমানিত হয়ে এখন ধুঁকছেন আর কুকর্মের প্রায়শ্চিত্ত করছেন।
আরও পড়ুনঃ শেখ মুজিবুর রহমান: ১৫ই অগাস্টের হত্যাকাণ্ডের পর জেনারেল জিয়া যে মন্তব্য করেছিলেন
যদিও শিক্ষা হয়নি এই পরিবারের। তারেক রহমান প্রবাসে থেকেও নিজের জাত চিনিয়ে যান। রাজনৈতিক আন্দোলনের মাধ্যমে নিজের মায়ের মুক্তির নাটকের নামে দলের পদ-মনোনয়ন বাণিজ্য করে হাজার হাজার কোটি টাকার দেশ থেকে লুটপাট চালাচ্ছেন, লন্ডনে বসে ক্যাসিনোতে ওড়ান।
পাশাপাশি জঙ্গীদেরকে অবৈধ অর্ধ ও অস্ত্রের যোগান দিয়ে দেশে সন্ত্রাসী কর্মকান্ড চালিয়ে যেতেও দ্বিধাবোধ করছেন তিনি। অর্থায়ন করছেন দেশবিরোধী অপপ্রচারের জন্য সৃষ্ট গুজবসেলের পেছনেও।
বাংলাদেশের ইতিহাসে নিমকহারামী এবং অকৃতজ্ঞতার প্রধান উদাহরণ জিয়াউর রহমান। অগণতান্ত্রিকভাবে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা দখল করে বাংলাদেশকে উল্টোপথে নিয়ে গিয়েছিলেন তিনি। দেশবিরোধী যুদ্ধাপরাধী জামায়াত নেতাদেরকে বাংলাদেশে ফিরিয়ে এনে রাজনীতির সুযোগ দেন, পুনর্বাসন করেন।
যারা তার বিরোধিতা করেছিলেন তাদেরকে নির্মমভাবে দমন করেন তিনি। একইসাথে মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক এবং মুক্তিযোদ্ধা সেনা অফিসারদেরকে নির্মমভাবে হত্যা করেন জিয়া।
জিয়া তার নৃশংসতার প্রায়শ্চিত্ত করেন সেনা সদস্যদের হাতে নিহত হয়ে। কিন্তু তার স্ত্রী খালেদা জিয়া সেই শিক্ষা গ্রহণ করেননি। তিনিও যুদ্ধাপরাধী এবং দেশবিরোধীদের পুনর্বাসন এবং ক্ষমতার কেন্দ্রে নিয়ে এসে দেশকে পাকিস্থান বানানোর প্রক্রিয়ায় লিপ্ত হন।
ক্ষমতার কাছাকাছি থেকে হত্যা ও সন্ত্রাসের রাজনীতিকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিয়েছেন জিয়া দম্পতির কুপুত্র তারেক রহমান। ক্ষমতার বাইরে থেকেও যার মধ্যে তিল পরিমাণ পরিবর্তন দেখছেন না দেশের জনগণ।
আরও পড়ুনঃ
- বন্দীদশা থেকে যেভাবে ক্ষমতার কেন্দ্রে এলেন জিয়াউর রহমান
- জিয়া পরিবার এক ভয়ংকর ভাইরাস; বাংলাদেশের ক্যান্সার