ইভিএম

দিনভর যতক্ষণ ভোট চলছিল, ততক্ষণ পর্যন্ত সাইনবোর্ডহীন বিএনপি নেতা তৈমুর আলম খন্দকার সুষ্ঠু ভোট হচ্ছে দাবি করে গেছেন, সব ক’টা বেসরকারি টিভি চ্যানেলের স্ক্রিনে তার হাসিমুখে এমন বার্তায় সারাদেশের মানুষ একটি সুন্দর নির্বাচনের প্রচার দেখছিল যেন। তিনি ১ লাখ ভোটের আশাবাদও করেছেন সারাদিন।

ইতিপূর্বে দেখা সকল নির্বাচনে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদ এর কষামুখে ‘নির্বাচন প্রত্যাখ্যান করছি’ মুখস্ত বুলি থেকে আজ মুক্তি পাওয়া যাবে- সমগ্র জাতি তা-ই ভেবেছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ‘যেই লাউ, সেই কদু’ দেখতে পাওয়া গেল।

নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে হেরে গিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী তৈমুর আলম খন্দকার এবার দাবি করলেন, তিনি প্রশাসনিক ও ইভিএম ‘কারচুপির’ কারণে হেরে গেছেন! এখন সব দোষ ঝাড়লেন ইভিএম মেশিনের ওপর।তৈমুর

সেলিনা হায়াৎ আইভীকে লক্ষাধিক ভোটে হারানোর আশা করা বিএনপি নেতা তৈমুর আলম খন্দকার রোববার রাতে শহরের মাসদাইরে নিজ বাসায় সংবাদ সম্মেলনে এই ক্ষোভের কথা জানান তৈমুর।

তিনি বলেন, এই ভোটে অংশ নিয়ে সরকারের সঙ্গে আমাক খেলতে হয়েছে। প্রশাসনিক ইঞ্জিনিয়ারিং এবং ইভিএম কারচুপির জন্য আজ আমাদের এ পরাজয় বরণ করতে হয়েছে। আমি ধন্যবাদ জানাই জনগণকে, মিডিয়াকে।

আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে বিএনপি নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দেওয়ার পর এই নির্বাচনে তৈমুর স্বতন্ত্র প্রার্থী হন, তবে দলের স্থানীয় নেতারা তার সঙ্গেই ছিলেন।

গ্রেপ্তার-হয়রানির অভিযোগ তুলে তিনি দাবি করেন, নির্বাচনে যারা ব্যস্ত ছিলেন, তাদের ধরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। ঢাকা থেকে আওয়ামী লীগের লোক আসার পর থেকে গ্রেপ্তার করা শুরু হয়েছে। এ অবস্থায় একজন মানুষ স্বতন্ত্র দাঁড়িয়ে কীভাবে ঠিক থাকতে পারে?

২০১১ সালে নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের প্রথম নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছিলেন তৈমুর। সেবার দলীয় সিদ্ধান্তে ভোটের আগের দিন তাকে সরে যেতে হয়েছিল। সেবার আওয়ামী লীগের সেলিনা হায়াৎ আইভী জয়ী হন।

২০১৬ সালে পরের নির্বাচনে বিএনপি প্রার্থী করেছিল সাখাওয়াত হোসেনকে। তবে ফল বদলায়নি। আইভীই আবার মেয়র হন। এবার নির্বাচনে অংশ নেওয়ায় বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য পদ হারাতে হয় তৈমুরকে।

ভোট শেষে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, তৈমুর আলমের পদ-পদবি লাগে না। বিএনপি রক্তের সঙ্গে মিশে গেছে। এটা নিয়ে মরতে চাই।

আরো পড়ুনঃ