
জনসমর্থন নেই, কর্মীদের মধ্যেও গা-ছাড়া ভাব। তাই এবার নিজেদের অবস্থান জানান দিতে আবারও ‘জ্বালাও-পোড়াও’ আন্দোলনের পরিকল্পনা করেছে বিএনপি। এ নিয়ে একাধিকবার তারেক রহমান দলের সিনিয়র নেতাকর্মীদের সঙ্গে গোপন বৈঠক করেছেন বলেও জানা গেছে।
বিশ্বস্ত সূত্র বলছে,জানুয়ারি মাস জুড়ে সমাবেশের নামে দেশকে অস্থিতিশীল করে তুলতে বিএনপি-জামায়াত পুনরায় বেছে নিয়েছে সহিংসতার পথ। গোপনে গোপনে নিচ্ছে ‘জ্বালাও-পোড়াও’ আন্দোলনের প্রস্তুতি।বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তি ও সুচিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানোর দাবিতে ৩৯ জেলায় সমাবেশ কর্মসূচি ঘোষণা করেছে দলটি।আগামী ৮ জানুয়ারি থেকে ২৪ জানুয়ারি এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে।বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবুল খায়ের ভূইয়ার নেতৃত্বে ৮ জানুয়ারি ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মিজানুর রহমান মিনুর নেতৃত্বে ১২ জানুয়ারি রাজশাহীতে সমাবেশ অনুষ্টিত হবে।বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন ও বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মনিরুল হক চৌধুরীর নেতৃত্বে ১২ জানুয়ারি কুমিল্লা উত্তর ও দক্ষিণ জেলায় সমাবেশ অনুষ্টিত হবে।বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস ও যুগ্ম মহাসচিব হাবিব-উন-নবি খান সোহেলের নেতৃত্বে ১২ জানুয়ারি রংপুর জেলায় সমাবেশ অনুষ্টিত হবে।বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় ও যুগ্ম মহাসচিব মজিবর রহমান সরোয়ারের নেতৃত্বে ১২ জানুয়ারি বরিশালে সমাবেশ অনুষ্টিত হবে।বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান ও বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মশিউর রহমানের নেতৃত্বে ১২ জানুয়ারি খুলনায় সমাবেশ অনুষ্টিত হবে।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নাল আবদীন ফারুকের নেতৃত্বে ১২ জানুয়ারি চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলায় সমাবেশ অনুষ্টিত হবে।বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু ও বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা খন্দকার আব্দুল মোক্তাদিরের নেতৃত্বে ১২ জানুুয়ারি সিলেটে সমাবেশ অনুষ্টিত হবে।১৫ জানুয়ারি নীলফামারী, ফেনী নওগাঁ, কুষ্টিয়া, বরগুনা, শেরপুর এবং বাগেরহাটে সমাবেশ অনুষ্টিত হবে।১৭ জানুয়ারি রাঙামাটি, নেত্রকোনা, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, রাজবাড়ী, নড়াইল, পিরোজপুর, চুয়াডাঙ্গায় সমাবেশ অনুষ্টিত হবে।১৯ জানুয়ারি ময়মনসিংহে সমাবেশ অনুষ্টিত হবে।২২ জানুয়ারি নারায়ণগঞ্জ, চাঁদপুর, সাতক্ষীরা, ময়মনসিংহ, নাটোর, বরিশাল, চট্টগ্রাম, সৈয়দপুর, শরীয়তপুরে সমাবেশ অনুষ্টিত হবে।২৪ জানুয়ারি ঝালকাঠি, মাগুরা, মাদারীপুর, বান্দরবান, মৌলভীবাজার এবং পঞ্চগড়ে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে।
আরো পড়ুনঃ জ্বালাও পোড়াও বিএনপির স্ট্র্যাটেজি
অনুসন্ধানে জানা গেছে,সমাবেশের নামে নতুন মিশন নিয়ে মাঠে নেমেছেন তারেক রহমান।নেতাকর্মীদের নির্দেশ দিয়েছেন মরণ কামড় দিতে।সে লক্ষ্যে সারা দেশে বিশেষ কমিটি গঠন করেছেন তিনি। যাদেরকে দেয়া হয়েছে ১ মাসের প্রশিক্ষণ।তাদের অদ্বিতীয় কাজই হচ্ছে সহিংসতা। মাসিক ২ লাখ টাকা বেতনে তারা অংশ নেবে সরকার দলীয় চিহ্নিত মানুষকে হত্যা, গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন স্থানে বোমাবাজি-সন্ত্রাসীপনা, আত্মঘাতী বোমা হামলাসহ জ্বালাও-পোড়াও কাজে। ইতোমধ্যে প্রশিক্ষিত কর্মীদের অ্যাকাউন্টে তিন মাসের অগ্রিম টাকাও ডিপোজিট করে দিয়েছেন তারেক।
এ ব্যাপারে কথা বলতে এই প্রতিবেদক যোগাযোগ করে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর সাথে তিনি বলেন,সরকারকে ক্ষমতা ত্যাগে যা যা করা প্রয়োজন তার সবই আমরা করবো।ইতোমধ্যে তারেক রহমানের নির্দেশনায় জানুয়ারি মাস জুড়ে আমরা সমাবেশের নামে দেশে ‘জ্বালাও-পোড়াও’ আন্দোলনের পরিকল্পনা করেছি।তারেক রহমান যেভাবে বলেছেন, ঠিক সেভাবেই আমরা দেশে নাশকতা সৃষ্টি করার ছক কষেছি।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন,বিএনপি এখন বাঁকা পথে হেঁটে পৌঁছতে চায় নোংরা গন্তব্যে, হাসিল করতে চায় রাজনৈতিক স্বার্থ। সরকারসহ আমাদের সবাইকে তাই এ ব্যাপারে সচেতন থাকতে হবে। রুখে দিতে হবে তাদের দেশবিরোধী সব ষড়যন্ত্রকে।
আরো পড়ুনঃ